ক্রিকেট
শেষ ওভারের রোমাঞ্চে জিতল বাংলাদেশ
মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে ম্যাচটি, বাংলাদেশের পক্ষে জয় এসেছে ৫ রানের। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। সাকিব আল হাসান শেষ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
আজ ম্যাচ শুরুর আগে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় নিহত স্ক্রোয়াডন লিডার আসিম জাওয়াদকে স্মরণ করে। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানে বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান জাওয়াদ।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৪৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারেই ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ফিরে যান। অধিনায়ক সিকান্দার রাজার সাথে তাদিওয়ানাশে মারুমানি দলীয় ২৮ রান পর্যন্ত নিজেদের ধরে রাখতে পারেন। এরপরেই ফিরে যান রাজা, তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সরাসরি বোল্ডে।
রাজা ১৭ রানে ফেরার পর, পরের ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে লেগ বিফোরে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মারুমানি। একপাশে হাল ধরে ছিলেন জোনাথান ক্যাম্পবেল। বাংলাদেশের সামনে কিছু সুযোগ তৈরি ছিল ক্যাচ নেওয়ার। যেসব হেলায় হারিয়েছে স্বাগতিক ফিল্ডাররা। তবে ক্যাম্ববেলের সাথে রায়ান বার্লের জুটি বেশ জমে উঠেছিল।
নিজেদের পক্ষে জয়ের সুযোগ তৈরি ছিল জিম্বাবুয়ের জন্য। তবে একাদশে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান ইনিংসের ১৫তম ওভারে এসে বার্ল ও লুক জঙ্গওয়েকে ফেরালে চাপ বাড়ে সফরকারীদের উপর। ক্যাম্পবেল তখনো ছিলেন। সেটিও খুব বেশি সময় জুড়ে নয়। সাকিবের বলে ক্যাচ তুলে ৩১ রানে বিদায় নেয় এই ব্যাটার।
জিম্বাবুয়ে তখন ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে অবস্থান করছিল।
তবে শেষ দিকে ফারাজ আকরাম ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা মিলে সর্বোচ্চ চেষ্টা জারি রেখেছিল। সেই চেষ্টা অবশ্য সফল হয়নি। ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজের তৃতীয় বলে ১১ রানে ফেরেন ফারাজ। শেষ ওভারে জিম্বাবুয়ের ম্যাচ জিততে প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। সাকিবের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম দুই বলে ১ রান দিলেও, তৃতীয় বলে ছক্কা খেয়ে বসেন সাকিব। তবে পরের দুই বলে নেন ২ উইকেট।
স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন ব্লেসিং মুজারাবানি। অন্যদিকে এনগারাভা সরাসরি বোল্ড আউটের শিকার হন। জিম্বাবুয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৩৮ রানে।
বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে সাকিব আল হাসান একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৩ উইকেট, তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট সংগ্রহ করেন।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করে বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০১ রান। একাদশে ফেরা সৌম্য সরকারের সাথে তানজিদ হাসান তামিম প্রতিপক্ষ বোলারদেরকে খুব বেশি সুযোগ দেননি। তবে এই জুটি ভাঙার পর বেশ পতন দেখা দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। ইনিংসের ১২তম ওভারে লুক জঙওয়ের শিকার হয়ে সৌম্য ও তানজিদ দুজনেই ফেরেন।
তানজিদ ৩৭ বলে ৫২ রানে এবং সৌম্য ৩৪ বলে ৪১ রান করে ফেরেন।
এই দুই ওপেনার ফেরার পর বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরের ৪২ রান তুলতে ৯ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। পরের ব্যাটারদের মধ্যে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাটে কেবল দুই ডিজিটের রান আসে। বাকি ব্যাটাররা এক ডিজিটেই সাজঘরে ফেরেন। জিম্বাবুয়ে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের অবদান তো ছিল, পাশাপাশি স্বাগতিক ব্যাটারদের ভুল ডেলিভারিতে ব্যাট চালানোর প্রতিযোগিতা প্রকাশ পেয়েছে।
সফরকারী পেসার জঙওয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তিনি দলের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট-শিকারি এখন। জঙওয়ে ছাড়াও ব্রায়ান বেনেট ও রিচার্ড এনগারাভা ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন।
এম/এইচ
ক্রিকেট
ক্রিকেট বোর্ডে পরিবর্তন প্রসঙ্গে যা বললেন বিজয়
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। এছাড়াও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সফর আছে একই সময়ে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন এনামুল হক বিজয়।
বিজয় বাংলাদেশ ‘এ’ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি কিছুটা অস্থির। সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে, কিছু জায়গায় পরিবর্তনের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
বিসিবির বিভিন্ন জায়গায় পরিবর্তনের দাবিও তোলা হয়েছে। এমনকি ক্রিকেটারদের মধ্যে ইমরুল কায়েস ও রুবেল হোসেনও এই প্রসঙ্গে ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। দলে সুযোগ পাওয়া বা না পাওয়া নিয়ে এনামুল হক বলেন, ‘এটা তো হতেই থাকবে। এটা আপনিও কখনো বলতে পারবেন না যে আপনার সঙ্গে হয়নি। এটা হতেই থাকে। তারপরও এটা সামনে যত কম হয় সেই আশা আমরা করবো।’
বোর্ডের বিভিন্ন স্তরে পরিবর্তনের কথা অনেকেই উচ্চারণ করেছেন শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পরপর। এই পরিবর্তন প্রসঙ্গে এনামুল হক বলেন,
‘আমার কাছে মনে হয় এটার (ক্রিকেট বোর্ড) বড় আলোচনা জরুরী। দুজন একজনের কথায় আসলে এটা হবে না। ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমি চাই বড় গ্রুপ যারা আমরা সবাই ক্রিকেট নিয়ে কাজ করি তারা একত্রে বসে আলোচনা করে এটা করা। যারা ক্রিকেট খেলেছি, কেউ খেলেছে বা সামনে কেউ খেলবে। বড় ধরনের আলোচনা দরকার। যার যেটা প্রয়োজন সেটা তারা বলবে। যেখানে যে আছে।’
এম এইচ//
ক্রিকেট
পাকিস্তানের টেস্ট দলে এইচপি কোচ হলেন টিম নিলসন
টিম নিলসনকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে এই নিয়োগ দিয়েছে পাকিস্তান বোর্ড।
পাকিস্তানের লাল বলের ক্রিকেটে দায়িত্বে আছেন জেসন গিলেস্পি। যার কোচিং স্টাফে যুক্ত হতে যাচ্ছেন টিম নিলসন। ইতোমধ্যে এই দুই কোচ পাকিস্তান শাহীন’স এ দলের ট্রেনিং ক্যাম্প পর্যবেক্ষণ করেছেন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ সামনে রেখে আগস্টের ১১ তারিখ থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পাকিস্তানের ট্রেনিং ক্যাম্প। রাওয়ালপিন্ডিতে দুই দল প্রথম ম্যাচটি খেলবে আগস্টের ২১ থেকে ২৫ তারিখ। আর দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচটি দুই দল খেলবে আগস্টের ৩০ থেকে সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত।
সাউথ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে গিলেস্পির সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে নিলসনের। সবমিলিয়ে তার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী।
সম্প্রতি পিসিবি বাংলাদেশ সিরিজের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিপক্ষে খেলার জন্যেও দল ঘোষণা করেছে পাকিস্তান শাহীন’স।
এম এইচ//
ক্রিকেট
দুই মাসের ছুটি চান অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিন
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। মানসিকভাবে বেশ ভেঙে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে ২ মাসের ছুটি চেয়েছেন তিনি।
পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে চারদিনের দুই ম্যাচের সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ, পাশাপাশি ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন সাইফউদ্দিন। এই মাসের শুরুতে একজন নির্বাচক ইমেইল করেন এই অলরাউন্ডার। এরপর জানিয়ে দেন, তিনি ক্রিকেট থেকে আপাতত বিরতি নিতে চান এবং তা দুই মাসের জন্য।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
জুনে অনুষ্ঠিত আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে যুক্ত হতে না পারা এবং গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলতে কানাডায় যেতে না পারা- সাইফউদ্দিনের জন্য বেশ হতাশার ছিল। এসব কারণেই তিনি আগামী ২ মাস সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
গত মে মাসে, বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন সাইফউদ্দিন।
এম এইচ//