লাইফস্টাইল
হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল করার ৪টি উপায়
যাদের চুল ন্যাচারালি স্ট্রেইট, তারা নিজের লুকে ইনস্ট্যান্ট চেঞ্জ আনতে হেয়ার কার্ল করে নিতে পারেন। তবে আমাদের সবার কাছে তো হেয়ার কার্লার বা হিট স্টাইলিং টুলস থাকে না। আবার হেয়ার ড্যামেজের ভয়ে সরাসরি হিট দিতেও চায় না অনেকে! হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল করা সম্ভব। চলুন দেখে নেয়া যাক কীভাবে ঘরে বসে হেয়ার কার্লার ছাড়াই হেয়ারস্টাইল করা যায়।
স্টাইলিংয়ের আগে হেয়ার প্রিপেয়ার করা
শ্যাম্পু, কন্ডিশনিং, হেয়ার সিরাম- এই তিনটি স্টেপে চুল প্রিপেয়ার করে নিন। যেমন আমরা মেকআপের আগে স্কিনকে প্রিপেয়ার করি, ঠিক তেমনই হেয়ারস্টাইল করার আগে বেসিক হেয়ার কেয়ার করে নিতে হবে। এতে ফ্রিজিনেস কন্ট্রোল করা যায় এবং চুল ম্যানেজেবল থাকে। আর এতে যেকোনো হেয়ারস্টাইল খুব সুন্দরভাবে করা যায়।
হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল
১) ওভারনাইট ব্রেইড মেথড
খুবই সিম্পল টেকনিক, কিন্তু দারুণ কার্যকরী। বেণি আমরা সবাই কম বেশি করে থাকি। ওভারনাইট ব্রেইড মেথড ফলো করে হিটলেস সফট কার্লস পেয়ে যাবেন।
- প্রথমে হেয়ার সিরাম অ্যাপ্লাই করে নিন
- চুল ভালোভাবে আঁচড়িয়ে মাঝ বরাবর সিঁথি করে নিন
- দুই সেকশনে ভাগ করে একটু টাইট করে বেণি করে নিন একদম চুলের আগা পর্যন্ত
- বেণি টাইট করে করা হলেও স্ক্যাল্পের কাছে লুজ রাখবেন, মানে হেয়ার রুটে যেন টান না লাগে
- এবার ইলাস্টিক ব্যান্ড দিয়ে ব্রেইড সিকিউর করুন
- এভাবে চুল বেঁধে রাতে ঘুমিয়ে পড়ুন এবং সকালে বেণি খুলে আস্তে আস্তে ফিংগার টিপস দিয়ে চুল সেট করুন
- এবার সামনের চুলগুলো নিজের ইচ্ছেমতো সেট করুন
- কার্ল লং লাস্টিং করতে হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন
২) হেয়ার রোলার
শর্ট কিংবা লং লেন্থের চুলে খুব সহজেই রোলার ব্যবহার করে কার্ল করা যায়। হেয়ার লেন্থ ও কেমন ধরনের কার্ল করতে চান, সেটার উপর বেইজ করে রোলার চুজ করুন। সফট ওয়েভি হেয়ার বা লুজ কার্লসের জন্য বড় সাইজের রোলার নিতে হবে। আর স্পাইরাল কার্ল করতে চাইলে ছোট সাইজের রোলার বেছে নিন।
- চুলে ওয়াটার স্প্রে করে হালকা ভিজিয়ে নিন কিংবা ভেজা চুল টাওয়েল ড্রাই করেও নিতে পারেন
- এবার চুল ছোট ছোট সেকশন করে নিন
- রোলার ব্যবহার করুন একদম চুলের আগা থেকে, আস্তে আস্তে রোল করে হেয়ার রুটের কাছে নিন
- খুব স্মুথলি ও ইভেনলি রোল করুন এবং রোলারগুলো সিকিউর করে নিন ববি পিন বা ক্লিপ দিয়ে
- এভাবে প্রতিটি সেকশন আলাদা করে রোল করুন
- এভাবে কিছু সময় রেখে দিন
- যদি চুলের নিচের অংশ কার্ল করতে চান, তাহলে শুধু সেই পার্টটুকুই রোল করতে হবে
- চুল ড্রাই হয়ে গেলে রোলারগুলো খুলে ফেলুন খুব সাবধানে যেন কার্লস শেইপ নষ্ট না হয়ে যায়
- এবার চুল মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়িয়ে সেট করুন এবং হেয়ার স্প্রে দিয়ে নিন
৩) হেডব্যান্ড কার্ল মেথড
এটিও একটি হিটলেস টেকনিক যার মাধ্যমে খুব কম ইফোর্টেই ভলিউমিনাস কার্লি হেয়ার পাওয়া যায়। যাদের চুল একদম ফ্ল্যাট ও পাতলা, হেয়ারে ভলিউম আনতে চান; তারা মাস্ট ট্রাই করুন। আপনার প্রয়োজন হবে সফট ইলাস্টিকযুক্ত ওয়াইড হেডব্যান্ড। মানে একদম চিকন প্লাস্টিকের হেডব্যান্ড নিলে হবে না। ব্যান্ড খুব বেশি লুজও হবে না, আবার একদম টাইটও হবে না।
- প্রথমে ভেজা চুল টাওয়েল ড্রাই করে নিন
- এবার কপালের উপর হেয়ারলাইন বরাবর ব্যান্ড সেট করুন
- এবার ছোট ছোট হেয়ার সেকশন নিয়ে ব্যান্ড র্যাপ করতে থাকুন
- এই প্রসেস রিপিট করে সব চুল দিয়ে এভাবে হেডব্যান্ড পেঁচিয়ে নিন
- ওভারনাইট রাখুন বা সম্ভব না হলে ২-৩ ঘন্টা এভাবে রেখে আস্তে আস্তে খুলে ফেলুন
- এবার আঙুল দিয়ে চুলগুলো কম্ব করে সেট করুন ও হেয়ার স্প্রে দিয়ে নিন
৪) টুইস্ট মেথড
যারা একদম ন্যাচারাল-লুকিং লুজ কার্লস প্রিফার করেন, তাদের জন্য এই মেথডটি বেশ ইফেক্টিভ। খুবই সহজ ও ঝামেলাবিহীন পদ্ধতি, যাদের হেয়ার লং ও স্ট্রেইট, তাদের জন্যই মেইনলি রেকমেন্ড করবো। তবে যাদের শর্ট হেয়ার, তারাও ট্রাই করতে পারবেন।
- হালকা ভেজা চুলে প্রথমে হেয়ার সিরাম অ্যাপ্লাই করে নিন
- এবার মাঝ বরাবর সিঁথি করে চুল দু’টি সেকশনে ভাগ করুন
- এক সাইডের চুল কম্ব করে দু’ভাগ করে টুইস্ট করতে থাকুন
- একদম চুলের আগা পর্যন্ত টুইস্ট করে নিন
- এবার টুইস্টেড হেয়ার বান করে ফেলুন ও ইলাস্টিক ব্যান্ড দিয়ে সিকিউর করুন
- অপর সাইডেও সেইম প্রসেস ফলো করুন
- এভাবে কয়েক ঘন্টা রাখুন অথবা চাইলে ওভারনাইটও রাখা যায়
- হাতের আঙুল বা প্যাডেল হেয়ার ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়িয়ে সেট করে নিন
হেয়ার লুকে একটু ভিন্নতা আনতে এবং নিজেকে ডিফারেন্টভাবে প্রেজেন্ট করতে হিট ছাড়াই হেয়ার কার্ল করা যায় অনেক সহজে।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ