বাংলাদেশ
পদ্মার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পানির দামে
কলকাতার পাতিপুকুর এবং হাওড়ার মাছের আড়তে আশানুরূপ দাম পেল না পদ্মার ইলিশ।
আজ মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথম নিলামে পাইকারি আড়তদারেরা মনে করেছিল এক কেজি সাইজের ইলিশের দাম উঠতে পারে ১২০০ থেকে ২০০০ রুপির আশেপাশে। কলকাতার বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও প্রত্যাশিত দাম পাইনি পদ্মার ইলিশ।
এর আগে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত পর্যন্ত বেনাপোল সীমান্ত থেকে ভারতে পৌঁছায় মাত্র সাড়ে ৮ টন ইলিশ।
ভারতে পদ্মার ইলিশ না এলে সারাবছর ডায়মন্ডহারবার, দিঘা, মহারাষ্ট্র, মিয়ানমারের ইলিশ পাওয়া যায়। পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া গেলেও স্বাদে গন্ধে আলাদা মাত্রা যোগ করে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের বাজারে যার জন্যে দামেও ফারাক দেখা যায় আকাশ পাতাল।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছে নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছুদিন পরে পদ্মার ইলিশ কলকাতায় বাজারজাতও হয়েছে। বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও মেলেনি আশানুরূপ দাম।
এদিন হাওড়া পাইকারি মাছের বাজারে পদ্মার ইলিশ নিলামে উঠলে ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ রুপি,৭০০/৮০০গ্রাম ৭০০রুপি , এবং ১কেজি ওজনের মাছ ১০০০রুপি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে। খুচরো বাজারে যা ১১০০ থেকে ১২০০ রুপি প্রতি কেজি বিক্রি হতে পারে।
ভারতের আমদানিকারকরা বলছেন আমদানি জটিলতায় গেল বছরের মতই চলতি বছরেও একাধিক পার্বণ পেরিয়ে বেশ কিছুটা দেরিতে এসেছে পদ্মার ইলিশ তাছাড়া সাইজেও বেশ ছোট। তবে পরিমাণে কম হওয়ায় চাহিদা বেশি হবে এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু চাহিদার তুলনায় পাইকারি বাজারে দাম মিলেছে অনেকটাই কম। তবে পূজা যত এগিয়ে আসবে এবং ইলিশের সাইজ কিছুটা বড় হলে ইলিশের দাম ততই বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
এদিকে পদ্মার ইলিশ কম দামে মেলায় খুশি খুচরো বিক্রেতারা। তারা বলছে পদ্মার ইলিশের চাহিদা প্রবল, বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে, কিন্তু দাম বেশি থাকে সাধারণ মানুষ কিনতে পারেনা। তবে এবার দাম বেশ কিছুটা কম থাকায় সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
ভারতের আমদানিকারকরা বলছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই ৪০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকবে ভারতে। নির্দিষ্ট এই সময়ের মধ্যে ভারত আমদানি করতে পারবে ২৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ।
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ