জনদুর্ভোগ
৬ ঘণ্টায় কুকুরের কামড়ে আহত ৫৫ জন
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বেওয়ারিশ কয়েকটি কুকুরের কামড়ে নারী, শিশুসহ ৫৫ জন আহত হয়েছেন। কুকুড়ের কামড়ে আহত ৫৫ জন ছাড়াও বিড়ালের কামড়ে আহত ১৯ জন এবং শিয়ালের কামড়ে আহত এক রোগীকে জলাতঙ্ক রোধে টিকা দেয়া হয়েছে। এই রোগীরা মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (৭ জুলাই) সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার এই বাসিন্দারা কুকুরের কামড়ে আহত হন। এ ছাড়া গেলো শনিবার রাত থেকে আজ বেলা দুইটা পর্যন্ত বিড়াল ও শিয়ালের কামড়ে আরও ২০ জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালের টিকাদান কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
আহত ব্যক্তিদের বাড়ি মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম সেওতা, উত্তর সেওতা, পশ্চিম দাশড়া, বেউথাসহ আশপাশের এলাকার।
রোগী ও তাদের স্বজন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল আটটার দিকে পশ্চিম সেওতা গ্রামে কালো ও সাদা রঙের একটি কুকুর এক ব্যক্তির পায়ে কামড় দেয়। এরপর কুকুরটিকে মারতে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করলে কুকুরটি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তখন কুকুরটি আশপাশে যাকে পায় তাকেই কামড় দিতে শুরু করে। এভাবে কুকুরটি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে ৪০ জনের বেশি মানুষকে কামড় দিয়ে জখম করলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আজ দুপুরে উত্তর সেওতা এলাকায় কালো রঙের একটি কুকুর আরও কয়েকজনকে কামড় দেয়। এ ছাড়া পশ্চিম দাশড়া ও বেউথা এলাকায় বেওয়ারিশ কয়েকটি কুকুর কয়েকজনকে কামড় দিয়ে আহত করে।
হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে সকাল নয়টা থেকেই একের পর এক কুকুরের কামড়ে মারাত্মক জখম রোগীরা আসতে থাকেন। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তি রয়েছেন। আহত অধিকাংশ ব্যক্তির পায়ের হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত জখম রয়েছে। অনেকের হাতেও কামড় আছে। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের ক্ষত বেশি।
কুকুড়ের কামড়ে আহত পশ্চিম সেওতা গ্রামের ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, আজ দুপুরে বাড়ি থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে উত্তর সেওতা এলাকায় কাঁচাবাজারের পাশে সড়কে আসার পরপর কালো রঙের একটি কুকুর কোথা থেকে এসে তার ডান পায়ে হাঁটুর ওপরে কামড় দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে কিছু দূর যাওয়ার পর কুকুরটি আরও কয়েকজনকে কামড় দেয়।
মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ বলেন, শুধু পশ্চিম সেওতা এলাকায় একটি কালো রঙের কুকুর ১৫ থেকে ১৬ জনকে কামড় দিয়েছে। কুকুরের কামড়ে কারও কারও মারাত্মক জখম হয়েছে।
কুকুরকে টিকা দেয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, দুই বছর ধরে পৌর এলাকায় কুকুরদের টিকা দেয়া হয় না। বিষয়টি নিয়ে পৌর পরিষদে আলোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে নিতে আসা কুকুর-বিড়ালের কামড়ে আহত রোগীদের জলাতঙ্কের টিকা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালে টিকার সংকট নেই। বেওয়ারিশ কুকুর থেকে দূরে থাকতে সচেতন হতে হবে।
এএম/
জনদুর্ভোগ
শনির আখড়ায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অবস্থানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ
কোটা আন্দোলনে ঘিরে শিক্ষার্থীদের নয় দফা দাবি নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ীর কাজলা ও শনির আখড়া অংশে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিক যান চলাচল বন্ধ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের।
শনিবার (০৩ আগস্ট) দুপুর থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করছে। ফলে ঢাকা অভিমুখি সব প্রবেশ ও বাইর হওয়ার সব পথ বন্ধ।
সারাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নয় দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ (শনিবার) সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
জেডএস/
জনদুর্ভোগ
ইন্টারনেট বন্ধে দৈনিক ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা
কোটা আন্দোলন ও উদ্ভুত পরিস্থিতিতে টানা ৫ দিন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকার পর স্বল্প পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালু করা হয়েছে। এ সময় প্রতিদিন গ্রাহকরা প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৪ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় সারাদেশে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গত ১৭ তারিখ থেকে সারা দেশে বন্ধ হয়ে গেছে মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা এবং ১৮ তারিখ থেকে সারাদেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে করে ১৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে আরও ৫ কোটি গ্রাহক ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প কারখানা, চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, সফটওয়্যার শিল্পে ধস নেমেছে। একইভাবে টেলিযোগাযোগ শিল্পে ৩০ শতাংশ ব্যাবসা কমেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকারি সকল ইউটিলিটি গ্রাহকদের বিশেষ করে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুপেয় পানি, এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন, মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে দৈনিক গ্রাহকদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। তাই সারাদেশে দ্রুত মুঠোফোন ভিত্তিক ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটের সকল এক্সেস যেনো ব্যবহার করা যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় ইন্টারনেট এখন জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার বলেও জানান মহিউদ্দিন আহমেদ।
বিল গ্রহণ না করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ও বিটিআরসির কাছে আমাদের দাবি থাকবে যে, অব্যাহত ইন্টারনেট সেবা চালুর সাথে সাথে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার। কোনোভাবেই তা পরের রিচার্জের সঙ্গে যুক্ত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ গ্রাহক ইতোমধ্যে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। একইভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবায় এক দেশ এক রেট গাইডলাইন অনুসারে একটানা ৩ দিন বন্ধ থাকলে ১৫ দিনের বিল পরিশোধ না করতে বলা হয়েছে এবং ৭ দিন একটানা বন্ধ থাকলে সারা মাসের বিল না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬ দিন একটানা বন্ধ হয়ে আছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট। তাই নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির কাছে আবেদন গ্রাহকদের থেকে আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল না নেয়া হয়, তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার।
গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন জানায়, গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ করছি কোনোভাবেই যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেয়া না হয়। ভয়ভীতি তৈরি হয় এমন কিছু পোষ্ট না করা হয়। একইসঙ্গে দেশের সুনাম ক্ষুন্ন হয় বহির্বিশ্বে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন।
এএম/
জনদুর্ভোগ
যেসব অংশে মেট্রোরেল বন্ধ
নিরাপত্তার শঙ্কায় মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১ স্টেশন বন্ধ রয়েছে। তবে মতিঝিল থেকে আগারগাঁও এবং দিয়বাড়ি থেকে পল্লবী অংশে মেট্রোরেল চলছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর দুপুর ২টা ২৫ মিনিট থেকে যাত্রীদের নিরাপত্তার শঙ্কায় সাময়িকভাবে মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া স্টেশনে মেট্রো চলাচল বন্ধ করা হয়।
মেট্রোরেলের বন্ধ স্টেশনগুলো চালু হলে তাৎক্ষণিক জানানো হবে। এদিন দুপুরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে মিরপুর ১০ এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
উল্লেখ্য, এ সময় কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা পুলিশ বক্সে এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। এরপরই নিরাপত্তার শঙ্কায় কিছু অংশে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এএম/