লাইফস্টাইল
ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখার কিছু ট্রিকস
ছোট রুম গুলোতেও কিছু কৌশল অনুসরণ করে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা যায়। এখন বেশিরভাগই একক পরিবার তাই সাধারণত ফ্ল্যাটগুলোর রুম বেশিরভাগ ছোট রাখা হয়৷ তাই ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখতে কী কী ট্রিকস ফলো করা যায় চলুন জেনে নেয়া যাক।
দেয়ালের রঙ নির্বাচন করা
দেয়ালে হালকা রঙ কিন্তু ঘরকে বড় দেখাতে সাহায্য করে। তাই রুম ছোট হলে দেয়ালের জন্য উজ্জ্বল রং না বেছে হালকা রঙ নির্বাচন করুন। অনেক সময় ভাড়া বাসা হলে রঙ পরিবর্তনের তেমন সুযোগ থাকে না। সেক্ষেত্রে আগের রঙ এর উপর নতুন করে রঙ করিয়ে নিন অথবা বাজারে এখন অনেক ধরনের ওয়ালপেপার পাওয়া যায় তাও লাগিয়ে নিতে পারেন। তবে এখনকার বেশিরভাগ ফ্ল্যাটে হালকা যেমন সাদা কিংবা অফ হোয়াইট রঙই বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে৷
আসবাবপত্র বাছাই করা
রুম সাজানোর আগে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। ছোট রুমের আসবাবপত্র বাছাই করতে হবে বুঝেশুনে, যাতে ঘরে দমবন্ধ অনুভূতি না হয়। একটি আসবাবপত্র যাতে অনেক কিছুর কাজে লাগে এমন আসবাবপত্র বেছে নিন। যেমন, বেড কাম সোফা৷ বাজারে এমন কিছু সোফা পাওয়া যায় যা প্রয়োজনে ওপেন করে বেড বানিয়ে ফেলা যায়, এতে বাড়িতে হুটহাট অতিথি এলে বেশ কাজে দেয়৷ আবার বেডের নিচে ড্রয়ার আছে এমন বেড ব্যবহার করলে সেই ড্রয়ারে টুকিটাকি অনেক কিছু রেখে দেয়া যায়৷ বুক সেলফ দেয়ালে সেট করে নিতে পারেন, এতে জায়গার অপচয় কম হবে। একটা সময় ছিল যখন বাড়িতে যতবেশি আসবাবপত্র থাকত তত রুচিশীল মনে করা হতো, এখন কিন্তু সেইদিন নেই। এখন যতটা সম্ভব আসবাবপত্র কম রাখার চেষ্টা করুন৷ সম্ভব হলে মাঝে মাঝে আসবাবপত্র জায়গা পরিবর্তন করে দেখতে পারেন, এতে রুমে কিছুটা ভিন্নতা আসে।
দেয়ালে বৈচিত্র্যতা আনা
ছোট বেডরুম সাজাতে দেয়ালকে বেশি ব্যবহার করা উচিত কারণ এতে জায়গার প্রয়োজন পড়ে না। দেয়ালে প্রিয় ছবি বাঁধাই করে ফ্রেম বন্দি করে রাখতে পারেন। এছাড়া বড় থেকে ছোট আকারের নানা শিল্প দেয়ালে সেট করতে পারেন। এখন এমন ওয়াল পেইন্টিং পাওয়া যাচ্ছে যার জন্য আপনার দেয়াল ছিদ্র করতে হবে না, খুব সহজে সুপার গ্লু দিয়ে দেয়ালে লাগিয়ে নিতে পারবেন। কিংবা দেয়াল জুড়ে দিতে পারেন নানা ডিজাইনের আয়না, এতে যেমন ঘরের লুক বদলে যাবে তেমনি ড্রেসিংটেবিল রাখার ঝামেলাও কমে যাবে। দেয়ালে বুক সেলফ সেট করে পছন্দের বই দিয়েও কিন্ত ঘরের কর্নার সাজাতে পারেন। আবার বুক সেলফে যে শুধু বুক রাখতে হবে এমন না সেলফে ছোট ছোট গাছ কিংবা মাটির তৈরি শোপিস রাখতে পারেন।
বেডশীট ও পর্দা বাছাই করা
ছোট রুমের জন্য হালকা রঙের বেডশীট বেছে নিতে পারেন, খেয়াল রাখতে হবে যাতে বেডশীটে নকশা কম থাকে। কারণ ছোট রুমে খুব বেশি প্রিন্টের বেডশীট দিলে রুম অনেক সময় অগোছালো মনে হয়। বিছানায় কয়েকটা রঙিন কুশন রাখতে পারেন। সম্ভব হলে বেডশীটের সাথে মিল রেখে পর্দা সেট করুন এতে ঘরের সৌন্দর্য অনেক বেড়ে যাবে। বেডরুমের পর্দা একটু যাতে ভারী হয় যেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে, তাহলে খুব বেশি রোদ প্রবেশ করতে পারবে না।
লাইটিং সেট করা
যেকোনো লাইটিং আপনার ঘরের আউটলুক বদলে দিতে পারে৷ ঘরে ব্যবহার করতে পারেন পেনডেন্ট লাইট, এটি মেটালের রড দিয়ে সিলিং থেকে ঝোলানো হয়। এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন টাস্ক লাইট, এটি যেকোনো একটি স্থানকে হাইলাইট করে রাখে। তাই কোনো ছবির ফ্রেম কিংবা বুক সেলফকে হাইলাইট করার জন্য টাস্ক লাইট সেট করতে পারেন৷ জায়গা কম থাকলে দেয়ালে ঝোলানো যায় এমন লাইটিং বেছে নিন। বেডের পাশে ছোট টেবিল দিয়ে যেকোনো রঙের ল্যাম্প রাখতেন পারেন৷ আমাদের মুডের উপর লাইটিং এর প্রভাব রয়েছে, হলুদের মতো কিছু উজ্জ্বল রঙ আমাদের মুড নিমিষেই ভালো করে দিতে পারে। তবে বেডরুমে যেকোনো ধরনের লাইট সেট করার আগে খেয়াল রাখতে হবে এতে যাতে আমাদের ঘুমের ব্যাঘাত না হয়।
ইনডোর প্লান্ট সেট করা
রুমের কর্নারে একটি গাছ আপনার রুমের শোভা আরো বাড়িয়ে দিবে৷ চাইলে টব ব্যবহার না করে বিভিন্ন নকশার জারে মানিপ্ল্যাট গাছ রেখে দিতে পারেন আপনার টেবিলের উপর। এছাড়া জানালার ধারে অনেক সময় খালি কিছু জায়গা থাকে সেখানে ছোট ক্যাকটাস গাছ রাখতে পারেন৷ গাছ রাখার টবেও নিয়ে আসুন ভিন্নতা, জুট কিংবা হেন্ডপেইন্ট যেকোনো টবে গাছটি সেট করে দিলে সেটিও আপনার ঘরের একটি শোপিস হয়ে যাবে। আবার ফুলদানিতে দোলনচাঁপা, রজনীগন্ধার মতো কিছু ফুল রাখতে পারেন এতে করে আপনার রুমে সুগন্ধ ছড়িয়ে থাকবে৷ তবে ফুল পচে গেলে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে ফেলতে হবে৷
এই রকম কিছু ব্যাপার খেয়াল রেখে আপনি আপনার ছোট রুমটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে পারেন৷ এছাড়া আপনার রুমের ছোট ছোট ডিটেইলসে নজর দিন যেমন ঘরে প্রাকৃতিক আলো বাতাস ঢুকছে কিনা, তার জন্য দিনের যেকোনো একটি সময় সব জানালা খুলে দিন যাতে রুমে রোদ প্রবেশ করে, তা না হলে ঘরে স্যাঁতসেঁতে ভাব চলে আসবে৷ ফার্নিচারে ধুলো জমে আছে কিনা খেয়াল রাখুন, থাকলে শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিন৷ অনেক সময় ফার্নিচারে রং উঠে আসে তখন ফার্নিচারের রং করার ব্যবস্থা করতে হবে৷ এছাড়া ঘরের টুকিটাকি জিনিস এদিকে সেদিকে ফেলে না রেখে নির্দিষ্ট কোন ড্রয়ার কিংবা বক্সে গুছিয়ে রাখুন। নিয়মিত গুছিয়ে রাখলে যেকোনো ঘরই বেশ পরিপাটি লাগবে৷ তাই ছোট বেডরুম সাজিয়ে রাখতে এই ট্রিকস ফলো করতে পারেন।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ