Connect with us

টলিউড

বিয়ের পর প্রথম জন্মদিনে বউয়ের থেকে যে উপহার পেলেন পরমব্রত!

Avatar of author

Published

on

দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিন আজ (২৭ জুন)। বিবাহিত জীবনে প্রবেশের পর এটাই প্রথম জন্মদিন পরমের। কিভাবে উদযাপন করবেন তা নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তার সহধর্মিনী প্রিয়া চক্রবর্তী।

‘বিয়ের পরে প্রথম জন্মদিন, ঠিকই। কিন্তু সবাই জানে পরম নিজের কাজ কতটা ভালবাসে। ওর কাজ থেমে থাকে না। পরম ‘ওয়র্কোহোলিক’। তাই জন্মদিনে ওর এ বার বাড়িতে থাকা হচ্ছে না। সকালেই ও ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে। সে জন্য জন্মদিনে আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা নেই। সব সময়ের সঙ্গী হিসেবে এবার ইয়ারপড উপহার দিয়েছি।’

প্রিয়া লেখেন, তবে জন্মদিনের আগের রাতটা আমরা একসঙ্গে কাটিয়েছি। বাড়িতেই ছোট আয়োজন করেছিলাম। খুব কাছের কয়েকজন পারিবারিক বন্ধুবান্ধব এসেছিলেন। সামান্য খাওয়া-দাওয়া ও গান বাজনার মধ্যে দিয়ে দিনটা কাটালাম আমরা। পরম এমন ভাবেই জন্মদিন পালন করতে ভালবাসে। এই দিনটার উদযাপন ও কাছের মানুষদের সঙ্গে কাটাবে বলেই রেখে দেয়।

তবে, একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি, নিজের জন্মদিনের পরিকল্পনা ও নিজে করতে পছন্দ করে না। অন্য বন্ধুবান্ধবরা মিলে যদি ওর জন্মদিনের আয়োজন করে দেয়, পরমের সেটা খুব পছন্দ। আগের বেশ কয়েক বছরও এ ভাবেই আমরা বন্ধুরা মিলে ওর জন্মদিনের পরিকল্পনা করতাম।

পরমের স্ত্রী আরও লেখেন, এ দিন কারা আসবেন, কী রান্না হবে, তার সমস্ত আয়োজন আমরাই করতাম। আমরাই অতিথিদের নিমন্ত্রণ জানাতাম। গত কয়েক বছর ধরে এমন ভাবেই ও জন্মদিনটা কাটায়। তবে এই উদ্‌যাপন ছোট করে হবে নাকি বড় করে, সেটা কাজের চাপের উপর নির্ভর করে। তবে হ্যাঁ, খাওয়া দাওয়ার সঙ্গে কোনও আপোশ হয় না। যেমন পাঁঠার মাংসটা হবেই প্রতি বছর।

Advertisement

তিনি জানান, পরম গান বাজনা খুব ভালবাসে। তাই ওর জন্মদিন আমরা গান বাজনা ছাড়া ভাবতেই পারি না। সবাই জানে, শুটিং এর ফাঁকে গান নিয়ে থাকতে ও কতটা ভালবাসে। আমরা দু’জনও পরস্পরের সঙ্গে গান নিয়ে সময় কাটাই। আমাদের জীবনের একটা বড় অঙ্গ গান। যখনই আমরা কাজের মাঝে সময় পাই, একসঙ্গে গানবাজনা করি।

প্রিয়া লেখেন, জন্মদিনের আসরেও তাই আমরা গানবাজনা করেছি। আমাদের কিছু ধরা-বাঁধা গান আছে। সময় পেলেই আমরা গান গাই। এর মধ্যে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আধুনিক বাংলা গান, হিন্দি গানও আছে। সেগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এদিন একসঙ্গে আমরা সকলে মিলে গেয়েছি।

যেহেতু গান আমাদের জীবন জুড়ে রয়েছে তাই গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এমনই একটি উপহার ওকে দিয়েছি। ওর সব সময়ের সঙ্গী হল ইয়ারপড। যাই করুক, সব সময়ে কানে ইয়ারপড দিয়ে গান শুনতে ভালবাসে ও। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, দিন কয়েক আগে পরম ওর ইয়ারপডটি হারিয়ে ফেলেছে। তাই এ বারের জন্মদিনে ওকে ওর পছন্দসই একটা ইয়ারপড উপহার দিয়েছি।

এসআই/

Advertisement
Advertisement

টলিউড

কাধে ঝোলা ব্যাগ  নিয়ে লন্ডনে ঘুরছে স্বস্তিকা মুখার্জি

Published

on

পরনে লাল রঙের শাড়ি,গায়ে হাতাকাটা আকাশি রঙের ব্লাউজ, মাথায় হ্যাট। কাধে ঝোলা ব্যাগ, চোখে-মুখে লেগে আছে অমলিন হাসি। দুই হাতে জুতো নিয়ে ফেসবুকে এমনই একটি ছবি পোস্ট করেছেন ওপার বাঙলার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করার পর নেটিজেনরা তার সৌন্দর্যের  প্রশংসা করছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, জুতা হাতে কেন দাঁড়িয়ে আছেন স্বস্তিকা?

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন স্বস্তিকা মুখার্জি । সাম্প্রতি তার মেয়ে অন্বেষা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মেয়ের সমবর্তন উপলক্ষ্যে স্বস্তিকা মুখার্জি মেয়ে অন্বেষার সঙ্গে তার  বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। এর এক ফাঁকে জুতা হাতে ক্যামেরাবন্দি হন এই অভিনেত্রী।

স্বস্তিকা মুখার্জি ফেইসবুক পোস্টে লিখেন, ‘মায়েরা যেটা সব থেকে ভালো পারে সেটাই করছি। সব পোশাকের সঙ্গেই বোঁচকা ব্যাগ নিয়ে চলছি। হাতে স্যান্ডেল নিয়ে ঘুরছি যাতে ইভেন্টের পর মেয়ে পরতে পারে। হিল সাময়িক ব্যবহার করার জন্যই। আর এই ব্যাগে নিজের গোটা সংসার নিয়ে ঘুরছি।’

জনপ্রিয় রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাগর সেনের ছেলে প্রমিত সেনকে ১৯৯৮ সালে  বিয়ে করেন স্বস্তিকা মুখার্জি। বাবা-মায়ের পছন্দেই এ বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু সংসার জীবনে ছন্দপতন ঘটে কয়েক বছরের মধ্যে । দুধের সন্তানকে কোলে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন স্বস্তিকা। তারপর থেকেই সিঙ্গেল মাদার হিসেবে  একমাত্র কন্যা অন্বেষাকে বড় করেন এই নায়িকা।

জেডএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

টলিউড

মমতার হস্তক্ষেপে দ্বন্দ্বের অবসান টলিউডে, শুটিং শুরু

Published

on

বেশ কিছুদিন ধরেই কোন্দল চলছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের টলিউডে। মুখোমুখি দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক-অভিনয়শিল্পী ও টেকনিশিয়ানরা। যা নিয়ে দেনদরবারও কম হয়নি। বন্ধ ছিল শুটিং।

তবে সবার অপেক্ষা ছিল কোন্দল মেটাতে প্রয়োজন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। হলোও তাই। অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে স্বস্তি ফিরল টলিপাড়ায়। বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে শুরু হয়েছে শুটিং। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় ও টেকনিশিয়ানদের মধ্যকার সমস্যা মেটাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে দেখা করেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ, দেব ও পরিচালক গৌতম ঘোষ। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। এর পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘দেখা হলো, কথা হলো, ভালো লাগল।’

তবে যাকে ঘিরে এতো বির্তক সেই রাহুল মুখোপাধ্যায় শুটিং শুরু করবেন আরো সাত দিন পর। পাশাপাশি ফেডারেশনের নিয়মকানুন নতুন করে খতিয়ে দেখতে একটি রিভিউ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের তত্ত্বাবধানে গঠিত রিভিউ কমিটির কাছে নতুন নিয়মকানুন জমা দিতে হবে।

পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠকে বসেন পরিচালকরা। তারপর বিকেলে টালিগঞ্জের টেকনিশিয়ানস স্টুডিওয় সাংবাদিক বৈঠক করে ফেডারেশন। সন্ধ্যায় সেখানেই পাল্টা বৈঠকে বসে ডিরেক্টরস গিল্ড। পরিচালকদের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, রাজ চক্রবর্তীসহ অনেকেই।

প্রসঙ্গত, সমস্যাটা শুরু হয় বাংলাদেশে একটি সিরিজের শুটিং করা নিয়ে। কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় এসে শুটিং করায় কলকাতার নির্মাতা রাহুল মুখোপাধ্যায়কে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল টলিউড নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সংগঠনটি। নিষেধাজ্ঞা তোলায় আপত্তি জানায় ফেডারেশন। ফলে ফেডারেশন পক্ষের টেকনিশিয়ানরা রাহুলের উপস্থিতিতে কাজ করতে অস্বীকার করেন।

Advertisement

এসআই/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

টলিউড

টলিউডে চলমান স্থবিরতা নিরসনে যা বললেন প্রসেনজিৎসহ অন্যরা

Published

on

পশ্চিমবঙ্গের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নেমে এসেছে স্থবিরতা। পরিচালক রাহুল মুখার্জিকে ঘিরে শুরু হওয়া বিতর্ক ধীরে ধীরে বহুদূর বিস্তার লাভ করে বেশ বড় ঘটনায় পরিণত হয়েছে। শুটিংয়ে পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন না রাহুল মুখার্জি, টেকনিশিয়ানদের এই দাবির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন পরিচালক থেকে কলাকুশলীরা। যার রেশ ধরে সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ আছে সব ধরণের শুটিং। এতে স্থবির হয়ে গেছে গোটা টলিউড।

শুরুতে কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় এসে শুটিং করা কলকাতার নির্মাতা রাহুল  মুখোপাধ্যায়কে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল টালিউড নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সংগঠনটি।

নিষেধাজ্ঞা তোলায় আপত্তি জানায় ফেডারেশন। ফলে ফেডারেশন পক্ষের টেকনিশিয়ানরা রাহুলের উপস্থিতিতে কাজ করতে অস্বীকার করেন। কয়েক দিন ধরেই এক বিরল ঘটনার সাক্ষী টালিউড ইন্ডাস্ট্রি। ফেডারেশন বনাম পরিচালক ও প্রযোজক দ্বন্দ্বে বন্ধ সব শুটিং।

বিষয়টি সমাধানে সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এক বৈঠক ডাকা হয় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। সেখানে ছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা, রাজ চক্রবর্তী, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, বিরসা দাশগুপ্ত, সুদেষ্ণা রায়, অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী, সুব্রত সেনসহ আরো অনেকে। বৈঠক শেষে প্রসেনজিৎ বলেন, ‘আমরা একটি পরিবারের মতো। আমরা সারা জীবন টেকনিশিয়ানদের জন্য লড়াই করেছি। এটা মান-সম্মানের লড়াই। একটা পরিবারে অভাব-অভিযোগ থাকবে। তাই বলে পরিবার ভেঙে যায় না। আমরা চাই, কাজটা চলুক।’

তিনি আরো বলেন, ‘একটা ছবির পেছনে প্রচুর মাথা কাজ করে। তাদের সব পরিশ্রম বন্ধ হয়ে গেল। আমি এখনো বুঝতে পারছি না বিরোধিতা কোথায়। আমি এক দিনে অনেকটা খেয়ে পেট খারাপ করব নাকি অল্প অল্প করে খাব, সেটা ভাবতে হবে। আমাদের টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা দেশের অন্য জায়গার তুলনায় অনেক ভালো। সুজিত সরকার, সুজয় ঘোষের মতো পরিচালকরা পোস্ট প্রডাকশনের কাজ করেন কলকাতায়। অথচ আমরা নিজেদের অগ্রগতির দিকে নজর দিই না। একজন পরিচালক সেটে এলে আমরা উঠে দাঁড়াই। পরিচালকদের সম্মান দেওয়া আমাদের কাজ। পরিচালকের আসনটা খুব সম্মানের। আমরা সবাই আবেগতাড়িত তবে ঘটনাটা এক দিনের নয়। অনেক দিন ধরে এটা জমতে জমতে এই আকার ধারণ করেছে। প্রত্যেকের যোগ্য সম্মান চাই। আমরা এখানে সদার্থক আলোচনা করছি।’

Advertisement

পরিচালক গৌতম ঘোষ বললেন, ‘একটা অচলাবস্থা চলছে। আমরা সেটা কাটিয়ে উঠতে চাই। আমরা যেন সবাই মিলেমিশে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আন্তর্জাতিক জায়গায় নিয়ে যাই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেটাই চেয়েছেন। এই অচলাবস্থা থেকে বেরোতে গেলে সব পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। দুই পক্ষকেই ভাবতে হবে। কেন এই অচলাবস্থা? তা মেটাতে চাই। কোনো কলহ নয়, বরং পারস্পরিক সৌহার্দ্য। আমরা বিভাজনে বিশ্বাস করি না। আমাদের ছোট একটা ইন্ডাস্ট্রি। এখানে কোনো পক্ষ নেই। সবাই আমরা এক।’

রাজ চক্রবর্তী শেষে বলেন, ‘আমি সবার কাছে হাতজোড় করে বলছি আপনারা ভাবুন, আমরা যাতে কাল থেকে কাজ শুরু করতে পারি। আমরা আশা করছি, একটা সদর্থক কিছু বেরোবে।’

এই সংকট কাটিয়ে উঠতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নির্মাতারা।

এসআই/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it