লাইফস্টাইল
ছেলেদের চুলের যত্নে সহজ কয়েকটি উপায়
সুন্দর, স্বাস্থ্যকর চুল পেতে নিয়মিত চুলের যত্ন নেয়া অত্যন্ত জরুরি। এই প্রয়োজনীয় উপলব্ধি এতদিনে বাঙালি পুরুষের মস্তিষ্কে উদয় হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বাজারে আজকাল পুরুষ ব্যবহারযোগ্য নানারকম কেশ প্রসাধনীর উদয় হয়েছে। কিন্তু এত প্রসাধনীর মধ্যে কোনটি আপনার জন্য সঠিক বুঝবেন কী করে? জেনে নিন।
চুলের ধরন অনুযায়ী যত্ন
প্রথমে চুলের ধরন বুঝতে হবে। তৈলাক্ত এবং শুষ্ক চুলের জন্য ভিন্ন ধরনের যত্ন প্রয়োজন।
তৈলাক্ত চুলের জন্য
১) নিয়মত শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
২) শ্যাম্পু করার পর চুলের সঙ্গে মানানসই ‘কন্ডিশনার’ ব্যবহার করুন।
৩) চুলে তেল লাগাতে পারেন। কিন্তু, চুল অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
শুষ্ক চুলের জন্য
১) সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে, এমন শ্যাম্পু ও ‘কন্ডিশনার’ ব্যবহার করুন।
২) সপ্তাহে একবার চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকে, এমন স্পা করুন- বাড়িতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি চুলের মাস্কও করতে পারেন।
৩) নিয়মিত তেল ব্যবহার করুন। কোন তেল আপনার জন্য উপযুক্ত, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
চুল পড়ার সমস্যা থাকলে
১) ঘরোয়া টোটকা হিসাবে, চুলে নারকেল তেল বা ‘আরগ্গান অয়েল’ ব্যবহার করলে উপকার পেতে পারেন। ঈষদুষ্ণ নারকেল তেলে পেঁয়াজের রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ব্যবহার করতে পারেন। তবে, এ ধরনের ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করার পূর্বে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে নেয়া প্রয়োজন।
২) খেয়াল রাখবেন, ‘স্ক্যাল্প’ যেন বেশি শুষ্ক না হয়, এতে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৩) নিজের চুল হিসাবে উপযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করুন। চুলের গোড়ায় রুক্ষ অনুভূতি এড়ানো সম্ভব।
দৈনন্দিন অভ্যাস ঠিক করুন
চুল পরিষ্কার রাখুন: আপনার চুলের ধরন অনুযায়ী সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার শ্যাম্পু করুন।
মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করুন: খুব কড়া শ্যাম্পু চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট করে ফেলতে পারে। তাই মৃদু শ্যাম্পু ব্যবহার করা ভালো।
ঠান্ডা পানিতে চুল ধুয়ে নিন: ঠান্ডা পানি চুলের রোমকূপ সংকুচিত করে এবং চুল উজ্জ্বল করে।
‘কন্ডিশনার’ ব্যবহার করুন: শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ‘কন্ডিশনার’ ব্যবহার করুন। এতে চুল নরম ও মসৃণ হয়।
উপযুক্ত চিরুনি ব্যবহার করুন: ভেজা চুল আঁচড়ানোর সময় সরু চিরুনির পরিবর্তে চওড়া দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন।
অতিরক্ত তাপ থেকে চুল রক্ষা করুন: ‘হেয়ার ড্রায়ার’, ‘স্ট্রেটনার’-য়ের অতিরিক্ত ব্যবহার চুলকে ভঙ্গুর করে তোলে। তাই যতটা সম্ভব এগুলো ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন: ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন: পানি কম খেলে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানিপান করুন।
ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ন্ত্রন: একেবারে বন্ধ করা যদি সম্ভব না হয়, তবে ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
জীবনের কিছু দৈনন্দিন অভ্যেস ঠিক রাখলেই চুলের অনেক সমস্যার সুরাহা হওয়া সম্ভব।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ