আইন-বিচার
শুধু শুক্রবার সভা-সমাবেশ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
রাস্তা বন্ধ করে সভা সমাবেশ করা যেনো আন্দোলনের একটি পরিচিত চিত্র। যানজট ও জনদুর্ভোগ কমাতে রাস্তা অবরোধ বন্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে এবং শুধু শুক্রবার সভা-সমাবেশ ও শোভাযাত্রা চেয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার নোটিশটি পাঠান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের ঠিকানায় রেজিস্ট্রি ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি। পরবর্তী সাত কার্য দিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।যদি না মানা হয় তাহলেএ বিষয়ে পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। ৩৭ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ʻজনশৃঙ্খলা বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা নিষেধ-সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে ও নিরস্ত্র অবস্থায় সমবেত হইবার এবং জনসভা ও শোভাযাত্রায় যোগদান করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবে।’
নোটিশে শুধুমাত্র শুক্রবার ছাড়া কোন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলোকে রাস্তায় সভা, সমাবেশ, মিটিং, মিছিল, পরিবেশ দূষণ করে উচ্চস্বরে মাইক ও সাউন্ডবক্স ব্যবহার করে শোভাযাত্রার অনুমতি প্রদান না করার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার রাস্তায় তীব্র যানজট সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ তৈরি করা থেকেও সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার কথাও বলে হয়েছে।
লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ২০২৪ পরীক্ষা এবং এইচএসসি ২০২৪ পরীক্ষা চলমান থাকাকালে সম্প্রতি বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে জনগণকে ভয়ভীতি দেখানো, বল প্রয়োগ করা, রাস্তা অবরোধ, যানবাহনের গতি কমানো, গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়া, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সর্বোপরি এসবের কারণে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোপূর্বেও বিভিন্ন সময়ে কর্মব্যস্ত দিনগুলোতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তা বন্ধ করে সভা, সমাবেশ, মিটিং, মিছিল, পরিবেশ দূষণ করে উচ্চস্বরে মাইক ও সাউন্ডবক্স ব্যবহার করে শোভাযাত্রা রাস্তায় তীব্র যাটজট সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। উইকিপিডিয়াতে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ভৌগোলিকভাবে ঢাকা একটি অতিমহানগরী বা মেগাসিটি। ঢাকা মহানগরীর মোট জনসংখ্যা ৪ কোটি ৪২ লাখ ১৫ হাজার ১০৭ জন, যা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ ভাগ। জনসংখ্যার বিচারে ঢাকা দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শহর। জনঘনত্বের বিচারে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহর, ৩০৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরে প্রতি বর্গকিলোমিটার এলাকায় ২৩ হাজার লোক বাস করে। ঢাকা শহরের যেকোন একটি রাস্তা বন্ধ থাকলে তার প্রভাবে পুরো ঢাকা শহরে গভীর রাত পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির পাশাপাশি অপচয় হয় কর্মঘন্টা, জ্বালানির অপচয় এবং পরিবেশ দূষিত হয়।
নোটিশে আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার আরও বলেছেন, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১২৭, ১২৮ ও ১২৯ ধারা এবং পুলিশ আইন ১৮৬১ এর ৩০, ৩১ ও ৩২ ধারা লঙ্ঘন করে বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো বিভিন্ন সময়ে যানবাহন চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলেও আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪ এর ৪ ধারা কিংবা প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুসারে কোন প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা বাংলাদেশ পুলিশ কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে গ্রহন করা হয় নাই। যার দায়ভার কোনভাবেই লিগ্যাল নোটিশ গ্রহিতা ১-৪ নং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান এর এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দায়িত্বশীল পদে থেকে জনদুর্ভোগ লাঘবে যথাযথ আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন না করে নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলা করেছেন।
জেড/এস
আইন-বিচার
নতুন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এ নিয়োগ দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয় আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামানকে পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগ প্রদান করলেন।’
উল্লেখ্য, আ.লীগ সরকারের পতনের পর পদত্যাগ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বুধবার (০৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন মো. আসাদুজ্জামান।
২০২০ সালের ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ এম আমিন উদ্দিনকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
এসি//
আইন-বিচার
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর
পদত্যাগ করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর। বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পদত্যাগ করার বিষয়টি এস এম মুনীর নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও আরেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ পদত্যাগ করেন।
২০২০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম মুনীরকে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। গেলো ৫ আগস্ট দুপুর আড়াইটায় বঙ্গভবন থেকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার তাকে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এ সময় তার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন। ভারতে যাওয়ার আগে রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র দেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বড় বড় পদে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন।
এসি//
আইন-বিচার
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের সেই ভাস্কর্যটি উপড়ে ফেলা হয়েছে
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে হাইকোর্ট এনেক্স ভবনের সামনে থাকা গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের পর উপড়ে ফেলা হয়েছে।তবে কে বা কারা ভাস্কর্যটি ভেঙেছে তা জানা যায়নি।
বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে ভাস্কর্যটি মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়। এর আগে,গেলো মঙ্গলবার সকালে ইস্পাতের তৈরি ভাস্কর্যটির হাত ও দাঁড়িপাল্লা ধরে থাকা হাত ভাঙা অবস্থায় দেখা গিয়েছিলো।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে গড়ে তোলা ভাস্কর্যটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছেন, তা তাদের জানা নেই।
এর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশের মূল ফটকের বরাবর থাকা লিলি ফোয়ারায় প্রথমে ভাস্কর্যটি বসানো হয়। হেফাজতসহ কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের দাবির মুখে ২০১৭ সালের মে মাসে ভাস্কর্যটি সরিয়ে এনেক্স ভবনের সামনে স্থাপন করা হয়।
আই/এ