বাংলাদেশ
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে গণধর্ষণ
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় তরুনীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার সিপাইপাড়া গ্রামের মহিদুলের ছেলে প্রেমিক আব্দুল মালেক (২৫)। তার বন্ধু প্রসাদ খাওয়া গ্রামের রহিদুলের ছেলে মো. আপন (২৫)। মালেকের আরেক বন্ধু একই এলাকার মকবুল হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৩০)। মালেকের সহযোগী বামনপাড়া গ্রামের সামসুদ্দিনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২)।ওই কিশোরীর বাড়ি নারায়নগঞ্জে। শনিবর (১০ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে ওই তরুনী পঞ্চগড়ের বোদা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর বোদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী আব্দুল মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছেন। পরে রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। তবে গণধর্ষনের ঘটনাটি সোমবার সকালে প্রকাশ পায়।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল মালেক (২৫) নামে এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় নারায়নগঞ্জ জেলার এক তরুনীর। প্রায় দেড় বছর দুজনের মধ্যে মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পর্ক চলছিল। এক পর্যায়ে প্রেমিক মালেক ওই তরুনীকে বিবাহের প্রস্তাব দেন এবং পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় আসতে বলেন। পরে তরুনী মালেকের কথায় রাজী হয়ে বিয়ে করার জন্য নারায়নগঞ্জ থেকে বাসযোগে গেলো শুক্রবার সন্ধ্যায় বোদা উপজেলায় আসেন। বোদা বাসস্ট্যন্ডে এসে মালেকের সাথে সাক্ষাত হয়। আলমগীর হোসেনের ইজিবাইকে মালেক সহ উপজেলার বোদা সদর ইউনিয়নের প্রসাদ খাওয়া গ্রামে বাচ্চু মিঞার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বাচ্চু মিঞার বাড়িতে কোন লোকজন না থাকায় ওই তরুনী কিছুটা ভয় পেয়ে বুঝতে পারে অসৎ উদ্দেশ্যে আছে।
এ সময় আপন ও আশরাফুল নামে মালেকের দুজন বন্ধু হিসেবে পরিচয় করে দেয় তরুনীর সাথে। প্রেমিক মালেক সহ তিনজনই তরুনীর সাথে কথা বলতে শুরু করেন। পরে মালেক বিয়ে করার উদ্দেশ্যে কাজী অফিসে যাওয়ার জন্য বাচ্চু মিঞার বাড়ির পাশে আম বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে মালেক শারীরিক মেলামেশার প্রস্তাব দেয় ওই তরুনীকে। কিন্তু প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় সেখানে আপন ও আশরাফুল ইসলাম ওই তরুনীর মুখ চেপে ধরে প্রথমে মালেক জোরপূর্বক ধর্ষন করেন। পরে পালাক্রমে আপন ও আশরাফুল রাত নয়টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত ধর্ষন করে। অপরদিকে আলমগীর সহ আরও দুই থেকে তিনজন ঘটনাস্থলে তাদের পাহারা দেয়। এ সময় তরুনীর চিৎকারে স্থানীয় এলকাবাসীরা টর্চ লাইট নিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে শুরু করলে মালেক ও তার সহযোগীরা ওই তরুনীকে আমবাগানে রেখে পালিয়ে যায়।
বোদা থানার ওসি সুজয় কুমার রায় জানান, এই ঘটনায় পুলিশ প্রধান আসামী মালেক ও তার সহযোগী আলমগীরকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধর্ষিত তরুনীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে এবং আদালতে ভিকটিমের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মেঘ
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ