বিনোদন
ছেঁড়া জিন্স-গেঞ্জি চলবে না, ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য বাঁচান: কঙ্গনা
বলিউডের অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত রোববার থেকে কিন্নরে রয়েছেন। হিমাচলের ঐতিহ্যশালী পোশাকেই স্থানীয়দের ভিড়ে মিশে গিয়ে জোরকদমে ভোটপ্রচারের ময়দানে নেমেছেন কঙ্গনা। সেখানেই খোলামেলা পোশাকের উপর ফতোয়া জারি করলেন কঙ্গনা রানাউত।
কঙ্গনার মন্তব্য, “প্রাচীন নারীরা খুব যত্ন সহকারে হাজার বছরের ভারতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বহন করেছেন। শুধুমাত্র ছেঁড়া জিন্স আর গেঞ্জি পরে এই প্রজন্ম সেসব নষ্ট করে দিতে পারে না। ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য বাঁচান।” এই প্রথম নয়, এর আগেও ২০২১ সালে পোশাক নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তখন বলেছিলেন, “প্রাচীন নারীরা শুধুমাত্র তাদের ব্যক্তিত্বই নয়, সমগ্র সভ্যতা, সংস্কৃতি এবং জাতির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। আজ যদি এই ধরনের সফল নারীদের ছবি তুলতে যান, দেখবেন তারা সবাই ছেঁড়া আমেরিকান জিন্স আর ন্যাকড়ার মতো ব্লাউজের মতো পরে রয়েছে, যেটা পশ্চিমী সভ্যতার মার্কেটিং ছাড়া আর কিছুই নয়।” এবার কিন্নরে ভোটপ্রচারেও সেকথাই কঙ্গনা রানাউতের মুখে।
বিজেপির তারকা প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি, “আমি যদি পার্লামেন্টে যাই, তাহলে হিমাচলি গান, ফ্যাশন, খাবারের প্রচার করব। এখানে ইকোফ্রেন্ডলি হোম স্টে, ফুড ফেস্টিভ্যাল, কালচার কার্নিভাল হবে। ট্যুরিজম ব্যবসা চাঙ্গা হলে স্থানীয়রা লাভবান হবেন।” এদিকে পদ্মপ্রার্থীর মুখে এমন কথা শুনে, নেটপাড়ায় ভাইরাল তার পুরনো সব ছবি। যেখানে কঙ্গনা নিজেই রিপড জিন্স, শর্টস এমনকী স্বল্পবসন পরে রয়েছেন। পোশাকে ফতোয়া জারির মন্তব্য করে নেটপাড়ার রোষানলে পড়েছেন কঙ্গনা রানাউত।
হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি কেন্দ্র থেকে বিজেপির তুরুপের তাস কঙ্গনা রানাউত। ‘ক্যুইন’-এর বিরুদ্ধে কংগ্রেসের তরফে লড়ছেন সেখানকার ‘রাজপুত্র’ বিক্রমাদিত্য সিং। যার পারিবারিক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডও বেশ পোক্ত। মা-বাবা দুজনেই হেভিওয়েট রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত হিমাচলে। ফিল্মিদুনিয়ার মতো রাজনীতির ময়দানেও তার পিছু ছাড়ল না ‘নেপো কিড’!ইতিমধ্যেই প্রচারের ময়দানে ‘রাজা’কে কিস্তিমাত দিচ্ছেন ‘ক্যুইন’। বিক্রমাদিত্যর মা প্রতিভা সিং কংগ্রেস সাংসদ। বাবা বীরভদ্র সিং ছিলেন ৬ বারের মুখ্যমন্ত্রী। স্বর্গত পিতার পথে হেঁটেই বর্তমানে নগরোন্নয়ন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিক্রমাদিত্য। গান্ধী পরিবারের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাদের।
ঢালিউড
পুলিশকে ফুল-চকলেট দিয়ে বরণ করে নিন: ফারুকী
গেল ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ঢাকার থানাগুলো পুলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিয়েছে। হামলা, অপরাধ, সহিংসতার পরিমাণও বেড়েছে। এমন অবস্থায় সকল পুলিশ সদস্যদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ নিজ ইউনিটে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
পুলিশ সদস্যরা যেন নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সুন্দর পরিবেশে আবারও কাজে ফিরতে পারেন, সেজন্য সাধারণ মানুষের প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘আশা করি আজ-কালকের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিবে। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবে তারা এই আশা আমাদের।’
এরপর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ফারুকী লেখেন, ‘আমরা কি একটা কাজ করতে পারি? রাস্তায় কর্মরত পুলিশ দেখলে তাদের সাথে একটু হাসি বিনিময় করতে পারি? পারলে একটু মোলাকাত? একটা ফুল? অথবা চকলেট? ’ কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য গোটা পুলিশ ইউনিট দোষী হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এমনটা উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, ‘আমি সাধারন কিছু পুলিশের ইন্টারভিউ দেখছিলাম। তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতালিপ্সার কাছে অসহায় ছিলো, কিছু খারাপ অফিসার কিভাবে তাদের ব্যবহার করেছে, তাদের পরিবার পরিজন কতটা অনিরাপদ এবং বিব্রত- এইসব বলতে বলতে কেঁদে দিচ্ছিলো কয়েকজন পুলিশ সদস্য! ‘
এই নির্মাতা আরও উল্লেখ করেন, ‘তারা শুধু একটা দাবিই জানাচ্ছিলো- আর কখনো দলীয় পুলিশ হতে চায় না। তারা মর্যাদার সাথে রাষ্ট্রের কর্মচারী হতে চায়!’
সবশেষ পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এই নির্মাতা লেখেন, ‘ক্যান উই গিভ দেম সাম কমফোর্ট? জাস্ট সো দে ফিল দে আর ওয়ান অফ আস?’
সরকার পতনের পর সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে দেশের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।
এসআই/
ঢালিউড
এফডিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার বণিক
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার বণিক। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির এমডির দায়িত্বে থাকা নুজহাত ইয়াসমিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পনির্দেশক ও বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া।
সাবেক এমডির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ ছিল। তাকে দায়িত্ব থেকে সরাতে নানা সময় বিএফডিসির কর্মচারীরা ও সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠন আন্দোলনও করেছিল। তবে কোনো কারণেই সরানো যাচ্ছিল না তাকে। এবার সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্ব থেকে তাকে বিদায় করা হলো।
দিলীপ কুমার বণিক ৭ আগস্ট বিএফডিসি কার্যালয়ে যোগদান করেছেন বলেও জানান বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া।
এসআই/
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/