লাইফস্টাইল
সিঁড়ি ব্যবহার করে দ্রুত ওজন কমাবেন যেভাবে
প্রতিদিনের ব্যস্ততায় জিমে গিয়ে ট্রেডমিলে দৌড়নোর সময় হয়ে ওঠে না। তবে এখন চিন্তার কোনো কারণ নেই। ওজন কমানো ও শরীরের গড়ন ধরে রাখার জন্য জিমই একমাত্র উপায় নয়। খুব তাড়াতাড়ি শরীরের বাড়তি মেদ ছেঁটে ফেলার মধ্যে একটি উপায় হলো সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করা।
চিকিৎসকেরা প্রায়ই বলেন, শুধু ওজন কমানো নিয়ে না ভেবে, শারীরিক সুস্থতার দিকেও খেয়াল রাখতে হয়। তার জন্য এমন শারীরিক কসরত করা প্রয়োজন, যা ক্যালোরি তো কমাবেই, পাশাপাশি শরীর সতেজ ও তরতাজা রাখবে। সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার অভ্যাস পেশির শক্তি বাড়ায়, শরীরেরও বল বৃদ্ধি করে। কিন্তু সিঁড়ি বেয়ে শুধু উঠলে বা নামলেই তো হবে না, কী ভাবে ওঠানামা করবেন ও কতক্ষণ, সেই কৌশলও জানতে হবে।
কী ভাবে করবেন?
১) সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার সময়ে শরীরের ভঙ্গিমা যেন সঠিক থাকে। কখনও ঝুঁকে সিঁড়ি দিয়ে উঠবেন না। মেরুদণ্ড সোজা, শরীর টান টান রাখতে হবে।
২) কোনও রকম শরীরচর্চা করার অভ্যাসই যদি না থাকে, তাহলে শুরুতেই সিঁড়ি দিয়ে তাড়াহুড়ো করে উঠতে যাবেন না। আগে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি বা স্পট জগিং করে নিন। এতে পেশির সক্রিয়তা বাড়বে।
৩) পায়ের পাতায় ভর নিয়ে ওঠানামা করলে কিন্তু হবে না। অনেকেই তাড়াহুড়োতে এটা করেন। সম্পূর্ণ পায়ের পাতা সিঁড়ির ধাপে রাখতে হবে। এতে হাঁটুর উপর চাপ কম পড়বে।
৪) ধীরে ধীরে শুরু করুন এবং পরে সময় বাড়ান। প্রথমে ৫ থেকে ৭ মিনিট সময় রাখুন ওঠানামার জন্য। সন্তাহে তিন দিন এই কসরত করুন। তার পর অভ্যাস হয়ে গেলে, ১০ থেকে ১৫ মিনিট করে দেখুন।
৫) সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামার সময়ে শ্বাসপ্রশ্বাসের হার স্বাভাবিক রাখতে হবে। লম্বা করে শ্বাস নিন, ধীরে ধীরে ছাড়ুন। যদি বেশি হাঁপিয়ে যান বা শ্বাসের সমস্যা হয় তা হলে আর করবেন না। বিশ্রাম নিয়ে করুন।
৬) এই কসরতের জন্য সঠিক স্পোর্টস শু-এর প্রয়োজন। যে কোনও জুতো পরে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে শুরু করলে পায়ে আঘাত লাগতে পারে, বা পায়ের পেশিতে টান ধরে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
সিঁড়ি ভাঙার উপকারিতা অনেক। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সঠিক পদ্ধতিতে যদি নিয়ম করে এই কসরত করা যায় তা হলে পায়ের পেশির জোর বাড়ে। হাঁটুর ক্ষয় কম হয়। সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন সঠিক পদ্ধতিতে হয়। এমনকি সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করলে হার্টও ভাল থাকে, রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় থাকে। শুধু তা-ই নয়, এই কসরতে গোটা শরীরের ভারসাম্যও বজায় থাকে। হরমোনের ক্ষরণ সঠিক পদ্ধতিতে হয়। ফলে মানসিক স্বাস্থ্যেরও উন্নতি হয়।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। হৃদরোগ, হাঁপানি থাকলে বা কোনও রকম অস্ত্রোপচার হলে সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করা ঠিক হবে কি না তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল। বাতের ব্যথা থাকলেও এই কসরত করা ঠিক হবে না। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক বা প্রশিক্ষকের পরামর্শ দরকার।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ