Connect with us

অপরাধ

‘শাহিনকে ফেরাতে কূটনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে’

Avatar of author

Published

on

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার সঞ্জীবা গার্ডেনে হত্যার ঘটনায় মূল মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি আমেরিকান আখতারুজ্জামান শাহিনকে সনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাহিন আমেরিকায় পলাতক। আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই। কিন্তু সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শাহিনকে ফেরাতে কূটনৈতিকভাবে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

বুধবার (২৯ মে) ডিএমপি সদরদপ্তরে আয়োজিত ‘ডাটাবেজ এন্ড এনালাইসিস অফ রোড ক্র‍্যাশ (DARC) সফটওয়্যার’ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার মূল মাস্টারমাইন্ড বাংলাদেশি আমেরিকান আখতারুজ্জামান শাহিনকে সনাক্ত করা হয়েছে। তার নির্দেশে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় বেশ কয়েকজন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজন গ্রেপ্তার হলেও এখনো পলাতক চারজন। হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে যাওয়া মূল পরিকল্পনাকারী আমেরিকায় আখতারুজ্জামান শাহিন ও সহযোগী সিয়াম নেপালে পালিয়ে গেছেন। তদন্তের স্বার্থে ডিবি পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দেশ দুটির এনসিবির কাছে সহায়তা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের ন্যাশনাল সেন্টার ব্যুরো (এনসিবি)।

হাবিবুর রহমান বলেন, সংসদ সদস্যকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে অর্থাৎ হত্যার মোটিভ কি? এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা ভারতীয় পুলিশ কেউই উদ্ধার করতে পারেনি। এটার যিনি ষড়যন্ত্রকারী, পরিকল্পনাকারী তিনি এখন দেশের বাইরে রয়েছেন তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাই হত্যার কারণ এখনো কিছুই উদ্ধার করা যায়নি। তাকে গ্রেপ্তার করলেই কেবল এই হত্যার মোটিভ জানা যাবে।

শাহিনকে ফেরানোর ক্ষেত্রে কি ধরণের পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে যে ধরনের প্রচেষ্টা করা দরকার সেটির সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। যেহেতু তিনি (আনার) সংসদ সদস্য ছিলেন সুতরাং বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। যদিও আমেরিকার সঙ্গে আমাদের সেই ধরণের চুক্তি নেই। তাই অন্য যে কোনো মাধ্যম বা কূটনৈতিক চ্যানেলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

Advertisement

এক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে বন্দি বিনিময় চুক্তি কাজে লাগানো হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনাটি বাংলাদেশের আইনে বিচার হতে পারে এবং ভারতে যেহেতু ঘটনা ঘটেছে সেখানেও বিচার হতে পারে। সুতরাং এটি আমাদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হতে পারে।

কলকাতা পুলিশ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংসদ সদস্য আনার হত্যাকাণ্ডে যে কয়েকজনের নাম এসেছে তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার চারজন ছাড়াও এখনো পলাতক চারজন। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে তিনজন এবং ভারতের কলকাতায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তাররা হন- আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া, তানভীর ও সিলিস্তি রহমান। অন্যদিকে কলকাতা পুলিশ জিহাদ হাওলাদার নামে একজন কসাইকে গ্রেপ্তার করে। হত্যার দুই মাস আগে মুম্বাইয়ের অবৈধ অভিবাসী জিহাদকে পাঠানো হয়েছিল। তার বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়।

সংসদ সদস্য আনার খুনের বিভিন্ন পর্যায়ে জড়িত আরও কমপক্ষে চারজনের নাম পেয়েছে দুদেশের পুলিশ। তাদের মধ্যে আখতারুজ্জামান, সিয়ামসহ চারজন এখনো ধরা পড়েননি। বাকি দুজন হলেন ফয়সাল আলী সাজী ও মো. মুস্তাফিজুর রহমান ফকির। দুজনই খুলনার ফুলতলার বাসিন্দা। ঢাকা ডিবির হাতে গ্রেপ্তার শিমুল ভূঁইয়ার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এলাকায় পরিচিত তারা। দুজন বাংলাদেশে আছেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে।

টিআর/

Advertisement
Advertisement

অপরাধ

রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা

Published

on

রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬

Published

on

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।

একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান

Published

on

গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।

কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।

জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।  আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন।  উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।

প্রসঙ্গত,  কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it