বলিউড
কানের লাল গালিচায় উপেক্ষিত ঐশ্বরিয়া, ক্ষোভে ফুঁসছেন ভক্ত-অনুসারী’রা
কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় আর কেউ থাকুক না থাকুক সেই ২০০২ সাল থেকে নিয়মিত অংশ নেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রায় বাচ্চান। এবারও হাতে প্লাস্টার নিয়ে সমুদ্র পাড়ের শহর কানে দ্যুতি ছড়িয়েছেন এই লাস্যময়ী। তবে উৎসব কর্তৃপক্ষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর নাম উল্লেখ না করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁর ভক্ত-অনুসারীরা।
বৃহস্পতিবার নির্মাতা ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা পরিচালিত ‘মেগালোপোলিস’ সিনেমার প্রিমিয়ারে অংশ নিতে লাল গালিচায় হাঁটেন ঐশ্বরিয়া। এই দিনে তিনি পড়েছিলেন ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার ফাল্গুনী শেন পিককের তৈরি মেটালিক কালো গাউন।
এ সময় ঐশ্বর্যার সঙ্গেই লাল গালিচায় হাঁটেন হলিউড নির্মাতা গ্রেটা গেরউইগ, নাদিন লাবাকি, ওমর সাই, আইরিন জেকবের মতো আন্তর্জাতিক তারকারা। কিন্তু বিপত্তি ঘটে যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঐ বিভাগের যে ছবিগুলি উৎসব কর্তৃপক্ষ পোস্ট করেছেন, সেখানে ঐশ্বরিয়ার নাম উল্লেখ করা হয়নি।
এমনকি তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলেও ট্যাগ করা হয়নি। বিষয়টি নজরে আসতেই চটেছেন ঐশ্বরিয়ার ভক্ত-অনুরাগীদের একাংশ। ওই পোস্টের নীচে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। মন্তব্যকারীদের একজন লিখেছেন, ‘‘আপনারা ক্যাপশনে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নাম উল্লেখ করলেন না, যিনি কি না গ্রেটা গারউইগের আগে থেকে কানে যাচ্ছেন!’’ আরও এক জন ঐশ্বরিয়ার সোশ্যাল অ্যাকাউন্ট ট্যাগ করে লেখেন, ‘‘ওনার নাম উল্লেখ করা হয়নি কেন?’’ আরেক জনের কথায়, ‘‘কানের রানি শুধুই ঐশ্বরিয়া।’’
এই অসম্মানের নেপথ্যে কী উদ্দেশ্য রয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। এখনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয়রা যে অনেকাংশেই উপেক্ষিত, সে কথাই উঠে আসছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সম্প্রতি, ফ্যাশন ইভেন্ট মেট গালায় ডিজাইনার সাব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের তৈরি শাড়ি পরে উপস্থিত হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী আলিয়া ভাট।
কিন্তু নেটিজেনদের একাংশের মতে, বিদেশি সংবাদমাধ্যম আলিয়াকে নিয়ে সেই ভাবে কোনও উৎসাহ দেখায়নি। এমন কি তাঁকে দীপিকা পাড়ুকোন ভেবে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের একাংশ ভুল করে বসেন। তাদের মতে, ঐশ্বর্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতীয়দের প্রতি পাশ্চাত্যের উপেক্ষাই যেন আরও এক বার প্রমাণিত হল।
তবে সমালোচনা শুরু হতেই বেগতিক দেখে উৎসব কর্তৃপক্ষ দ্রুত ভুল শুধরে নেন। পরবর্তীতে তাঁরা ঐ পোস্টে ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ লেখেন এবং অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টও ট্যাগ করেন। প্রসাধনী ব্র্যান্ড ল’ওরিয়াল প্যারিসের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে প্রতি বছরই কানের লাল গালিচা মুখরিত করে আসছেন ঐশ্বরিয়া।
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/