লাইফস্টাইল
হাড়ের ক্ষয় রুখতে কেবল ক্যালশিয়াম নয়, চাই আরও কিছু পুষ্টিগুণ
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ক্ষয় হয় হাড়ের। তাই হাড় ভাল রাখতে ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার কথা বলেন পুষ্টিবিদরা। হাড়ের ক্ষয় রোধ করে তা শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করে ক্যালশিয়াম।
ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি আরও কিছু পুষ্টির উপাদানের উপরও নির্ভর করে হাড়ের স্বাস্থ্য। বাড়তি বয়সে ক্যালশিয়ামযুক্ত খাবার বেশি করে ডায়েটে রাখার বদলে ছোট থেকেই পাতে রাখতে হবে এমন সব পুষ্টির উপাদান, যা পরিণত বয়সেও আপনার হাড়ের যাবতীয় সমস্যা রোধ করতে পারে। জেনে নিন, হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কী কী খেতে হবে ছোট থেকেই?
ভিটামিন-কে
হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ভিটামিন-কে প্রয়োজন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করা প্রোটিন কার্যক্ষমতা লাভ করে এই ভিটামিন থেকেই। এমনকি হাড়ের উপর ক্যালশিয়াম জমে যে সমস্যা হতে পারে, তা-ও নিয়ন্ত্রণ করে ভিটামিন-কে। শরীর যাতে যথেষ্ট ভিটামিন-কে পায়, তার জন্য পাতে রাখুন ব্রকোলি, পালং শাক, বাঁধাকপি ও লেটুস।
ভিটামিন-ডি
হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় ভিটামিন-ডি। এটি ক্যালশিয়াম শোষণ করে রক্তে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টির জোগান দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতি দিন ১০-১৫ মিনিট সূর্যের আলোয় দাঁড়ান। আর খাবারে রাখুন সয়াবিন, পালং শাক, স্যামন মাছ।
প্রোটিন
কেবল কোষের বৃদ্ধির জন্যই যে প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, তা নয়। বরং অতিরিক্ত প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে হাড়ের ঘনত্ব বাড়ে ও হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। এমনকি, পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে হাড় ভঙ্গুর হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটা কমে যায়। তাই রোজ পাতে রাখুন নানা রকমের ডাল, মটরশুঁটি, মাংস, ডিম ও দুগ্ধজাত খাবার।
ম্যাগনেশিয়াম
হাড়ের অন্তবর্তী গ্রন্থিগুলিতে প্রায় ৬০ শতাংশই ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। সমীক্ষা বলছে, যারা প্রতিদিন ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ খাবার খান, তাদের হাড়ের ঘনত্ব অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। এমনকি, অস্টিয়োপোরোসিসের মতো অসুখের ঝুঁকিও কমায় ম্যাগনেশিয়াম। তাই রোজের ডায়েটে রাখুন নানা রকম বীজ, বাদাম ও দানাশস্য।
ভিটামিন সি
হাড়ের ঠিকমতো বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি-র। এ ছাড়া, এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সহায়তা করে। এমনকি, হাড়ের অসুখের ঝুঁকিও কমায়। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে রাখুন কমলা লেবু, টমেটো, মুসাম্বি।
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ