Connect with us

দক্ষিণ আমেরিকা

বাইডেনকে লাইভ বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন পুতিন

Published

on

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যাকারী বলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ক্রেমলিন। মন্তব্যের জেরে বাইডেনকে লাইভ বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন পুতিন। সরাসরি সম্প্রচারিত বা অনলাইনে এই বিতর্কের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান রুশ প্রেসিডেন্ট।

ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গেল বুধবার এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে পুতিনকে হত্যাকারী বলে মন্তব্য করেন তিনি। পুতিনের বিরুদ্ধে রুশ বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভানলিকে হত্যার জন্য বিষ প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ আছে। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে যাচ্ছেন পুতিন।

সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও বলেন, পুতিনের কোনো হৃদয় নেই। গেল মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য পুতিনকে চরম মূল্য দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে ২০২০ সালে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অভিযোগকে পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে অভিহিত করা হয়েছে।

পুতিনকে নিয়ে বাইডেনের মন্তব্যের জেরে কয়েক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সবচেয়ে বড় সংকট দেখা দিয়েছে। বুধবার ওয়াশিংটনে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতলি আন্তনভকে মস্কোতে ডেকে পাঠানো হয়। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে এ পদক্ষেপ অভূতপূর্ব।

Advertisement

এদিকে, বাইডেনের মন্তব্যকে নজিরবিহীন হিসেবে বর্ণনা করেছে ক্রেমলিন। দুই দেশের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ককে খুবই বাজে বলে অভিহিত করা হয়েছে।

বাইডেনের মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের খুবই বাজে মন্তব্য এটি। ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেনি। বাইডেন যে নিশ্চিতভাবে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি চান না বিষয়টি স্পষ্ট।

বাইডেনের মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে, তার জবাবে দিমিত্র পেসকভ বলেন, খুবই স্পষ্ট। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে রাজি হননি তিনি।

বাইডেনের মন্তব্যে নিজেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন পুতিন। গতকাল তিনি বলেন, আমি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে আমাদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছি। তবে একটা শর্ত আছে। এই আলোচনা লাইভ বা অনলাইনে করব। আগে রেকর্ড করা আলোচনা নয়, আলোচনা হবে মুক্ত ও সরাসরি।

পুতিন বলেন, আমার কাছে মনে হয়, সরাসরি আলোচনা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের জনগণের জন্য জবর হবে। অন্যান্য অনেক দেশের জন্যও আকর্ষণীয় হবে।

Advertisement

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাস জানায়, ইতোমধ্যে বাইডেনকে সরাসরি আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পুতিন। আলোচনার জন্য শুক্র বা সোমবার সম্ভাব্য দিন প্রস্তাবও করেন তিনি।

 

এসএন

Advertisement

দক্ষিণ আমেরিকা

ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী

Published

on

ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।

দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।

এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।

নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

Advertisement

২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।

ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন

Published

on

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’

জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।

বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’

Advertisement

গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দক্ষিণ আমেরিকা

নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ

Published

on

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’

রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।

এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’

Advertisement

হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

র‌্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।

স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it