লাইফস্টাইল
৫টি প্রাকৃতিক উপায়ে স্কিন রাখুন সুন্দর ও উজ্জ্বল
রুপচর্চার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ত্বক পরিষ্কার করাতেও রয়েছে পার্থক্য। তৈলাক্ত, শুষ্ক, নরমাল কিংবা সেনসিটিভ ত্বক- একেক ত্বক পরিষ্কার করার উপায় একেক রকম। এমনকি ত্বকের ধরণ অনুযায়ী পার্থক্য রয়েছে ফেইস ওয়াশেরও। তৈলাক্ত এবং শুষ্ক ত্বকের যত্ন নিয়ে কম বেশি সবাই সচেতন। কিন্তু নরমাল স্কিন নিয়ে অনেকে সচেতন নয়। অথচ নরমাল ত্বকের যত্ন নেয়া বেশি সহজ। এই সহজ কাজটি আরো সহজ করে দেবে আজকের আর্টিকেলটি।
নরমাল ত্বকের যত্ন
১. সকাল এবং রাতে ত্বক ক্লেনজার দিয়ে পরিষ্কার করুন। বিশেষ করে মেকআপ করার পর অবশ্যই ক্লেনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করে নিবেন।
২. মুখ ধোয়ার পর সকালে এবং রাতে কিছুটা ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
৩. সপ্তাহে একবার ত্বক এক্সফলিয়েট করুন ভালো কোনো স্ক্রাব দিয়ে।
৪. স্কিন মাস্ক সপ্তাহে এক বা দুইবার ব্যবহার করুন। বিশেষ করে এক্সফলিয়েশন-এর পর ত্বকে একটি ফেইস প্যাক ব্যবহার করুন।
৫. দিনেরবেলায় রোদে যাওয়ার সময় অব্যশই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন কিংবা এসপিএফ (SPF) সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি সাধারণ ত্বকের ক্লেনজার
ত্বক পরিষ্কার করতে সাধারণত সবাই ক্লেনজার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সব ক্লিনজার ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা দূর করে না, আবার কিছু কিছু ক্লিনজার ত্বক শুষ্ক করে তোলে। বিভিন্ন কারণে অনেকেই বাজারের ক্লেনজারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক ক্লেনজার ব্যবহার করতে বেশি পছন্দ করেন। তাই আজ প্রাকৃতিক কিছু সাধারণ ত্বকের ক্লেনজার সম্পর্কে জেনে নিন।
১. টকদই
টকদই নরমাল ত্বকে বেশ ভালোভাবে মানিয়ে যায়। কিছু পরিমাণ টকদই নিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে ব্যবহার করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুধু ত্বক পরিষ্কার করবে তা কিন্তু নয়, ত্বকের কালো দাগ দূর করতে টকদই বেশ কার্যকরী।
২. সাধারণ ত্বকের ক্লেনজার টকদই এবং মধু
নরমাল ত্বকের জন্য টকদই এবং মধু একটি আর্দশ ফেইস প্যাক। দুই চা চামচ টকদই এবং এক চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি ত্বকে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে লাগান। প্যাকটি ২-৩ মিনিট ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক।
৩. ডিম এবং মধু
ফ্রেশ এবং সুন্দর ত্বকের জন্য প্রয়োজন প্রোট্রিন এবং ভিটামিন। আর প্রোট্রিনের পারফেক্ট উৎস হলো ডিম। মধু আর ডিমের এই প্যাকটি আপনার ত্বককে করে তুলবে আরো বেশি মসৃণ এবং সতেজ। একটি পাত্রে একটি ডিমের সাদা অংশ এবং এক চা চামচ মধু নিন। এই দুটি উপাদান খুব ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন। এই মিশ্রণের সাথে কিছু পরিমাণ কাঠবাদামের পেস্ট মিশিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে চক্রকারে ম্যাসাজ করে লাগান। এই প্যাকটি স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করতে পারবেন। ১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক পরিষ্কার করার সাথে সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
৪. সাধারণ ত্বকের ক্লেনজার আপেল ফেইস প্যাক
ফল হিসাবে আপেলের পুষ্টিগুণের কথা সবার জানা। ত্বক পরিষ্কারক হিসাবে এই আপেল দারুণ কাজ করে। একটি আপেল সিদ্ধ করে নিন। একটি কাঁটা চামচ দিয়ে সিদ্ধ আপেলটি ভালো করে ম্যাশ করুন। এরপর এরসাথে এক চা চামচ ক্রিম, এক চা চামচ অলিভ অয়েল এবং এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০ মিনিট এই প্যাকটি ত্বকে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। আর পেয়ে যান ক্লিন, ফ্রেশ এবং উজ্জ্বল ত্বক।
৫. মধু এবং লেবুর রস
লেবু ত্বক পরিষ্কার করে এবং মধু ত্বক ময়েশ্চারাইজ করে থাকে। মধু এবং লেবুর রস পারফেক্ট ক্লেনজার। মধুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে মধু এবং লেবুর এই মিশ্রণটি। দুই চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। মিশ্রণটি শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এই ৫টি সাধারণ ত্বকের ক্লেনজার নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক থাকবে সুস্থ ও সুন্দর। আর ত্বকে পেয়ে যাবেন অন্যরকম একটি গ্লো, যা আপনি সবসময় চেয়েছিলেন।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ