খেলাধুলা
সর্বনিম্ন রানে অলআউট উগান্ডা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উগান্ডা মাত্র ৩৯ রানেই গুটিয়ে যায়। ফলে ১৩৪ রানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় ব্যবধানে (রানের হিসাবে) জিতল বিশ্বকাপের আয়োজকরা। সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পড়েছে আফ্রিকান দেশ উগান্ডা।
গায়ানায় প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয়রা ঠিক টি-টোয়েন্টি মেজাজে ছিল না। যদিও শেষদিকে আন্দ্রে রাসেলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭৩ রানের লড়াকু পুঁজি পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। সেই রানতাড়ায় করতে নেমে আকিল হোসেনের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়ে যায় উগান্ডা। তার পাঁচ শিকারে তারা গড়েছে সর্বনিম্ন রান করার লজ্জার রেকর্ড। এতে এতদিন একাই শীর্ষে থাকা নেদারল্যান্ডসের মুক্তি মিলল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০১৪ আসরে চট্টগ্রামে ডাচরা মাত্র ৩৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল।
টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রভম্যান পাওয়েলের দল ভালো শুরু পায়। দুই ওপেনার ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চার্লস গড়েন ৪.৩ ওভারে ৪১ রান তোলেন। কিংয়ের (৮ বলে ১৩ রান) বিদায়ে ভাঙে সেই উদ্বোধনী জুটি। এরপর ২০২২ বিশ্বকাপের পর থেকে স্ট্রাইকরেটের দিক থেকে দ্বিতীয় সেরা জনসন চার্লস খেলেছেন ওয়ানডে মেজাজের ইনিংস। ৪২ বলে তিনি ৪৪ করেন। অবশ্য তার পরে নামা নিকোলাস পুরান (১৭ বলে ২২), অধিনায়ক পাওয়েলও (১৮ বলে ২৩) ঠিক নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।
১১ ওভারেই দলীয় একশ রান তোল ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরের চার ওভারে পায় মাত্র ২৫ রান। ফলে তাদের পুঁজি খুব বেশি হবে না ধরেই নেয়া হয়েছিল। তবে রাসেল এসে খেলেছেন নিজের স্বভাবসুলভ বিধ্বংসী ইনিংস। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৭ বলে ৩০ রানে। এ ছাড়া ১৬ বলে ২২ রান করেন শেরফান রাদারফোর্ড।
চলতি বিশ্বকাপের নিরিখে ক্যারিবীয়দের পুঁজিকে বড়–ই বলা যায়। সেই রান তাড়ায় একেবারে গোড়া থেকেই খেই হারায় উগান্ডা। আগের ম্যাচে পাপুয়া নিউগিনিকে হারানো দলটির মাত্র একজন ব্যাটারই পেয়েছেন দুই অঙ্কের দেখা। টেল এন্ডারে নামা জুমা মিয়াগি সর্বোচ্চ ১২ রান করেন। এ ছাড়া আর কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে। উগান্ডাকে নিয়ে মূলত ছেলেখেলা করেছেন স্পিনার আকিল হোসেন। এই বাঁ–হাতি স্পিনার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন এদিন।
৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন আকিল। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনো বোলারের প্রথম ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি ষষ্ঠ সেরা বোলিং ফিগার। আকিল ইনিংসের প্রথম ৭ ওভারের মধ্যেই ৫ উইকেট পেয়েছেন। তার স্টাম্প বরাবর করা বলগুলোর কোনো উত্তর ছিল না উগান্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছে। ৫টি উইকেটের ৩টি এলবিডব্লিউ ও ২টি বোল্ড। এ ছাড়া আলজারি জোসেফ নিয়েছেন ২ উইকেট। ইতোমধ্যে দুই জয়ে উইন্ডিজরা সুপার এইটের পথে এগিয়ে গেছে। তাদের গ্রুপে সমান জয় পাওয়া আরেক দল আফগানিস্তান।
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//