চট্টগ্রাম
জালভোট দেয়ায় যুবকের অর্থদণ্ড, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ আটক ৬
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জালভোট দেয়ায় এক যুবককে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জালভোট দিতে সহযোগিতা করায় দুই সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪ পোলিং অফিসারকে হাতেনাতে আটক করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত হাবিব উল্লাহ সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের মৃত নজিবুল হকের ছেলে।
আটককৃতরা হলো, নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. তাজুল ইসলাম, মো. কামাল উদ্দিন ও পোলিং অফিসার মো. সোলাইমান সেলিম, কোহিনুর আক্তার, মহিনুল ইসলাম, সাবিনা ইয়াসমিন।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের নান্দিয়াপাড়া বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোপাল চন্দ্র রায় বলেন, শোনা গেছে হাবিব উল্লাহ পুরুষ বুথে ও মহিলা বুথে জাল ভোট দিয়েছে। তারপর বিচারকের কাছে সে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। বিচারক সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন বলেন, এক যুবকে অর্থদণ্ড এবং ৬ জন সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারকে নিয়মিত মামলার জন্য সোনাইমুড়ী থানায় প্রেরণ করা হয়।
সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, দুই সহকারি প্রিসাইডিং অফিসার ও ৪ পোলিং অফিসারকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। নিয়মিত মামলা দিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর চাটখিল, সোনাইমুড়ী ও সেনবাগ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৪৭ জন। যার মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪৩৩ জন এবং নারী ৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫১৪ জন। এই তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১১ প্রার্থীসহ ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে ৩১ জন ম্যাজিস্ট্রেট, ১১ প্লাটুন বিজিবি, ৩ হাজার ৬৩৫ জন আনসার, ৯৬২ জন পুলিশ সদস্য, ৩ প্লাটুন ব্যাটালিয়ন আনসার, ৪৮ জন র্যাব সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।
কেএস/
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/