ধর্ম
হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য রহমত কামনা করে দোয়া
ইসলাম ধর্মের পঞ্চমতম স্তম্ভ হজ। শনিবার (১৫ জুন) পবিত্র নগরী মক্কায় এই হজ পালিত হচ্ছে। এবারের হজে মক্কার অদূরে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হয়েছেন প্রায় ২০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। তাদের উদ্দেশ্যে হজের খুতবা পাঠ করেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব ড. শেখ মাহের বিন হামাদ।
হজের খুতবায় মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনাসহ নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়।
শনিবার (১৫ জুন) বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া তিনটার দিকে খুতবা শুরু হয়। চলে প্রায় আধাঘণ্টা। বাংলাসহ প্রায় ৫০টি ভাষায় এটি অনুবাদ করে শোনানো হয়।
খুতবায় ইমাম মুসলমানদের তাকওয়ার জীবন অবলম্বনের তাগিদ দেন। তিনি বলেন, তাকওয়া মানুষকে সফলতা ও মুক্তি দেয়, তাকওয়া অবলম্বনকারীরা কেয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবেন।
হজের খতিব বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। তারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কুআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।
এর আগে সকালে মিনা থেকে লাখ লাখ হাজি লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে আরাফাতের উদ্দেশে যাত্রা করেন। মিনা থেকে আরাফাত প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ছেয়ে যায় ইহরামের শুভ্রতায়। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ বাসে করে আবার কেউ কেউ ট্রেনে যান আরাফাতের ময়দানে। এক সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের যাত্রার ফলে প্রচণ্ড ভিড় লাগে আরাফাতের রাস্তায়।
খুতবার পর মসজিদে নামিরায় সমবেত মুসলমানরা এক আজান এবং দুই ইকামতে জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে জামাতে আদায় করবেন। কারোর অবস্থান দূরে থাকলে তিনি নিজের তাঁবুতে আলাদাভাবে আদায় করবেন জোহর এবং আসরের নামাজ।
এর পর সূর্য ডুবে যাওয়ার পর হজযাত্রীরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাত ময়দান থেকে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন। এখানে এশার নামাজের সময় একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায়ের পর সেখানেই খোলা আকাশের নিচে বিস্তীর্ণ খোলা মাঠে রাত যাপন করবেন। এরপর তারা যাবেন মিনায়।
মিনার জামারায় বড় শয়তানের উদ্দেশ্যে প্রতীকী সাতটি পাথর নিক্ষেপ শেষে পশু কোরবানি এবং রাসুলুল্লাহর (সা.) আদর্শ অনুসরণে পুরুষরা মাথা মুণ্ডনের পর গোসল করবেন। নারীরা চুলের অগ্রভাগ থেকে প্রায় এক ইঞ্চি পরিমাণ চুল কাটবেন। এরপর হাজিরা সেলাইবিহীন ইহরাম খুলবেন। এরপর হাজিরা মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে সুবেহ সাদিকের পর থেকে কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। কাবা শরিফের সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাতবার ‘সাই’ (দৌড়ানো) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার ফিরে যাবেন মিনায়, নিজেদের তাঁবুতে।
১১ জিলহজ আবার জামারায় গিয়ে জোহরের নামাজের পর থেকে পর্যায়ক্রমে ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে সাতটি করে ২১টি পাথর নিক্ষেপ করবেন। একইভাবে ১২ জিলহজ আবারও ছোট, মধ্যম ও বড় শয়তানকে ২১টি পাথর নিক্ষেপের পর সন্ধ্যার আগে তারা মিনা ত্যাগ করবেন। ১০ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত যে কোনো সময়ে কাবা শরিফকে ফরজ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।
ইসলাম
দেশে ফিরেছেন ৬৯ হাজার ৭৪২ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৬৫
চলতি বছরে হজ যাত্রীদের মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। আরও একজন বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৫ জনে। যার মধ্যে পুরুষ ৫২ জন এবং নারী ১৩ জন।
সোমবার (১৫ জুলাই) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়, হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৭৪২ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১৯৬টি ফ্লাইটে এসব হাজি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৮৭, সৌদি এয়ারলাইন্স ৬৯টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
গেলো ২০ জুন থেকে দেশে আশা শুরু করেন হজ যাত্রীরা। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না। মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে জানাজা হয়।
জেডএস/এমএম/এএম
ধর্ম
৯ দিনের রথযাত্রা উৎসব শুরু
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হচ্ছে আজ। রোববার (৭ জুলাই) সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার মধ্যদিয়ে ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে রথযাত্রা উৎসব। ১৫ জুলাই বিকাল ৩টায় উল্টো রথের শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে উৎসবের শেষ হবে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলি কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন।
আজ ইসকন আশ্রমে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। বেলা দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে আড়াইটায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। শোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন উপস্থিত থাকবেন। ১১ ও ১২ জুলাই আলোচনা সভায় অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
রথের শোভাযাত্রা স্বামীবাগ আশ্রম থেকে শুরু হয়ে জয়কালী মন্দির, ইত্তেফাক মোড়, মতিঝিল শাপলা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, রাজউক ভবন, গুলিস্তান, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর, রমনা কালী মন্দির, টিএসসি মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল ও পলাশী হয়ে শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। ১৫ জুলাই বিকেলে উল্টো রথের শোভাযাত্রা একই পথে ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে স্বামীবাগ আশ্রমে আনা হবে।
ইসকনের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ৈ বলেন, ‘এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা হবে। শোভাযাত্রায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। মহোৎসব সফল করতে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রাসহ উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তায় নিজস্ব প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।’
রথযাত্রা বিভিন্ন নামে পরিচিত। ভারতের পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার প্রচলন হয়। বাংলাদেশেও রথযাত্রা হিন্দুদের একটি পবিত্র উৎসব। ঢাকার ধামরাইয়ে এটি পরিচিত যশোমাধবের রথযাত্রা নামে। গাজীপুরের জয়দেবপুরে মাণিক্যমাধবের রথযাত্রা। ভারতের ওড়িষার রাজ্যে যশোমাধবের রথযাত্রা ও মহেশের জগন্নাথ দেবের রথযাত্রাও উপমহাদেশ বিখ্যাত। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে রথযাত্রার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে।
বাংলাদেশের পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দির ও দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও রথটান অনুষ্ঠিত হবে।
ধর্ম
আগামীকাল শুরু হচ্ছে রথযাত্রা, রয়েছে ডিএমপি’র নির্দেশনা
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব শুরু হচ্ছে আগামীকাল রোববার (৭ জুলাই)। সনাতনী রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমে আনন্দমুখর পরিবেশে ৯ দিনব্যাপী শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৫ জুলাই বিকাল ৩টায় উল্টো রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে এই উৎসব শেষ হবে।
রথযাত্রা উপলক্ষে ঢাকায় আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) ৯ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠান মালায় রয়েছে হরিনাম সংকীর্তন, বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামানায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞ, মহাপ্রসাদ বিতরণ, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, পদাবলী কীর্তন, আরতি কীর্তন, ভগবত কথা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা পাঠ, ধর্মীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ধর্মীয় নাটক মঞ্চায়ন।
আগামীকাল ইসকন আশ্রমে বিশ্বশান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। দুপুর দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে আড়াইটায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করা হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। শোভাযাত্রা উদ্বোধন করবেন ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাঈদ খোকন উপস্থিত থাকবেন। ১১ ও ১২ জুলাই আলোচনা সভায় অতিথি থাকবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও ভূমি মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
ইসকনের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ৈ বলেন, এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা হবে। শোভাযাত্রায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। মহোৎসব সফল করতে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রাসহ উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তায় নিজস্ব প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। তিনি বলেন, রথযাত্রায় সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ অংশ নিতে পারবেন।
রথযাত্রা বিভিন্ন নামে পরিচিত। পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার প্রচলন হয়। বাংলাদেশেও রথযাত্রা হিন্দুদের একটি পবিত্র উৎসব। ঢাকার ধামরাইয়ে এটি পরিচিত যশোমাধবের রথযাত্রা নামে। গাজীপুরের জয়দেবপুরে মাণিক্যমাধবের রথযাত্রা। ভারতের ওড়িষ্যা রাজ্যের যশোমাধবের রথযাত্রা ও মহেশের জগন্নাথ দেবের রথযাত্রাও উপমহাদেশ বিখ্যাত। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে রথযাত্রার ব্যাপক প্রচলন রয়েছে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, জগন্নাথদেব হলেন জগতের নাথ বা অধীশ্বর। জগৎ হচ্ছে বিশ্ব আর নাথ হচ্ছেন ঈশ্বর। তাই জগন্নাথ হচ্ছেন জগতের ঈশ্বর। তার অনুগ্রহ পেলে মানুষের মুক্তিলাভ হয়। জীবরূপে তাকে আর জন্ম নিতে হয় না। এই বিশ্বাস থেকেই রথের ওপর জগন্নাথ দেবের প্রতিমূর্তি রেখে রথ নিয়ে যাত্রা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
এছাড়া বাংলাদেশের পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারের জগন্নাথ জিউ ঠাকুর মন্দির, জয়কালী রোডের রামসীতা মন্দির এবং শাঁখারীবাজার একনাম কমিটিসহ রাজধানীর অন্যান্য মন্দির ও দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও রথটান অনুষ্ঠিত হবে।
রথযাত্রায় যে ট্রাফিক নির্দেশনা দিলো ডিএমপি:
রথের শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত সড়ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়, রথযাত্রায় বিভিন্ন মন্দিরে নানা মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকায় ৮ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন)।
রোববার (৭ জুলাই) বিকেল ৩টায় প্রধান রথযাত্রা রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। আগামী ১৫ জুলাই বিকেল ৩টায় ঢাকেশ্বরী মন্দির হতে উল্টো রথযাত্রা শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরে এসে শেষ হবে।
যেসব রাস্তা প্রদক্ষিণ করবে রথযাত্রা:
স্বামীবাগ রোডস্থ স্বামীবাগ আশ্রম (ইস্কন, ঢাকা) হতে জয়কালি মন্দির মোড় যাবে। পরে ইত্তেফাক মোড় হয়ে শাপলা চত্বর। তারপর দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে রাজউক ক্রসিং। এরপর গুলিস্তানের গোলাপশাহ মাজার হয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স। সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল হয়ে হাই কোর্ট মাজার, দোয়েল চত্বর ঘুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার যাবে। এরপর জগন্নাথ হলের রোড দিয়ে পলাশী হয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এসে শেষ হবে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে এই সময়ে উপরোক্ত রোডে চলাচলকৃত যানবাহনসমূহকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এসি//