বলিউড
সিনেমায় চুমু প্রতি স্ত্রীকে দিতে হতো একটি ব্যাগ: ইমরান হাশমি
বলিউড চলচ্চিত্রে তাকে বলা হয়ে থাকে ‘সিরিয়াল কিসার’। কেউ বা আবার তকমা দিয়েছেন ‘বলিউডের কিসিং স্টার’ বা ‘চুমু দেবতা’। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এসব তকমা ইমরান হাশমির গায়ে লেগে আছে। একটা সময় সিনেমায় ইমরান হাশমির অভিনয় করা মানেই দর্শক বুঝে যেতেন ওই ছবিতে তার বিপরীতে কাজ করা অভিনেত্রীর সঙ্গে একাধিক দৃশ্যে তাঁর রগরগে চুমুর দৃশ্য থাকবেই। ওই সময় তাঁর ভক্তরা অন্তত তেমনই সমীকরণে বিশ্বাসী ছিলেন।
ইমরান হাশমি যখন বিয়ে করেন তখন একট গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে তিনি আর ছবিতে নায়িকাকে চুমু খাবেন না। ওইসময় শোনা গিয়েছিলো-বিয়ের শর্তই ছিলো চুমুর দৃশ্যে আর অভিনয় করা যাবে না। তবে ওই গুঞ্জন একটা ঘটনায় মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়। আর ওই ঘটনা ঘটান অভিনেতা নিজেই এবং তাও আবার নিজের স্ত্রীর হাতে চড় খেয়ে।
একবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ইমরান হাশমি বলেছিলেন, ২০১০ সালে মুক্তি পাওয়া ক্রুক ছবির প্রিমিয়ার শো দেখতে গিয়েছিলেন স্ত্রীকে নিয়ে। ওই ছবিতে অভিনেত্রী নেহা শর্মাকে একাধিকবার চুমুর দৃশ্য দেখে রীতিমতো তাজ্জব বনে যান ইমরানের স্ত্রী পারভীন শাহানি। রেগে গিয়ে ইমরান খানের গালে মারেন একাধিক চড়-থাপ্প্ড়। স্ত্রীর সঙ্গে ছবি দেখতে গিয়ে রীতিমত বিপত্তিতে পড়ে যান ইমরান হাশমি। আর ওই খবর ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল।
এ ঘটনার পরবর্তীতে পারভীন শাহানি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। তিনি বুঝতে পারেন পর্দায় ইমরান হাশমি চুমু খেতে বাধ্য হচ্ছেন কাজের সূত্রে। ছবির প্রয়োজনেই চুমু খাওয়ার দৃশ্যে অভিনয় করতে হচ্ছে ইমরান হাশমিকে। তখন থেকেই ইমরানের সঙ্গে তার একটি সুন্দর বোঝাপড়া তৈরি হয়। তারপরও ছবিতে অভিনেত্রীকে চুমু খাওয়ার ব্যাপারে ইমরান হাশমিকে একটি শর্ত দেন স্ত্রী পারভীন শাহানি। শর্তটি হচ্ছে ছবিতে ইমরান খান চুমু খেতে পারবেন তবে প্রতিটি চুমুর জন্য একটি করে হ্যান্ডব্যাগ বা ভ্যানিটি ব্যাগ তাকে কিনে দিতে হবে।
ইমরান হাশমি ওই গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাতকারে আরও বলেছিলেন, একটা একটা করে নতুন ব্যাগ কিনতে কিনতে একটা ব্যগের আস্ত আলমারি তৈরি হয়েছে তাঁর বাড়িতে। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী নাকি বলে থাকেন, ‘তুমি ছবি করো, আর ব্যাগ কেন।’।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে ফুটপাত ছবির মাধ্যমে বলিউড চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে ইমরান হাশমির। তবে প্রথম ছবিটি বক্স অফিসে খুব একটা সাড়া ফেলেনি। পরের বছর মার্ডার ছবিটি বক্স অফিসে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে। এই ছবিতে ইমরান হাশমির বিপরীতে অভিনয় করেন অভিনেত্রী মল্লিকা শেরওয়াত।তারপর অনেক ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০১২ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রাজ থ্রি’ ছবিতে ইমরানের সঙ্গে বিপাশা বসুর ছিল এক দীর্ঘ চুম্বনদৃশ্য। বলিউডে এত দীর্ঘ চুম্বনদৃশ্য আগে কখনো দেখা যায়নি।
সবশেষ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গিয়েছে ইমরান হাসমির ছবির ধাঁচ আর চরিত্রের উপস্থাপনা। ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘টাইগার থ্রি’ ছবিতে খলনায়ক রূপে দেখা গেছে ইমরান হাশমিকে।
এমআর
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/