রাজশাহী
গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যায় স্বামী-শাশুড়ি-ননদের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় স্বামী-শাশুড়ি ও ননদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে, তা অনাদায়ে আরও ২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (০৮ জুলাই) জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী তরিকুল ইসলাম স্বপন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আক্কেলপুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর গ্রামের মৃত আ: আব্দুল মতিনের স্ত্রী ও নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি হাসনা হেনা, নিহতের স্বামী আবুল কামাল আজাদ ও নিহতের ননদ নওগাঁ সদরের নগর কুসুম্বী গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী লাজী। রায় প্রদানের সময় সকলেই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশের নিরাপত্তায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, আক্কেলপুরের আব্দুল্লাপুর গ্রামের আবুল কালাম ও লাবনী আক্তার দম্পতির সংসারে প্রায়ই ঝগড়া-বিবাদ চলছিল। লাবনী আক্তারকে তার শাশুড়ি, ননদ নির্যাতন করতেন। গেলো ২০১৬ সালের ২৩ জুন রাতে তারা লাবনীকে নিযার্তন করেন। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরেরদিন সকালে লাবনী গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে বলে তার বাবার বাড়ির লোকজনদের জানায়। তবে লাবনীর বাবার বাড়ির লোকজন নিহতের শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পায় এবং তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় ওই দিন ২৪ জুন নিহতের ছোট ভাই ওয়াহেদ বাদী হয়ে বোনের স্বামী, শাশুড়ি, জা ও ননদকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ ও সিআইডির কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে গেলো ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আর নিহত গৃহবধূর জাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে আদালতের কাছে প্রার্থনা করেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। আদালত তাকে অব্যাহতি দেন। এরপর মামলাটি দীর্ঘ শুনানি হয় এবং বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় দেয়া হয়।
এসি//
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ