বাংলাদেশ
সরকারের চেষ্টায় মোবাইল শিল্পের বৈপ্লবিক পরিবর্তন : এমপি মোরশেদ আলম
বর্তমান সরকারের উৎপাদন বান্ধব নীতির কারণে দেশে মোবাইল শিল্পের বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। বললেন বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোরশেদ আলম।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে লিনেক্স ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশ-এর মোবাইল ফোন ফ্যাক্টরি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আলহাজ মোরশেদ আলম এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন, স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছেন। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে বসিয়েছেন মর্যাদার আসনে।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন দেশকে এগিয়ে নিতে হলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষতা এবং সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। আমরা ভাগ্যবান, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আবারও উন্নয়নের ধারায় ফিরে এসেছে। তিনি বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছেন। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইন্টারনেট নিয়ে গেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হাতে এখন মোবাইল ফোন আছে।
একটা সময় বাংলাদেশকে মোবাইল আমদানি করতে হতো মন্তব্য করে বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, এখন দেশেই মোবাইল সেট তৈরি হচ্ছে। লিনেক্স মোবাইলের ফ্যাক্টরিটি থেকে প্রতি মাসে ২ লাখ হ্যান্ডসেট তৈরি হবে। বহু মানুষের কাজের ব্যবস্থা হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, বর্তমান মোবাইল কারখানা কর্মসংস্থান করছে। লিনেক্স ইলেকট্রনিকস দক্ষতার সঙ্গে দেশীয় লোক দিয়ে মোবাইল ফোন তৈরি করছে। বাংলাদেশে উৎপাদিত মোবাইল বিদেশে রপ্তানি করছে হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন লিনেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির বাবলু। তিনি বলেন, লিনেক্সের লক্ষ্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি এবং সর্বশেষ সুবিধা সম্বলিত মোবাইল সেট আপনাদের উপহার দেওয়া। ৪০ হাজার স্কয়ার ফুটের কারখানায় বর্তমানে মাসে দুই লাখ ফোন সংযোজনের সক্ষমতা রয়েছে লিনেক্সের। এই সক্ষমতা খুব অল্পসময়ের মধ্যে কয়েকগুণ করার স্বপ্ন রয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিজেরাই প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে লিনেক্সের।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লিনেক্স ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড এর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ইঞ্জিনিয়ার নাহিদুল ইসলাম। গ্রুপের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এবং মোবাইল ফোন পরিবেশকবৃন্দ।
উল্লেখ্য- লিনেক্স ইলেকট্রনিক্স বাংলাদেশ লিমিটেড বেঙ্গল গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজ এর একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান। গাজিপুরের ডোমনা কাশিমপুরে অবস্থিত নতুন এই মোবাইল ফোন সংযোজন কারখানার মোট আয়তন চল্লিশ হাজার স্কয়ার ফুট এবং প্রতিমাসে কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় দুই লাখ মোবাইল ফোন এবং এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ৪০৪ জনের।
ফ্যাক্টরি স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের মুনষের জন্য সুলভ মূল্যে মোবাইল ফোন সরবরাহকরণ, দেশের বৈদিশিক মুদ্রা সাশ্রয়করণ এবং দেশের মানুষের জন্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা। কারখানায় অত্যাধুনিক একটি ল্যাবরেটরি রয়েছে যেখানে প্রতিটি যন্ত্রদ্বারা মোবাইল ফোনগুলো পরীক্ষা করা হয়। একটি পণ্য বাজারজাত করার আগে ৪৪টি ধাপে গুনগত মান পরীক্ষা করে থাকে। এছাড়াও কারখানার কর্মরত প্রতিটি কর্মকর্তা ও কর্মচারী অভিজ্ঞতা সম্পর্ণ।
মেহা
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ