ফুটবল
রিয়াল সোসিয়েদাদকে নিয়ে বার্সার ছেলেখেলা
বার্সেলোনা কিংবদন্তি জাভি হার্নান্দেজকে টপকে বার্সেলোনার পক্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নিলেন মেসি। এমন ঐতিহাসিক দিনে নিজের রেকর্ডকে স্মরণীয় রাখতে রিয়াল সোসিয়েদাদকে নিয়ে ছেলে খেলায় মেতে উঠলেন মেসি। সোসিয়েদাদকে তাদেরই ঘরের মাঠে ১-৬ গোলে উড়িয়ে দিয়ে লিগ জয়ের আশা এখনো বাঁচিয়ে রাখলো রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা।
গতকাল বার্সেলোনার আগেই মাঠে নামে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ। আলাভেসকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার পথে আরও একধাপ এগিয়ে যায় দিয়েগো সিমিওনের দল। তাই শিরোপা রেসে টিকে থাকতে সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ম্যাচে জয় ছাড়া বিকল্প ছিলো না বার্সার সামনে। বাঁচা-মরার ম্যাচে একসঙ্গে জ্বলে উঠলো কাতালানরা।
প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকেই চড়াও হয় বার্সেলোনা। কাতালানদের একের পর এক আক্রমণে নাভিশ্বাস উঠে সোসিয়েদাদের ডিফেন্সে। রোনাল্ড কোম্যানের দলের দারুণসব আক্রমণে সামান্য প্রতিরোধও করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
ফলে প্রথমার্ধের ৩৬তম মিনিটে গোলের সূচনা করেন গ্রিজম্যান। গোল করে নিজের জন্মদিন স্মরণীয় করে রাখলেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি তারকা। এরপর ৪২ এবং ৫২তম মিনিটে দুইটি গোল করেন আমেরিকান তারকা সার্জিনো ডেস্ট। বার্সার হয়ে লিগে এবারই প্রথম জালের দেখা পেলেন এই তরুণ রাইটব্যাক।
৫৫তম মিনিটে বুস্কেটসের উঠিয়ে মারা বল দৌড়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের শটে রেমিরোকে পরাস্ত করেন বল জালে জড়ান মেসি। এটি ছিল লিগে মেসির ২২তম গোল। ৭০তম মিনিটে মোরিবার পাস ধরে সোসিয়েদাদের ডিফেন্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান আর বৃদ্ধি করেন উসমান ডেম্বেলে।
৭৬তম মিনিটে সোসিয়েদাদের হয়ে স্বান্তনার একটি গোল করে বেরেনেটসিয়া। ৮৯তম মিনিটে আলবার কাছ থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। চলতি মৌসুমে লা লিগায় মেসির গোল হল ২৩টি। পিচিচি ট্রফির পথে ছুটা বার্সার তারকার পিছনে থাকা লুইস সুয়ারেজের গোলসংখ্যা ১৯টি। বার্সেলোনার জার্সিতে ৭৬৮ ম্যাচে তার মোট গোল এখন ৬৬৩।
এই জয়ে লা লিগায় বাজে শুরুর পর ছন্দে ফেরা বার্সেলোনা টানা ১৮ ম্যাচ অপরাজিত রইলো। গত ৫ ডিসেম্বরের পর আর হারেনি তারা। প্রতিপক্ষের মাঠে এই নিয়ে সর্বশেষ ৯ ম্যাচ জয় পেল কাতালানরা।
২৮ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। সমান ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//