দক্ষিণ আমেরিকা
উড়োজাহাজের সিঁড়িতে হোঁচট খেলেন বাইডেন
এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজের সিঁড়িতে হোঁচট খেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাও একবার নয়, তিনবার। তবে বড় কোনো আঘাত পাননি তিনি। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনের অদূরে মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের জয়েন্ট বেজ এন্ড্রুজে এ ঘটনা ঘটে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ১০ মাইল দূরে আটলান্টায় যাচ্ছিলেন জো বাইডেন। সেখানে এশীয়-অ্যামেরিকান নেতাদের সঙ্গে সভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে এন্ড্রু বেস এয়ারপোর্টে এই অঘটন ঘটে। মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের জয়েন্ট বেজ অ্যান্ড্রুজ থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে দেখা করতে আটলান্টায় যাচ্ছিলেন তিনি। ভ্রমণ শুরুর আগে সিঁড়ি বেয়ে বিমানে ওঠার সময়ই বারবার পড়ে যান বাইডেন।
পরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ঘটনার সময় প্রচণ্ড বাতাস ছিল। শতভাগ সুস্থ আছেন বাইডেন। এতে কোনো আঘাত পাননি তিনি।
জো বাইডেনকে উড়োজাহাজের সিঁড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন তাঁর সহকারী। দূর থেকে সাংবাদিকদের দূর থেকে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, উড়োজাহাজে ওঠার সময় পা ফসকে লাল গালিচার সিঁড়িতে হোঁচট খেয়ে পড়ে যান বাইডেন। একবার, দুইবার নয়, তিনবার পড়ে যান তিনি এবং উঠে দাঁড়ান। অবশ্য হোঁচট খাওয়ার পরপরই উঠে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে বাম হাঁটু একটু ঘষে উপরে ওঠেন এবং স্যালুট জানান। নিজেকে সামলে নিয়ে উড়োজাহাজের দরজায় পৌঁছে বিদায়ী অভিবাদন জানিয়ে ভেতরে যান বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের হোঁচট খাওয়া ও পড়ে যাওয়ার দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। হোয়াইট হাউস বলছে, সুস্থ আছেন প্রেসিডেন্ট। সিঁড়ি টপকাতে ভুলভাবে পা ফেলার কারণেই এমনটা হয়েছে।
এর আগে গেল নভেম্বরে বাইডেনের বাম পা মচকে যায়। তখন বাইডেন বলেছিলেন, তাঁর পোষা কুকুরকে নিয়ে দৌড়ানোর সময় পায়ে চোট পান তিনি।
এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজে করে দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা। উড়োজাহাজের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে হোঁচট খাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গেল জুনে এয়ারফোর্স টু উড়োজাহাজে ওঠার সময় পড়ে গিয়েছিলেন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। এরও আগে ২০১৫ সালে প্রায় পড়ে যাচ্ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পরে অবশ্য নিজেকে সামলে নেন তিনি। এছাড়াও ১৯৭৫ সালে এয়ারফোর্স ওয়ানের সিঁড়ি থেকে গড়িয়ে পড়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড।
এসএন
দক্ষিণ আমেরিকা
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ মাদুরো জয়ী
ভেনেজুয়েলার ‘বিতর্কিত’ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সমাজতান্ত্রিক পিএসইউভি পার্টির নেতা নিকোলাস মাদুরো।
দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্টোরাল কাউন্সিলের (সিএনই) প্রধান ও মাদুরোর ঘনিষ্ঠ মিত্র এলভিস আমরোসো জানিয়েছেন, ৮০ শতাংশ ভোট গণনার পর দেখা গেছে- মাদুরো ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী জোটের প্রার্থী এডমান্ডো গঞ্জালেজ উরুতিয়া পেয়েছেন ৪৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ ভোট।
এদিকে, ভোট গণনায় ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ এনে ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মাদুরোর মূল প্রতিদ্বন্দী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ।
নির্বাচনের আগে হওয়া প্রায় সব জনমত জরিপে এগিয়ে ছিলেন গঞ্জালেজ। তবে যে কোনো উপায়ে মাদুরো ক্ষমতা ধরে রাখবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন মাদুরো।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গতকাল রোববার লাতিন আমেরিকার দেশটিতে ভোট হয়। দেশটিতে গেলো ১১ বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন মাদুরো। গতকালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।
২৫ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে মাদুরোর দল। তার মধ্যে টানা ১১ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রয়েছেন মাদুরো। বলা হচ্ছিল এবারের নির্বাচনে তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। কারণ তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডমুন্ড গঞ্জালেজ এবার ব্যাপক সমর্থন টানতে পেরেছিলেন।
ভোট গণনা উপলক্ষে বিরোধী জোট কেন্দ্রগুলোতে হাজারো পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। জোটের এক মুখপাত্র অভিযোগ করে বলেন, অনেক ভোটকেন্দ্র থেকে তাঁদের পর্যবেক্ষকদের বের করে দেয়া হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল বিরোধীরা। এবারের নির্বাচনেও ব্যাপক কারচুপির আশঙ্কা করে আসছিল তারা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই : বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে সাবেক এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এরপরই এই হামলার বিষয়ে কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিনি বলেছেন, আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এমনকি এই ধরনের হামলা ক্ষমা করা করা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই ঘটনায় সন্দেহভাজন হামলাকারী ও ট্রাম্পের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ট্রাম্প মঞ্চে ওঠার কিছুক্ষণ পরেই পাশের একটি ভবনের ছাদে ওঠেন সন্দেহভাজন হামলাকারী। তার হাতে একটি রাইফেল ছিল।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকাতে এই ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটি অসুস্থ, এটি অসুস্থ (হামলা)।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘পেনসিলভেনিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানোর বিষয়ে আমাকে ব্রিফ করা হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে তিনি নিরাপদে ও ভালো আছেন।’
জো বাইডেন বলেন, ‘আমি তার (ট্রাম্প) জন্য এবং তার পরিবারের জন্য ও সমাবেশে যারা ছিলেন তাদের জন্য প্রার্থনা করছি। আমরা আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত করতে চাই, আমাদের কাছে সমস্ত তথ্য আছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো গুলিবর্ষণের এই ঘটনায় তদন্তে কাজ করছে।
বাইডেন বলেন, পেনসিলভেনিয়ায় সহিংস এই হামলার ঘটনায় ‘সবাইকে নিন্দা করতে হবে।’
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ট্রাম্পকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল এবং এটি ছিল গুপ্তহত্যার প্রচেষ্টা।
জেএইচ
দক্ষিণ আমেরিকা
নির্বাচনী জনসভায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। একেবারে তার কানে গুলি লেগেছে। তবে এতে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। খবর বিবিসির।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্থানীয় সময় শনিবার একটি সমাবেশে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এই হামলা হয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তাকে লক্ষ্য করে ‘একটি গুলি করা হয়েছে যা আমার ডান কানের ওপরের অংশে বিদ্ধ হয়েছে।’
রোববার (১৪ জুলাই) এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
এরপরই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, আমাদের দেশে যে এমন হামলার ঘটনা ঘটতে পারে তা অবিশ্বাস্য।
সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, ‘এটা অবিশ্বাস্য যে আমাদের দেশে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ পোস্টের শেষে ট্রাম্প বলেন, ‘ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন!’
হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা গেছে। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এছাড়া আরও দুজন এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন বলে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
র্যালিতে উপস্থিত একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেন, গুলির শব্দ শোনার পর তারা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রাম্পের ওপর হামলা হয়। পেনসিলভানিয়ায় এক নির্বাচনী প্রচারে এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীর গুলিতে আহত হয়েছেন ট্রাম্প। তবে তা গুরুতর নয়।
জেএইচ