লাইফস্টাইল
লিপস্টিক কালার ও ব্যক্তিত্ব
নারীদেরকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, মেকআপ প্রোডাক্টসগুলোর মধ্যে কোন জিনিসটি আপনার জন্য অপরিহার্য, তাহলে ম্যাক্সিমাম নারীর উত্তর হবে, লিপস্টিক। বিভিন্ন সময়ে মুড বা অকেশনে আমরা মেকআপ বা ড্রেসের উপর নির্ভর করেই লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করে থাকি। কিন্তু এই লিপস্টিকের কালারগুলো যে আমাদের পারসোনলিটির প্রকাশ ঘটায়, তা জানেন কি? চলুন তবে জেনে নেই লিপস্টিক কালার ও ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী আপনি কেমন।
১. রেড লিপস্টিক
আজকালতো সবার কালেকশনে রেড কালারের একটা আছেই। রেড কালারটা আপনার ব্যক্তিত্বের কোন দিক প্রকাশ করে, জানেন? রেড যেহেতু একটা বোল্ড কালার, তাই এটা আপনার কনফিডেন্সকে প্রকাশ করে। আপনি সবার থেকে আলাদা এবং নিজেকে প্রকাশ করতে অনেক বেশী সাহসী। কারণ, আপনি কনফিডেন্টভাবে রেড লিপস্টিক পরে আছেন।
২. পিংক লিপস্টিক
পিংক কালারটির কথা ভাবলেই কেমন একটা প্রিটি প্রিটি ভাব চলে আসে মনের মধ্যে। পিংক কালারের লিপস্টিক প্রকাশ করে, আপনি কিউট স্টাফস বেশী পছন্দ করেন এবং নিজেও নিজেকে কিউট, প্রিটি হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করেন। আপনার ফ্রেন্ডলি মনোভাবও প্রকাশ পায় এই পিংক কালারের লিপস্টিকটির মাধ্যমে।
৩. ব্রাউন লিপস্টিক
আপনি যখন ব্রাউন টাইপের কোনো লিপস্টিক আপনার ঠোঁটে পড়েন, তখন তা প্রকাশ করে আপনি প্রকৃতি এবং চারপাশের পৃথিবীর সাথে কানেক্টেড। আপনার লাভিং পারসোনালিটির প্রকাশ ঘটে এতে।
৪. ন্যুড লিপস্টিক
ন্যুড কালারগুলোতো সবারই কম বেশী ফেভারিট। এই কালারটি আপনার মধ্যকার শাইনেস বা লজ্জাভাব ফুটিয়ে তোলে। যদিও ভেতর থেকে আপনি একজন ওয়ার্ম এবং কেয়ারিং পারসন হিসাবে প্রকাশ পায়। আপনি শুধুমাত্র ন্যাচারালভাবে থেকেই আপনার সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চান। আপনি চান সকলের মধ্যে ভালোবাসা এবং আনন্দ ছড়িয়ে দিতে।
৫. অরেঞ্জ লিপস্টিক
অরেঞ্জ বলতে গেলে একটা ফান কালার। অরেঞ্জ কালার লিপস্টিক প্রকাশ করে, আপনি ইয়ং, আনন্দ পছন্দ করেন, অ্যানার্জেটিক, কেয়ারলেস, ওয়াইল্ড এবং মুক্ত। এটিও কিন্তু একটি বোল্ড কালার। সহজেই অরেঞ্জ লিপস্টিক কেউ ক্যারি করতে পারবে না।
৬. পার্পল লিপস্টিক
পার্পলতো আরেকটি বোল্ড লিপস্টিক তা সবাই জানি। আর এটি পড়লে অসম্ভব সুন্দর ও লাগে দেখতে। বাট এই পার্পল লিপস্টিক বা বেগুণী রঙ আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কি প্রকাশ করে জানেন? আপনি যদি পার্পল কালারের লিপস্টিক পড়েন, তবে আপনি স্ট্রং, আপনি আপনার ইনার পাওয়ার প্রকাশ করতে ইচ্ছুক। আপনি কনফিডেন্ট এবং আবেদনময়ী।
৭. ইউনিক কালার লিপস্টিক
আজকাল নারীরা বিভিন্ন ইউনিক ফান কালারের লিপস্টিকও ট্রাই করছেন। যেমন – ব্লু, গ্রীন, ইয়োলো বা যে কোনো ওয়াইল্ড কালার। এগুলো আপনার ক্রিয়েটিভিটি প্রকাশ করে। যখন আপনি কোনো ইউনিক কালারের লিপস্টিক ট্রাই করছেন, তখন সেটা প্রকাশ করে, আপনি ডিফারেন্ট এবং গন্ডির বাইরে আপনি চলাচল করতে ইচ্ছুক। মানুষ কী ভাবলো না ভাবলো তাতে আপনার কিছুই যায় আসে না। আপনি আপনার মতই নিজেকে মেলে ধরতে চান।
৮. ব্ল্যাক লিপস্টিক
আজকালতো অনেকে ব্ল্যাক কালারের লিপস্টিকও ট্রাই করছেন। ব্ল্যাক কালারের লিপস্টিক কিন্তু প্রকাশ করে না যে আপনি একজন নেগিটিভ পারসন। উলটে, এটি প্রকাশ করে, আপনার ভালো সাইডের পাশাপাশি ডার্ক সাইডও রয়েছে। এটাও একটা ফান কালার হিসেবেই ধরা হয়।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ