বলিউড
আপত্তিকর স্পর্শ, কুপ্রস্তাব; মুখ খুললেন ঈশা কোপিকার
বেশ কয়েকমাস নিরব থাকলেও আবারও যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঘটনায় তোলপাড় বলিউড পাড়া। এবার নিজের যৌন নিগ্রহের ঘটনা সবাইকে জানিয়ে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ঈশা কোপিকার।
চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে আসা নবাগত অভিনেত্রীদের অনেক কাঠখড় পোহাতে হয়। ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিদের হাতে কর্মক্ষেত্রে বা অন্য যেকোন জায়গায় যৌন নিগ্রহের শিকার হওয়ার ঘটনা অনেকের জীবনে ঘটেছে। বছরের পর বছর চেপে রাখা ওই ঘটনা এক সময় প্রকাশ পায়। এই প্রকাশ পাওয়াটাই বিশ্বজুড়ে পরিচিত মি টু আন্দোলন।
হলিউড-বলিউডের বেশ কয়েকজন প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, নামজাদা শিল্পী এমন অনেকের বিরুদ্ধে উঠে আসে যৌন নিগ্রহের ঘটনা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত অভিনেতা নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে যৌন অসদচারণের অভিযোগ তোলেন। পরিচালক বিকাশ বলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত।
তনুশ্রী ও কঙ্গনার প্রতিবাদের আগুন দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েক বছর বলিউড পাড়া নিরব থাকলেও এবার বোমা ফাটালেন ইশা কোপিকার। ঈশার অভিনয় ক্যারিয়ারের যাত্রা খুব একটা মসৃণ ছিল না। নানারকম প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। অভিনেতারা যেমন কুপ্রস্তাব দিয়েছেন, তেমনি অনেক পরিচালকরাও আপত্তিকরভাবে তার শরীর স্পর্শ করেছেন বলে অভিযোগ তার।
সম্প্রতি ভারতের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র সমালোচকও টেলিভিশন উপস্থাপক সিদ্ধার্থ কানানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন ঈশাকোপিকার। ঈশা কোপিকার বলেন, “আপনি ‘মি টু’র বিষয়টি শুনেছেন? যদি এর মূল্যটা বুঝেন, তবে এটি খুবই কঠিন ছিল। আমার সময়ের অনেক অভিনেত্রী ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দিয়েছেন। খুব কম মেয়ে রয়েছেন, যারা হাল ছাড়েননি। হাল না ছাড়ার তালিকা খুবই ছোট। তবে তাদের মধ্যে আমি একজন।’
মাত্র ১৮ বছর বয়সে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন এই অভিনেত্রী। এসময়ই কুপ্রস্তাব পেয়েছিলেন ঈশা। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স যখন ১৮ বছর, তখন একজন অভিনেতার ব্যক্তিগত সহকারী ও একজন অভিনেতা আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা বলেছিলেন, যদি কাজ করতে চাও তবে অভিনেতাদের সঙ্গে ‘ফ্রেন্ডলি’ হতে হবে। আমি খুবই ‘ফ্রেন্ডলি’ মানুষ। কিন্তু তারা ‘ফ্রেন্ডলি’ দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন?’
একটি ঘটনা বর্ণনা করে ঈশা বলেন, ‘আমার বয়স যখন ২৩ বছর, তখন একজন অভিনেতা আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কি একা আমার সঙ্গে দেখা করতে পারবে? ড্রাইভার বা অন্য কাউকে সঙ্গে আনতে পারবে না। কারণ আমাকে নিয়ে এমনিতেই অনেক গুঞ্জন উড়ছে। অন্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে।’ কিন্তু এই প্রস্তাব আমি প্রত্যাখান করি। তাকে বলি, আমি একা আসতে পারব না।
অভিনেতার ব্যক্তিগত সহকারী ও পরিচালকরা আপত্তিকরভাবে ঈশার শরীর স্পর্শ করতেন। এ তথ্য উল্লেখ করে ঈশা বলেন, “তারা কেবল আপত্তিকরভাবে স্পর্শই করতেন না, বরং হাত চেপে ধরে বলতেন, ‘নায়কদের সঙ্গে ‘ফ্রেন্ডলি’ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।’
মডেলিংয়ের মাধ্যমে বিনোদন দুনিয়ায় পা রাখেন ঈশা। ১৯৯৭ সালে তেলেগু সিনেমা ‘ডাব্লিউ বাই ভি. ভারা প্রসাদ’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপরের বছরই দেখা যায় হিন্দি ভাষার ‘এক থা দিল, এক থি ধড়কন’ সিনেমায়।
২০০২ সালে রাম গোপাল ভার্মার ‘কোম্পানি’ সিনেমার আইটেম গান ‘খাল্লাস’ দিয়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন তিনি। সেটা আরো ছড়িয়ে পড়ে আরেকটি আইটেম নাম্বার ‘ইশক সমন্দর’-এর পর। ঈশা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘আয়ালান’। তেলেগু ভাষার এ সিনেমা চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মুক্তি পায়।
এমআর//
বলিউড
সামান্থা অতীত, শোভিতার সঙ্গে বাগদান সারলেন নাগা চৈতন্য
সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন জীবনে পা রাখলেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার অভিনেতা নাগা চৈতন্য। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) প্রেমিকা শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে বাগদান সারলেন এই অভিনেতা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকালে হায়দরাবাদের বাড়িতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাগদান সম্পন্ন করেন নাগা চৈতন্য ও শোবিতা ঢুলিপালার। বাগদান অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যগত সাজে সাজেন তারা। এসময় দুই পরিবারের সদস্য ছাড়াও এ জুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাইনার মনীষ মালহোত্রা তার ইনস্টাগ্রামে শোবিতা ও নাগার বাগদানের ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যায়, শোবিতার পরনে পিঙ্ক কালারের সিল্ক শাড়ি। এর সঙ্গে মিলিয়ে সোনার গহনাও পরেন এই অভিনেত্রী।
ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় তারকা জুটির মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য। দীর্ঘদিন প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলেন তারা। কিন্তু ২০২১ সালে এ সংসারের ইতি টানেন এই যুগল।
গেল বছর গুঞ্জন চাউর হয়— বিয়েবিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোবিতা ঢুলিপালার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন নাগা চৈতন্য। যদিও এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি এই জুটি। তারপরও অনেকবার একসঙ্গে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ বাগদানের মাধ্যমে গুঞ্জনকে বাস্তবে রূপ দিলেন এই জুটি।
এসআই/
ঢালিউড
সমালোচনা ভয় পেতেন শেখ হাসিনা: ভারতীয় নির্মাতা হংসল মেহতা
কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ক্ষমতা ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায়। এই প্রসঙ্গে এবার পুরোনো স্মৃতি সামনে আনলেন বলিউড নির্মাতা হংসল মেহতা।
২০২২ সালে হংসল মেহেতার সিনেমা ‘ফারাজ’ মুক্তি পেয়েছিল। তবে ছবির শুটিং-এ লাগাতার হুমকির শিকার হয়েছিলেন পরিচালক। কারণ, ছবিটি ঢাকার হোলি আর্টিজানে সংগঠিত নৃশংস হামলা ওপর নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে ছবিটি বাংলাদেশের ঘটনায় নির্মিত হলেও বাংলাদেশেই নিষিদ্ধ হয়েছিল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ সেই স্মৃতি তুলে ধরে হংসল মেহতা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের ঘটনাগুলো দেখে আমার ‘ফারাজ’-এর মুক্তির কথা মনে পড়ছে। এটি বাংলাদেশ ছাড়া নেটফ্লিক্সে বিশ্বব্যাপী স্ট্রিম হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ছবিটি নিষিদ্ধ হয়েছিল।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একাধিক কল পেয়েছি। কথিত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্ট, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাছ থেকে অনুভূত হুমকির কারণে আমাকে শেষ পর্যন্ত পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছিল। ভারতীয় আদালতে দীর্ঘ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অনেক অভদ্র অভিযোগ করা হয়েছিল। আমি এখনও বাংলাদেশের আদালতের মিথ্যা মামলা লড়ছি। এসব একটি চলচ্চিত্রের মুক্তি ঠেকানোর জন্য। যা দৃশ্যত শেখ হাসিনার সরকারকে চিত্রিত করেছিল। সরকার চায়নি যে বাংলাদেশের বাইরে কেউ জানুক যে তারা অযোগ্য এবং স্বৈরাচারী নেতা দ্বারা চালিত, যিনি নিজের বিরুদ্ধে কোনো সমালোচককে ভয় পেতেন। তারা আমাদের কণ্ঠ চেপে ধরে নিজেদের রক্তাক্ত হাত ঢাকতে চেয়েছেন।’
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা। সেই ঘটনা নিয়ে তৈরি ‘ফারাজ’ প্রযোজনা করেছেন অনুভব সিনহা ও ভূষণ কুমার। ছবিটি দিয়ে কারিনা কাপুরের চাচাতো ভাই জাহান কাপুর ও পরেশ রাওয়ালের ছেলে আদিত্য রাওয়ালের অভিষেক হয়েছে।
এসআই/
বলিউড
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ী সানা মকবুল
‘বিগবস’ ওটিটি সিজন-৩ বিজয়ীর মুকুট পরলেন সানা মকবুল। রিয়ালিটি শো জিতে তিনি ঘরে তুলেছেন ট্রফি আর ২৫ লাখ রুপি। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৪ লাখ টাকার বেশি।
চলতি বিগবস সিজন ৩-এর শুরু থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন সানা। প্রতিবারই দর্শকদের কাছ থেকে পেয়েছেন বিপুল ভোট। তবে বিতর্কেও জড়িয়েছেন। আবার সেখান থেকে নিজেকে মুক্তও করেছেন।
বিগবসের ঘরে সবার সঙ্গেই সুসম্পর্ক রেখে চলতেন সানা। তার খেলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেতেন দর্শকরা। তাই প্রত্যেকবারই বিপুলসংখ্যক ভোট পেয়েছেন তিনি। শোতে তাকে যখনই কোনো কাজ দেওয়া হয়েছে, তা সঠিকভাবে পালন করতেন সানা।
বিগবসের আসরে সানার বন্ধু ছিল নাজী। বিজয়ীর মুকুট পরে জয়ের কৃতিত্ব নাজীকেই দিতে চাইলেন তিনি। মজার ব্যাপার, বিগবসে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নাজী।
‘বিগ বস’-এর চলতি আসরের ফাইনালিস্ট হিসেবে ছিলেন সানা মকবুল ও নাজী, রণবীর শোরে, সাই কেতন রাও, কৃতি মালিক।
এসআই/