ফুটবল
উরুগুয়েকে হারিয়ে ফাইনালে আর্জেন্টিনার সঙ্গী কলম্বিয়া
টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত। গেল বছর আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারিয়ে দেয়া উরুগুয়েও ছাড় দিল না হামেস রদ্রিগেজের কলম্বিয়া। এবারের কোপায় কলম্বিয়া ও উরুগুয়ে দুই দলই দুর্দান্ত খেলে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। আগে থেকেই অনুমেয় ছিল ম্যাচটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। আর হয়েছেও তাই। তবে ব্রাজিলকে বিদায় করে সেমিফাইনালে ওঠা উরুগুয়েকে বিদায় করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে কলম্বিয়া। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শার্লটের ব্যাঙ্ক অফ আমেরিকা স্টেডিয়ামে উড়তে থাকা উরুগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় কলম্বিয়া। প্রথমার্ধে জেফারসন লারমার করা গোলটি ম্যাচে ব্যবধান গড়ে দেয়।
মার্সেলো বিয়েলসার দলটিকে বলা হচ্ছিল, এবারের কোপা আমেরিকার অন্যতম সেরা এক দল। ট্যাকটিক্সের কারণেই কিনা উরুগুয়ের পক্ষে বাজি ধরেছিলেন অনেকেই। কিন্তু নেস্তোর লরেঞ্জোর দলটা যেন রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য।
উরুগুয়ে ও কলম্বিয়ার ম্যাচে ৬ হলুদ কার্ড, ১ লাল কার্ড আর ২৪ ফাউলের ম্যাচের ফল নির্ধারণ করলেন জেফারসন লারমা। পুরো আসরে দারুণ ছন্দে থাকা এই মিডফিল্ডারের একমাত্র গোলে ২০২৪ কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়া। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।
এদিকে ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম লাল কার্ড দেখেন উরুগুয়ের নিকোলাস দে লা ক্রুজ। এর মিনিট পাচেক পর কলম্বিয়ার ড্যানিয়েল মুনোজকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। পরে বিরতিতে যাওয়ার আগে যোগ করা সময়ে আরও একবার কার্ড দেখায় লাল কার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। তবে এর আগেই লিডে দেখা পায় কলম্বিয়া। ম্যাচের ৩৯ মিনিটের সময় ৬ গজ বক্সের বা দিক থেকে লার্মার করা হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে পায় বল।
এদিকে প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়া কলম্বিয়া দ্বিতীয়ার্ধে খেলেছে দশজনের দল নিয়ে। তবে খর্বশক্তির প্রতিপক্ষের বিপক্ষেও আর গোল করতে পারেননি সুয়ারেজরা। এক গোলের লিড পাওয়া কলম্বিয়া দশজনের দল নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণেই মনোযোগী থেকেছে বেশি। ফলে বারবার আক্রমণে গিয়েও জালের দেখা পায়নি উরুগুয়ে।
১৯৬০ সালের পর থেকে একই বছরে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারানো একমাত্র দল ছিল উরুগুয়ে। এবারের আসরেই তারা বিদায় করেছে ব্রাজিলকে। অন্যদিকে কলম্বিয়া গেল কয়েক বছর ধরেই আছে দারুণ ছন্দে। টানা ২৭ ম্যাচ হারের মুখ দেখেনি তারা।
কলম্বিয়া বরাবরই হামেস রদ্রিগেজ এবং লুইস দিয়াজের গতিশীল ফুটবলের ওপর নির্ভর করেছে। সেমির মঞ্চেও তারাই খেললেন হলুদ জার্সিতে। অবশ্য এরমাঝেও কলম্বিয়াই আধিপত্য দেখিয়েছে বেশি।
জেএইচ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//