চট্টগ্রাম
বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিলো বিজিপির ২৮ সদস্য
মিয়ানমার চলমান সংঘাতে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে নতুন করে আরও কমপক্ষে ২৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে । তারা নৌকায় নাফ নদী পেরিয়ে টেকনাফের সাবরাং সীমান্তে টেকনাফ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১জুন) ভোরে টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের আঁচারবনিয়া সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বিজিপির এসব সদস্য পালিয়ে আসেন বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী।
আদনান চৌধুরী বলেন, ভোরে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নাফ নদীর আঁচারবনিয়া পয়েন্ট দিয়ে একটি কাঠের ট্রলার যোগে অস্ত্রসহ বিজিপির কমপক্ষে ২৮ জন সদস্য পালিয়ে আসে। পরে তারা সীমান্তে টহলরত বিজিবির সদস্যদের কাছে আত্মসমর্পণ করে আশ্রয় প্রার্থনা করে।
তিনি আরও জানান, ২৮ জন বিজিপির সদস্য পালিয়ে আসার ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তথ্য দিলে সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিজিপির এসব সদস্যদের হেফাজতে নেওয়ার পর বিজিবির দমদমিয়া বিওপিতে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবরাং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ভোরে নাফ নদী সীমান্ত দিয়ে কাঠের ট্রলার যোগে অস্ত্রসহ বিজিপির ২৮ জন সদস্য পালিয়ে আসে। পরে বিজিবির সদস্যরা মিয়ামনার সীমান্তরক্ষী বিজিপির এসব সদস্যদের হেফাজতে নিয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বিজিপি ছাড়াও দেশটির সেনাবাহিনীর ৬১৮ জনকে দুই দফায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে গেলো ২৫ এপ্রিল ২৮৮ বিজিপি ও সেনা সদস্য এবং গেলো ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ বিজিপি, সেনা ও কাস্টমস কর্মকর্তাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/