রাজশাহী
গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছাড়াই পাঁচ জনের নিয়োগ
সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছাড়াই ৫টি পদে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বিরুদ্ধে।
পরীক্ষা না নিয়ে নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করে সুকৌশলে ৫টি পদের বিপরীতে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম ও সভাপতি মো. আব্দুস ছাত্তার।
জানা যায়, নিয়োগে অনিয়ম, গাছ বিক্রি, পুরাতন ঘর বিক্রি, হিসাবে গড়মিল, ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মসহ দুজনের গোপন আতাতে মোটা অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করায় বিদ্যানুরাগী ও সাধারণ মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবীতে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির অপসারনে বিভিন্ন দপ্তরে গণস্বাক্ষরে চিঠি প্রেরনের খবরও পাওয়া গেছে।
অভিযোগসূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর থানার ১১নং নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে গ্রামে অবস্থিত তিল তিল করে গড়ে ওঠা গ্রামবাসীর প্রাণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয় EIIN 128157।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নজরুল ইসলাম এবং সভাপতি মো: আব্দুস ছাত্তার মাষ্টারের যৌথ কারসাজীতে নানারকম অনিয়ম ও অর্থ বাণিজ্য হয়ে আসছে। ইতি মধ্যেই অত্র উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই ব্যক্তির গোপন চক্রান্তে ৫টি পদে ব্যাপক অর্থ বাণিজ্য ও অনিয়ম করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। যা অত্র এলাকায় বিদ্যানুরাগী ও সাধারণ মানুষের মনে ব্যাপক ক্ষোভ ও অশান্তির সৃষ্টি করেছে।
পদ ৫টি হলো (১) মো: মাসুদ রানা (OA CUM ACC), (২) মো: জুয়েল রানা (MLSS), (৩) মোছা: ছনিয়া খাতুন (AYAH), (৪) মো: আলমগীর হোসেন (N-GUARD), (৫) কাকলী ছন্দা ( ASST. LIBRAIAN CUM CATALOGER), সকলের ইনডেক্স তৈরী হয়েছে। গ্রামবাসী উপরোক্ত ব্যক্তিদের অবৈধ নিয়োগের বিরােধীতা এবং অর্থ বাণিজ্যের জন্য প্রধান শিক্ষক মো: নজরুল ইসলাম এবং বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: আ: ছাত্তারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.নজরুল ইসলাম বলেন, ৫টি নয় ৪টি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নগদ টাকা নেয়া হয়নি তবে জমি নেয়া হয়েছে। আরেকজনের নাম কিভাবে অনলাইনে পিআইডিএস আইডি ১০১২৯৯১৯০ এ আসলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের গোয়াল বাথান গ্রামের বাবুল আক্তার (বিএসসি) বলেন, এ নিয়োগে কোনো পরীক্ষা হয়নি। ৮ জানুয়ারী পরীক্ষার কথা বলছে অথচ ওই দিন এমপি জয়কে ফুলের মালা দেয়ার জন্য গিয়েছিল। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে আমরাসহ গ্রামের অনেকেই জানতো কিন্তু কেউ বলতে পারবে না। কাজেই নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন হলো তা তদন্ত সাপেক্ষে উর্দ্ধতনদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি ও কাজলগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন, জানুয়ারী ১ তারিখে ঢাকার উদ্দ্যশে ইজতেমায় যাই। ওইখান থেকে ৫ রমযানে বাড়িতে আসি। আসার পর প্রধান শিক্ষক ডেকে নিয়ে আমাকে মিষ্টি দিয়ে বলেছেন ৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। নিয়োগ কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া কিভাবে নিয়োগ হলো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাওয়ার আগেরদিন আমার কাছ থেকে পিয়ন আনোয়ার সিল স্বাক্ষর নিয়ে রেখে দিছিলো। কিভাবে হলো আমি তা বলতে পারবো না।
নিয়োগে ডিজির প্রতিনিধি কাজিপুর এ.এম ইউ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ওই নিয়োগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ছিলেন। প্রার্থীদেরকে ৪০ মিনিটের পরীক্ষা নেয়া হয় এবং তারপরেই ফলাফল ঘোষনা করে চূড়ান্ত ফলাফল সীটে স্বাক্ষর দিয়ে চলে আসছি। সভাপতি ওই নিয়োগের সময় বাহিরে ছিলেন তাহলে ওই দিন তার উপস্থিতি ও স্বাক্ষর কিভাবে হলো এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ