Connect with us

জনদুর্ভোগ

নেটওয়ার্ক না থাকায় চরম ভোগান্তিতে হাজারও গ্রাহক

Avatar of author

Published

on

দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার মফস্বল এলাকায় মোবাইল ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকায় হাজার হাজার গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে জেলাসহ বিভিন্ন উপজেলায় হালকা ও মাঝারি দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং থাকায় মফস্বল এলাকায় গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি ও টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাচ্ছে গ্রাহকরা। ফলে মফস্বল এলাকার ওই মোবাইল কোম্পানি টাওয়ারগুলো সোলার অথবা জেনারেটরের ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যুৎ যাওয়া মাত্রই মোবাইল নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যায়। ফলে উপজেলার মফস্বল এলাকার হাজার হাজার গ্রাহকরা গত কয়েক দিন থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। সেই সাথে মফস্বল এলাকায় শতশত বিকাশ, রকেট ও নগদের এজেন্ট ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো লেন দেনসহ গ্রাহকদের মোবাইলে রিচার্জ (টাকা) দিতে না পাড়ায় নিজেরাও ভোগান্তির পাশাপাশি আয়ও কমে যাওয়ায় দুর্দিন পাড় করছে। গ্রাহকরা মোবাইল কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিটি মোবাইল টাওয়ারে দ্রুত জেনারেটর অথবা সোলার প্যানেল স্থাপন করার দাবি জানিয়েছেন।

নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী এলাকার বিমল চন্দ্র সিংহ রায় ও ফুলবাড়ী উপজেলার কুরুষা ফেরুষা এলাকার রনবীর চন্দ্র রায় জানান, কারেন্ট থাকলে নেটওয়ার্ক থাকে। কারেন্ট না থাকলে নেটওয়ার্কের দেখা নেই। এই দুই মোবাইল গ্রাহক জানান গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা থেকে শুক্রবার পনে ১ টা পর্যন্ত নেটওয়ার্ক ছিল না। কাল মোবাইলে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। শুক্রবার টানা ১৬ ঘণ্টা পর মফস্বল এলাকায় নেটওয়ার্কের দেখা পেলাম। তারা আরও জানান এখনতো ঝড় বৃষ্টির দিন কারেন্ট যাবে এটাই স্বাভাবিক। তবে মোবাইল কোম্পানির কর্তৃপক্ষ টাওয়ারগুলো সোলার অথবা জেনারেটরের ব্যবস্থা করলে আমাদের দুর্ভোগ কমতো।

ফুলবাড়ী উপজেলার বালারহাট বাজারের নগদ-বিকাশের ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম ও অনাথ চন্দ্র রায় জানান, গত কয়েক দিন থেকে নেটওয়ার্ক না থাকায় আমাদের ব্যবসা অবস্থা করুন। সেই সাথে গ্রাহকরাও পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। এই দুই ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক দ্রুত সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

একই বাজারের কম্পিউটার ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, গত কয়েক দিন থেকে একদিকে নেটওয়ার্ক অন্য দিকে কারেন্ট না থাকায় একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদনসহ বিভিন্ন অনলাইনের কাজ কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। তাই মফস্বল এলাকায় সব সময় গ্রামীণ টেলিটক, রবিসহ সকল প্রকার নেটওয়ার্ক থাকায় জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

Advertisement

এ ব্যাপারে গ্রামীণ ফোনের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী জোনের এসি (মাঠকর্মী) সুখী নাথ সরকার জানান, কারেন্ট না থাকায় মফস্বল এলাকায় নেটওয়ার্ক থাকে না বিষয়টি শিকার করেন জানান ঝড় বৃষ্টির কারণে এখনো কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের ২৭ টি টাওয়ারের নেটওয়ার্ক নেই। এই দুই জেলা মিলে ৭ টি জেনারেটর আছে। সেগুলো দুই জেলার বিভিন্ন শহরে দেয়া হয়েছে। এই বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে কারেন্ট থাকলে কোথাও কোন নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকে না।

এএম/

Advertisement

জনদুর্ভোগ

শনির আখড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ

Published

on

কোটা আন্দোলনে ঘিরে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা ও শনির আখড়া অংশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ   ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের।

শনিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। ফলে ঢাকা অভিমুখি সব প্রবেশ ও বাইর হওয়ার সব পথ বন্ধ।

সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ (শনিবার) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।

জেডএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

ইন্টারনেট বন্ধে দৈনিক ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা

Published

on

কোটা আন্দোলন ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। এ সময় প্রতিদিন গ্রাহকরা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে গেছে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে আরও ৫ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, সফটওয়্যার শিল্পে ধস নেমেছে। একইভাবে টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যাবসা কমেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি সকল ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তাই সারাদেশে দ্রুত মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের সকল এক্সেস যেনো ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ইন্টারনেট এখন জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার বলেও জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।

Advertisement

বিল গ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ও বিটিআরসির কাছে আমাদের দাবি থাকবে যে, অব্যাহত ইন্টারনেট সেবা চালুর সাথে সাথে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার। কোনোভাবেই তা পরের রিচার্জের সঙ্গে যুক্ত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ গ্রাহক ইতোমধ্যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় এক দেশ এক রেট গাইডলাইন অনুসারে একটানা ৩ দিন বন্ধ থাকলে ১৫ দিনের বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে এবং ৭ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সারা মাসের বিল না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ দিন একটানা বন্ধ হয়ে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির কাছে আবেদন গ্রাহকদের থেকে আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল না নেয়া হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।

গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানায়, গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি কোনোভাবেই যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়া না হয়। ভয়ভীতি তৈরি হয় এমন কিছু পোষ্ট না করা হয়। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয় বহির্বিশ্বে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

যেসব অংশে মেট্রোরেল বন্ধ

Published

on

নিরাপত্তার শঙ্কায় মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও এবং দিয়বাড়ি থেকে পল্লবী অংশে মেট্রোরেল চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার শঙ্কায় সাময়িকভাবে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করা হয়।

মেট্রোরেলের বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে। এদিন দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মিরপুর ১০ এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।

উল্লেখ্য, এ সময় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরপরই নিরাপত্তার শঙ্কায় কিছু অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it