চট্টগ্রাম
ইঞ্জিনে আগুন, সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর মিরসরাইয়ের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। এর কারণে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ডাউন লাইনে (চট্টগ্রামমুখী) ও এক ঘণ্টা আপ লাইনে (ঢাকামুখী) ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় বড়তাকিয়া রেল স্টেশনের আওতাধীন আমবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। লাইনে আড়াই ঘণ্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকায় আমবাড়িয়া লেভেল ক্রসিং বন্ধ হয়ে মিরসরাই-নারায়ণহাট সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বড়তাকিয়া রেল স্টেশন মাস্টার মো. শামসুদৌহা।
তিনি জানান, আখাউড়া থেকে গাড়ির পার্টস, ইলেকট্রিক পণ্য নিয়ে ৩১ বগি বিশিষ্ট মালবাহী ট্রেন (কন্টিনার) চট্টগ্রাম যাচ্ছিল। আজর সকাল সাড়ে ৭টার সময় ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগলে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর রিলিফ ট্রেন ওই ট্রেনটি উদ্ধার করে বড়তাকিয়া স্টেশনে নিয়ে আসার পর সকাল ১০ টা ৫০ মিনিট থেকে উভয় লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
ট্রেনের লোকো মাস্টার মো. শাহাজাহান বলেন, ইঞ্জিনের এডজস্টার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুন দেখার সঙ্গে সঙ্গে ইঞ্জিন বন্ধ করে দিয়েছি। এরপর আমরা ৯৯৯ নম্বর ও বড়তাকিয়া স্টেশন মাস্টারের কাছে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম শহর থেকে অতিরিক্ত একটি রিলিফ ট্রেন এসে এই ট্রেনটি নিয়ে গেছে।
মিরসরাই ফায়ার স্টেশন সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার ইমাম হোসেন পাটোয়ারি জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বড়তাকিয়া স্টেশন মাস্টার থেকে খবর পাই যে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লেগেছে। কিন্তু তিনি ঘটনার স্থান সঠিকভাবে দিতে না পারায় পৌঁছাতে একটু বিলম্ব হয়। পরে স্থানীয় লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিরসরাই কলেজ রোড দিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। প্রথমে আমাদের পানিবাহী গাড়ি থেকে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। পরবর্তীতে পাম্পগুলো বসিয়ে পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি।
বড়তাকিয়া রেল স্টেশন মাস্টার মো. শামসুদৌহা জানান, আমবাড়িয়া এলাকায় মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগায় ডাউন লাইনে প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ও আপ লাইনে ১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/