রাজশাহী
স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীর আত্মহত্যা
রাজশাহীর বাঘায় স্ত্রীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্বামীও আত্মহত্যা করেছেন। গত তিনদিন আগে স্ত্রী সাগরিকা খাতুন (১৮) আত্মহত্যার পর আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে স্বামী জারমান আলী (২০) আত্মহত্যা করেন। বাঘার আড়ানী ইউনিয়নের ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির দক্ষিণ পাশে এক আম বাগান থেকে সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় মাস আগে নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার নওশারা-ঘোরলাজ গ্রামের আবদুল গাফফার আলীর মেয়ে সাগরিকার সঙ্গে বিয়ে হয় বাঘা উপজেলার আড়ানী ঝিনা মধ্যপাড়া গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে জারমান আলীর। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসার ভাল চলছিল। জারমান আলী শুক্রবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে ঝিনা বাজারে যায়। বাজার থেকে রাত ৮টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা লক করা। বাইরে থেকে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তিনি দেখতে পন সাগরিকা তীরের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে। তাকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় পুলিশ জারমানের পিতা নওশাদ আলী ও ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে।
সাগরিকার পিতা গাফফার আলী বাদি হয়ে জারমান আলী ও তার পিতা নওশাদ আলী, মা সানোয়ারা বেগম এবং ছোট মা বুলুয়ারা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গত শনিবার জারমান আলীর বাবা নওশাদ আলী ও তার সৎ মা বুলুয়ারা বেগমকে আটক করে পুলিশ। আর জারমান পলাতক ছিলেন।
স্ত্রীর হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে মঙ্গলবার নিজ বাড়ির ৪শ’ মিটার দুরে আম বাগানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন জারমান। পুলিশ মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। তবে এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলছেন, কারণে অকারণে বিয়ের দেড় মাস না হতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন জারমান। এ নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে জারমান আত্মহত্যা করেছেন। মামলার ভয়ে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন এমন ধারণা করছে থানা পুলিশ।
রাজশাহী
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ
সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সকল প্রকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে পাবনায় সচেতনতামূলক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় দেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করার আহ্বান ও জানান। যাতে কোন অপশক্তি আবারও দেশটাকে অস্থিতিশীল তৈরি করতে না পারে তারও আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, এডওয়ার্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল, বাংলা বিভাগের শিক্ষক মাহবুব, এডওয়ার্ড কলেজের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বরকাতুল্লাহ ফাহাদ,স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক সিরাজুল মনিরা,রাব্বি রুহান ও এম এইচ অনিক।
এএম/
অপরাধ
এনায়েতপুর থানায় হামলা, ১৩ পুলিশ সদস্য নিহত
সিরাগঞ্জের এনায়েতপুরে থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (৪ আগস্ট) পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসী হামলায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার ১৩ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে, সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষে বিভিন্ন জেলায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক।
এর মধ্যে নরসিংদীতে ৬ জন, রংপুরে ৫ জন, ফেনীতে ৫ জন, ঢাকায় ৪ জন, সিরাজগঞ্জে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, বগুড়ায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ৩ জন, ভোলায় ৩ জন, লক্ষ্মীপুরে ৩ জন, মুন্সীগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ২ জন, সিলেটে ২ জন, ঢাকার আশুলিয়ায় একজন, বরিশালে একজন, জয়পুরহাটে একজন ও কুমিল্লায় একজন মারা গেছেন।
দেশজুড়ে
রাজশাহীতে থানা ও ভূমি অফিসে হামলা-অগ্নিসংযোগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিতে রাজশাহী নগরীর মোহনপুর থানা, আওয়ামী লীগের অফিস, ভূমি অফিস ও একটি মার্কেটে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
তেমন কোনো অপ্রিতিকর ঘটনা না থাকলেও জেলার মোহনপুরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ রোববার রোববার (৪ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মোহনপুর উপজেলা সদরে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মোহরপুর পুরো উপজেলা নিয়ন্ত্রণ নেন। এসময় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ চালায়। এতে ওই এলাকায় চরম আতঙ্ক দেখা যায়। পরে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোহনপুর থানায় হামলা করার পর পাশেই উপজেলা ভুমি অফিসে হামলা চালায়। এসময় সহকারী কমিশনারের (ভুমি) গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এছাড়াও ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় থানার সামনের মার্কেটেও। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
আই/এ