অপরাধ
ছেলেদের ছিনতাই করা টাকা ফিরে পেলেন বাবা-মা, ফের হামলার আশঙ্কা
রাজধানীর মানিকদিতে বাবাকে পিটিয়ে ছিনতাইয়ের ৩১ লাখ টাকা সন্তানদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম। টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনার মূলহোতা বড় ছেলেকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি জানায়, গত ২৮ জুন তিন ছেলে মিলে মা-বাবাকে হামলা করে টাকা ছিনতাই করে। বাবার করা মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সর্বশেষ শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বড় ছেলেকেও গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে মা-বাবার সঙ্গে দেখা হয় বড় ছেলের। এ সময় বড় ছেলে অনুতপ্ত হয় মা-বাবার কাছে ক্ষমা চায়।
তবে, মা-বাবা আশঙ্কা করছেন, ঘটনায় অনুতপ্ত হলেও কারাগার থেকে জামিনে বেরিয়ে আবারও হামলা করতে পারে সন্তানরা।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, পুরো ৩১ লাখ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে ওই বৃদ্ধ মা-বাবাকে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনার জন্য তাদের ৩ সন্তানই দায়ী উল্লেখ করে হারুন অর রশিদ বলেন, এ ছেলেগুলো একদিনেই নষ্ট হয়নি। তারা অনেক দিন ধরেই এ কাজের সঙ্গে জড়িত। ছেলেরা কোথায় কী করছে মা-বাবার উচিত ছিল তাদের খোঁজখবর রাখা। তারা যদি সঠিকভাবে ছেলেদেরকে তত্ত্বাবধান করত তাহলে এ ধরনের কাজ করতে পারত না।
তিনি আরও বলেন, মা-বাবা আশঙ্কা করছেন, ছেলেরা জেল থেকে বের হয়ে আবারও হামলা করতে পারে। কিন্তু তারা যদি এ ধরনের কোন কাণ্ড ঘটায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আবারও গ্রেপ্তার করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ জুন রাজধানীর মানিকদিতে জমি বিক্রির ৩১ লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীরা জয়নাল আবেদিনের ওপর হামলা করে। আর এ ছিনতাইয়ের সঙ্গে তার তিন ছেলেই জড়িত ছিল। ছোট ও মেজ ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৪ আগস্ট। ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পর পালিয়ে থাকা বড় ছেলে হানিফকেও গ্রেপ্তার করে ডিবি।
অনন্যা চৈতী
অপরাধ
রাজধানীতে বস্তা ভর্তি টাকাসহ একটি গাড়ি আটক করলেন শিক্ষার্থীরা
রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেটকার থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় তিনজনকে হেফাজতে নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার (৭ আগস্ট) এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা গণমাধ্যমে জানান, রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার গ্যারেজ থেকে গাড়িটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজনকে হেফাজতে নেয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। পরে গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকা উদ্ধার করে হেফাজতে নেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় জনতা ও শিক্ষার্থীরা উল্লাস করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, আওয়ামী লীগ ঘরোয়ানার একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের এমডির গাড়ি থেকে এ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। গাড়ি থেকে এক বস্তা টাকাসহ একটি শটগান উদ্ধার করে উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এএম/
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালিয়েছে ২০৯ বন্দি, নিহত ৬
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,গেলো মঙ্গলবার বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দিদের কেউ দেয়াল ভেঙে, কেউ দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চান।
একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন।এসময়ে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে।বন্দিদের ঠেকাতে নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহতদের নাম পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জেল সুপার।
আই/এ
অপরাধ
কাশিমপুর কারাগারে তীব্র উত্তেজনা, সেনাবাহিনীর শক্ত অবস্থান
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে বন্দিরা মুক্তির দাবিতে উত্তেজনা শুরু করেছেন। কারারক্ষীদের জিম্মি করে অনেকে দলবদ্ধভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছেন। খবর পেয়ে সেনা সদস্যরা এসে প্রাথমিকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুরের দিকে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে। এসময়ে ওই এলাকার আকাশে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
কারা কর্তৃপক্ষ জানান, কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে পৃথক চারটি কারাগার রয়েছে। এর মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি, ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ জঙ্গি বন্দিরা রয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তার অনেক নেতাকর্মীও ওই কারাগারে রয়েছে।
জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে কিছু বন্দি কারাগারের অভ্যন্তরে থাকা কারারক্ষীদের জিম্মি করে মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ শুরু করে। এসময়ে কারারক্ষীরা তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আগে থেকেই সেখানে অল্প সংখ্যক সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত সেনা সদস্য হেলিকপ্টার যোগে কারা অভ্যন্তরে এসে বন্দিদের নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রসঙ্গত, কারা অভ্যন্তরে বিদ্রোহের খবর পেয়ে বন্দিদের স্বজনরা সকাল থেকেই কারাগারের সামনে অবস্থান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীরা যোগ দিয়ে বিক্ষোভ করে। কারাগারের বাইরে একটি ঝুট গুদামে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে সেনা সদস্যরা বাইরের বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
আই/এ