অপরাধ
২৪ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো গেলো না শীলাকে
কক্সবাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আফসানা হোসেন শীলা (২৫) নামে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যু অভিযোগ উঠেছে। নিহতের স্বজনরা এ মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে এর বিচার চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কক্সবাজার হাসপাতালে ওই নারীর মৃত্যু হয়।
নিহত আফসানা হোসেন শীলা কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন মেয়ে। তার স্বামী মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার মাষ্টার সোলাইমানের ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ খান।
স্বামী ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ খান বলেন, কক্সবাজারের ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিৎসায় তার স্ত্রী মারা গেছেন। আগামী সোমবার (৬ মে) তার স্ত্রী শীলার সম্ভাব্য ডেলিভারির দিন ঠিক ছিলো। তবে নিয়মিত চেকআপের জন্য তিনি স্ত্রী শীলাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও ইউনিয়ন হাসপাতালে প্রাইভেট চেম্বারে নীনা জিহানের কাছে নিয়ে যান। পরে শীলার হিমোগ্লোবিন কমে গেছে, রক্ত দিতে হবে বলে পরামর্শ দেন ওই ডাক্তার।
তার পরামর্শক্রমে গেলো রোববার (২১ এপ্রিল) শহরের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালে নিয়ে যান ভুক্তভোগীর স্বামী। ইউনিয়ন হাসপাতালে ওইদিন রাতে প্রসূতির ডেলিভারি করতে গিয়ে ডাক্তার শাহেদ, নার্স সোমা ও হিমু তার জরায়ু ফুটা করে দেন। পরে তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার জরায়ু আবারও কেটে দেন। এসময় তার স্ত্রীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। সর্বশেষ তাকে প্রথমে আইসিউতে এবং পরে লাইফসাপোর্টে নেয়া হয়। লাইফসাপোর্টে থাকাকালীন আজ দিবাগত রাতে শীলার মৃত্যু হয়।
শীলার বাবা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ২৪ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো গেলো না তার মেয়ে শীলাকে। ফুটফুটে নবজাতক শিশুটিসহ এবং শীলার মৃতদেহ নিয়ে পরিবারে কান্না যেনো থামানোই যাচ্ছে না। এ নিয়ে স্বামী ইখতিয়ারের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। তবে এ বিষয়ে কক্সবাজার ইউনিয়ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা: আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি অবগত না। যদি ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় তবে থানা অভিযোগ দিতে হবে। পরবর্তীতে সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত আবেদন করলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএম/
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ