জাতীয়
স্থগিত ১৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা
দেশের ১৯টি উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া নির্বাচন গতকাল রোববার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব উপজেলার মধ্যে একটি বাদে প্রায় সব কটিতেই বিজয়ী প্রার্থীরা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। শুধু ভোলার লালমোহনে বহিষ্কৃত এক বিএনপি নেতা বিজয়ী হয়েছেন।
গেলো ২৯ মে তৃতীয় ধাপে এসব উপজেলায় নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। ইতোমধ্যে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থগিত উপজেলাগুলোতে ভোটের মাধ্যমে শেষ হলো এবারের উপজেলা নির্বাচন।
বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় জয়ী হয়েছেন মো. মনির হোসেন মিয়া। তিনি গৌরনদী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। আগৈলঝাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক যতিন্দ্র নাথ মিস্ত্রী বিজয়ী হয়েছেন। বরগুনার পাথরঘাটায় জয় পেয়েছেন এনামুল হোসাইন। তিনি পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আর বামনায় নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান।
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় জয় পেয়েছেন মো. বায়েজিদ। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। নেত্রকোনার খালিয়াজুরীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শামছুজ্জামান তালুকদার বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
পটুয়াখালীর সদরে জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে তৃতীয়বারের মতো কাপ-পিরিচ প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী। তিনি পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। দুমকিতে নির্বাচিত হয়েছেন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা কাওসার আমিন হাওলাদার।
বাগেরহাটের শরণখোলায় জয়ী হয়েছেন রায়হান উদ্দিন শান্ত। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। মোংলায় পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার। মোরেলগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন মো. লিয়াকত আলী খান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
খুলনার পাইকগাছায় বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস। ডুমুরিয়ায় পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গাজী এজাজ আহমেদ। কয়রা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন জি এম মহসীন রেজা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
ভোলার লালমোহনে নির্বাচনে বিএনপি নেতা আক্তারুজ্জামান জয়ী হয়েছেন। লালমোহনে বিএনপির দুটি কমিটি আছে। এর মধ্যে একটি কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন আক্তারুজ্জামান। অপরদিকে ভোলার তজুমদ্দিনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক দেওয়ান।
ঝালকাঠির রাজাপুরে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিলন মাহমুদ। জেলার কাঠালিয়ায় জয়ী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
কেএস/
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ