Connect with us

লাইফস্টাইল

ত্বকের উপর ডাবের পানির প্রভাব

Avatar of author

Published

on

ডাব,-ডাবের-পানি

বসন্ত বা ‘পক্স’ সেরে যাওয়ার পরও সারা গায়ে, মুখে তার গুটির ছাপ রেখে গিয়েছিল। সেই দাগ তুলতে কত কী না করা হয়েছিল। শেষে নানী-দাদীর দেয়া পরামর্শে ঘরোয়া উপায়ে পক্সের দাগ অনেকটাই মিলিয়ে যায়। কী সেই উপায়?

গরম কালে শরীর আর্দ্র রাখার জন্য প্রায় রোজই ডাব খাওয়া হয়। ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া খনিজ উপাদানের ঘাটতি পূরণের জন্য। এছাড়া বসন্ত বা ‘পক্স’ নিরাময়ের পর তার গুটির দাগ তোলা থেকে শুরু করে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়, ডাবের পানি থেকে।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডাবের পানি খেলে যেমন শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ হয়, তেমন ভিতর থেকে ত্বক ভাল রাখতেও সাহায্য করে। ডাবের পানি খাওয়া এবং মাখা— দু’টিই খুব কাজের। তবে, তার প্রভাব এক এক ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে এক এক রকম।

অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক

নিয়মিত ডাবের পানি খেলে শুষ্ক ত্বক পেলব হয়। ডাবের পানিতে নানা ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। তবে, ত্বকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং প্রাকৃতিক কিছু শর্করা। এছাড়া এই পানীয়টি প্রাকৃতিক ইলেকট্রলাইটের উৎস। যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। ডাবের পানি মাখলে ত্বকের শুষ্কতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ডাবের পানি

ব্রণ বা ব্রণর দাগ

বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডাবের পানিতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদানগুলি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে পারে। ব্রণ থেকে হওয়া ক্ষত সারাতেও দারুণ ভাবে কাজ করে এই পানীয়টি। মুখে কোনও রকম ক্ষতের দাগ নিরাময়ে ডাবের পানি এবং হলুদের মিশ্রণও বেশ উপকারী।

ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে

২০১৫ সালে হওয়া একটি গবেষণা থেকে জানা যায় ডাবের পানির মধ্যে থাকা উপাদানগুলি শরীরে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যা শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করে। বলিরেখা, কালচে ছোপ, মেচেতার মতো বয়সজনিত উপসর্গগুলিও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই পানীয়ের মধ্যে ভিটামিন সি এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকায় ত্বকের জেল্লাও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া ডাবের পানিতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ উপাদান। যা ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন তৈরি অর্থাৎ কোলাজেন সিন্থেসিস প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে। শরীর থেকে ‘টক্সিন’ বা দূষিত পদার্থ দূর করতেও এই পানীয়ের জুড়ি মেলা ভার। তাই খাওয়ার পাশাপাশি ডাবের পানি মাখতেও বলেন রূপবিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

মুখে ডাবের পানি  মাখবেন যেভাবে

ডাবের পানিতে তুলো ভিজিয়ে মুখে বুলিয়ে নেয়া যেতে পারে। গোলাপ জল এবং ডাবের পানি সমপরিমাণে মিশিয়ে ‘টোনার’ হিসাবে মুখে স্প্রে করা যেতে পারে। আবার, মুখে মাখার কোনও প্যাকের মিশ্রণেও ডাবের পানি ব্যবহার করা যায়।

Advertisement

পরামর্শ

মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়

Published

on

খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।

মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।

১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।

২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।

৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।

Advertisement

৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।

৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে

Published

on

এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।  বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।

সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই?  এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।

আসুন জেনে নেই তাহলে –

১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।

২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।

Advertisement

৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।

পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।

৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।

৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।

৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।

Advertisement

জেডএস//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি

Published

on

প্রতিকী ছবি

আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।

উপকরণ

ঘন দুধ- ১ কাপ

চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )

আম- ২টি

Advertisement

ডিম- ২টি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী

১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।

২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।

Advertisement

৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।

৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।

৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।

৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।

Advertisement

ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it