প্রবাস
দুবাইয়ে পশুর হাটে জমে উঠেছে বেচাকেনা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ের আল-কুসাইস ক্যাটল মার্কেটে পশুর বাজার জমে উঠেছে। আর একদিন পর কোরবানির ঈদে নিজেদের সাধ্যমতো কিনছেন কোরবানির পশু। স্থানীয় আরবদের পাশাপাশি প্রবাসী বাংলাদেশিরাও নিচ্ছেন কোরবানির প্রস্তুতি।
দুবাইয়ে অধিকাংশ পশু বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা। আমদানিকৃত দেশ হচ্ছে সোমালিয়া, ইথিওপিয়া, মিশর, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশ। স্থানীয়ভাবেও বিভিন্ন খামারে পশু পালন করা হয়। তবে ঈদকে ঘিরে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় পশু আমদানি।
বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, গরু, ছাগল, উট এবং দুম্বাসহ বেচাকেনা হচ্ছে বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন দেশের পশু। দর কষাকষিতে পছন্দসই পশু কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা। গরুর মূল্য কিছুটা কম হলেও দুম্বার মূল্য তুলনামূলক বেশি। একটি গরুর মূল্য ৩৫০০ দিরহাম থেকে শুরু, আর একটি দুম্বার মূল্য ৫০০ দিরহাম থেকে শুরু।
দুবাইয়ের বাংলাদেশি প্রবাসীরা জানান, ঈদের দিনে দেশকে মিস করলেও প্রবাসী সহকর্মীদের সাথে আনন্দ উপভোগে দেশে পরিবারের সাথে না থাকার অভাব কিছুটা ভোলা যায়।
এএম/
প্রবাস
সৌদি আরবের আইন মেনে চলুন: জেদ্দার কনসাল জেনারেল
বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোসহ সৌদি আরবের আইন মেনে চলার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানিয়ছেন সৌদি আরবে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হক। তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে কনসাল জেনারেলের দায়িত্ব পালন শেষে ঢাকায় ফেরার আগে আয়োজিত এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
গত বৃস্পতিবার কনস্যুলেট জেনারেলের হল রুমে আয়োজিত ওই বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সৌদি আরবে প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সংগঠন-বাংলাদেশ রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, সৌদি আরব।
এম ওয়াই আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল বলেন, ‘দীর্ঘ ৩ বছরের অধিক সময় জেদ্দায় কাজ করার সময় সহযোগিতার জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। ’ এসময় তিনি বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণ এবং সৌদি আরবের আইন মেনে চলার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিছ সরকার উজ্জলের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী সাংবাদিক রফিক চৌধুরী, শেখ রনি ও এবিএস রাব্বি।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী সাংবাদিক সাজিদুল ইসলাম, মাসুদ সেলিম, মোহাম্মদ ফিরোজ, কাওসার আব্দুস সালাম ও এআর নোমান।
এমআর//
প্রবাস
নিউইয়র্কে হয়ে গেল জমজমাট ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান
জমজমাট আর বর্ণাঢ্য আয়োজনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে হয়ে গেলো ‘ঢালিউড ফিল্ম এন্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান। স্থানীয় সময় রোববার জ্যামাইকার অ্যামাজোরা কনসার্ট হলে এ উপলক্ষ্যে যেন বসেছিলা এক ঝাঁক তারার মেলা।
ঢাকাই চলচ্চিত্র ও ছোট পর্দার বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীর অংশগ্রহনে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে আরো আকর্ষণীয়। স্টেজে তাদের চোখ-ধাঁধানো পারফরমেন্স দর্শকদের মনে করিয়ে দেয় এটি যেনো এক টুকরো বাংলাদেশ। আর যেনো প্রবাসী বাংলাদেশিদের মনে করিয়ে দেয় যেখানেই থাক- বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি যাবে না ভোলা।
দর্শকদের জন্য রোববার সন্ধ্যা সাতটায় হল খুলে দেওয়া হলে হাজারো বাংলাদেশি হলে প্রবেশ করেন। দর্শকপূর্ণ হয়ে যায় পুরো হল। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকেও এসেছিলেন অভিনেত্রী দর্শনা বণিক।
জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী দিনাত জাহান মুন ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাবু জামানের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে আরও আকর্ষণীয়। ঢালিউড ও ছোট পর্দার অভিনেতাদের নৃত্য, সংগীত পরিবেশন, কখনও অনুভূতি প্রকাশ-দশর্কদের মন ছুয়ে যায়। আনন্দে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের নৃত্য পরিবেশনায়।
অনুষ্ঠানে ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন ঢালিউডের শক্তিমান খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ, জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, নিরব, তাহসান খান, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী, তানজিন তিশা, তাসনিয়া ফারিন, মন্দিরা,গীতিকার কবির বকুল,কণ্ঠ শিল্পী রানু নেওয়াজ, অনিক রাজ, লায়লাসহ অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ পরিচিত মুখ ফাতেমা নাজনীন প্রিসিলাও পেয়েছেন ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড।
গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ‘ঢালিউড অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠান। আলমগীর খান আলম শো টাইম মিউজিক এন্ড প্লে-র ব্যানারে বাংলাদেশের নাটক, সিনেমা, সংগীতের সেরা তারকাদের এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। এবার ছিলো অ্যাওয়ার্ডটির ২২তম আসর।
শো টাইম মিউজিক এর কর্ণধার আলমগীর খান ছাড়াও অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক শাহ নেওয়াজ,নিউইয়র্ক সিটি মেয়রের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা ফরহাদ সোলেমানসহ নিউইয়র্কের বিশিষ্ট ব্যাক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এমআর//
প্রবাস
বাংলাদেশ-দ.আফ্রিকা ম্যাচ: নাসাউ স্টেডিয়াম যেনো এক টুকরো বাংলাদেশ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশি দর্শকদের মধ্যে ছিল তুঙ্গস্পর্শী উত্তেজনা। নিউইয়র্কের ৩৪ হাজার ধারণ ক্ষমতার নাসাউ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি দর্শকদের ছিলো উপচে পড়া ভিড়। নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের সব পথ যেন মিশে গিয়েছিলো নাসাউ কাউন্ট্রি মাঠে।
গ্যালারিতে যেদিকে চোখ যায় শুধু দুটি প্রিয় রং-লাল ও সবুজ। সঙ্গে ক্ষণে ক্ষণে যৌবন গর্জন। নাসাউ রূপ নেয় মিরপুরে। শুধু নিউইয়র্ক নয়,যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব অঙ্গরাজ্য থেকে খেলা উপভোগ করতে বাংলাদেশি দর্শকরা ভিড় করেন নাসাউ স্টেডিয়ামে।
গ্যালারি থেকে টাইগারদের উৎসাহ দিতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ‘বাংলাদেশ বাংলাদশ’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দর্শকদের লুঙ্গি ড্যান্সও ছিলা উল্লেখ করার মতো। স্টেডিয়াম পরিণত হয়েছিলো বাংলাদেশিদের মিলন মেলায়। নাসাউ স্টেডিয়াম হয়ে যায় এক টুকরো বাংলাদেশ। যতক্ষণ ম্যাচ চলছিলো, ততক্ষণ আনন্দ আর উম্মাদনায় মেতে ওঠেন বাংলাদেশি দর্শকরা।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশি বোলারদের পারফরমেন্সে এবং পরে তৌহিদ হৃদয় ও মাহমুদ উল্লাহর ব্যাটিংয়ে সবাই ধরেই নিয়েছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগাররা জয় পাবেন।
তবে নিয়মের গেরোয় যত রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হল বাংলাদেশ, শেষ পর্যন্ত ঠিক সেই রানেই হেরে যাওয়ায় যন্ত্রণাটা আরও বাড়ল। আর যে ওভারে সেই রান থেকে ‘বঞ্চিত’ হয় বাংলাদেশ, তার ঠিক পরের ওভারেই ‘টাইগার’-দের বিপক্ষে যায় একটা মারাত্মক ‘ক্লোজ’ এলবিডব্লুয়ের সিদ্ধান্ত। ‘আম্পায়ার্স কল’র কারণে আউট হয়ে যান তোহিদ হৃদয়। ওই সিদ্ধান্তটা যদি বাংলাদেশের পক্ষে যেত, তাহলেও ম্যাচটা জিতে যেতে পারতেন ‘টাইগার’রা।
তবে নিয়মের গেরোয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে গেল বাংলাদেশ। তার জেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারানোর সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হল মাহমুদুল্লাহ, শাকিব আল হাসানদের।
তাদের পাশাপাশি বিষন্ন মনে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশি দর্শকদেরও। তবে টাইগাররা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে ভাল করবেন- এমন আশায় ফিরে গেছেন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে-নিজ গন্তব্যে।
এমআর//