আইন-বিচার
তনির কাছে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি লাখানি কালেকশন
অনলাইনে নারীদের পোশাক বিক্রির আলোচিত প্রতিষ্ঠান সানভী’স বাই তনির কাছে লাখানি কালেকশন নামের প্রতিষ্ঠানটি পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করেনি। জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার (১৫ মে) ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে।
নারীদের জামাকাপড় বিক্রির ঢাকাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সানভী’স বাই তনি। প্রতিষ্ঠানটির ২০ লাখ ফলোয়ার সংবলিত ফেসবুক পেজের ইন্ট্রোতে লেখা আছে, ‘অনলাইনে এবং শোরুম জগতে আস্থার প্রতীক সানভীস বাই তনি। আমরা অগ্রিম কোনো বিকাশ নিই না। আমরা সারা বাংলাদেশে ক্যাশ অন ডেলিভারি দিয়ে থাকি।’
ভোক্তা অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘একজন অভিযোগকারীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেলো ১৩ মে, ২০২৪ Sanvee’s By Tony (সানভী’স বাই তনি), পুলিশ প্লাজা, গুলশান, ঢাকায় সরেজমিনে তদন্ত করে পাকিস্তানি ড্রেস ক্রয়ের পক্ষে কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।
এর প্রেক্ষিতে গেলো ১৪ মে, ২০২৪ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে উক্ত পাকিস্তানি ড্রেস Lakhani Collection (লাখানি কালেকশন), ঠিকানা: ৫১৮/৫১৯ সুবাস্তু অ্যারোমা শপিং কমপ্লেক্স, এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা থেকে ক্রয় করেছেন মর্মে জানান।
‘এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে তদন্তের স্বার্থে এবং Sanvee’s By Tonyর তথ্যের ভিত্তিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ (বুধবার) ১৫-০৫-২০২৪ তারিখ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।’
অভিযানে প্রাপ্ত তথ্যের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘অভিযানে দেখা যায়, Sanvee’s By Tony কর্তৃক পাকিস্তানি ড্রেস নামে যে ড্রেস বিক্রি করা হয়েছে, তা Lakhani Collection-এর স্বত্বাধিকারী তা বিক্রি করেনি মর্মে লিখিত দিয়েছেন। Lakhani Collection পাকিস্তানি বলে ড্রেস বিক্রি করলেও পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো ডকুমেন্ট/ইমপোর্টের কাগজপত্র বা কোনো ক্যাশ মেমো দেখাতে পারেনি।
‘Lakhani Collection পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করলেও যেখান থেকে ক্রয় করেছেন, তার পক্ষে কোনো ডকুমেন্ট/ক্যাশ মেমো দেখাতে পারেনি। এ সকল ড্রেস বিক্রির ক্যাশ মেমো দেখাতে পারেনি এবং কিছু ক্যাশ মেমো পাওয়া যায়, যেখানে প্রতিষ্ঠানের নাম ও ঠিকানা দেয়া নেই।’
লাখানি কালেকশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘উল্লেখিত অপরাধে Lakhani Collection-এর সকল প্রকার কার্যক্রম জনস্বার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধের আদেশ দেয়া হয় এবং আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য বলা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
এ বিষয়ে জানতে সানভী’স বাই তনির পেজে দেয়া নম্বরে একাধিকবার কল করেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
টিআর/
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ