লাইফস্টাইল
ছোট ভাই-বোনের প্রতি পরিবারের বড় মেয়ের দায়িত্ব
পরিবারের বড় মেয়ে মানেই হচ্ছে বাড়তি দায়িত্ব। বড় ভাই বা বোনের দায়িত্বই হচ্ছে ছোট ভাই-বোনদের একমাত্র বন্ধু হওয়া। মাঝে মাঝে এই কাজটি হতে পারে আপনার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। অল্প কিছু টিপস ফলো করেই কিন্তু আপনি আপনার পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে ভাই-বোনদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিকমতো পালন করতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক পরিবারের বড় মেয়ে কিভাবে তার ছোট ভাই-বোনদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারে।
১. শৃঙ্খলা শেখান
তাদেরকে উদাহরণের সঙ্গে শৃঙ্খলা শেখানোর চেষ্টা করুন। পরিবারে আপনার যদি একাধিক ছোট ভাই-বোন থাকে তাহলে অনেক সময় তারা মারামারি বা ঝগড়া করতে শুরু করে। এটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বড় বোন হিসেবে আপনি তাদের ধমক না দিয়ে কাছে ডেকে ঠান্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করুন কেন ঝগড়া করা জিনিসটা খারাপ। দরকার হলে অভিযোগ শুনুন, তারপর সেটা খুব সহজে সমাধান করুন। এতে আপনার প্রতি তাদের নির্ভরতা বেড়ে যাবে অনেকগুণ।
২. তুলনা করবেন না
আপনার সঙ্গে আপনার ভাই-বোন এর তুলনা করবেন না। এতে তারা হতাশ হয়ে পড়তে পারে। তাদেরকে যত বেশি সম্ভব উৎসাহ দিন। আপনি যা পারেন সে তা নাও পারতে পারে, কিন্তু সেই কারণে মন খারাপ করে যাতে তারা যেটা ভালো পারে সেটাতে দক্ষতা নষ্ট না হয় তা খেয়াল রাখুন।
৩. রাগ করবেন না
আপনার ভাই-বোন এর জন্য একটি উদাহরণ হোন যা তাদেরকে ভালো হতে সাহায্য করবে। তাদের সামনে উত্তেজিত হবেন না, রাগ দেখাবেন না। নাহলে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে। শিশুরা অবুঝ। তাই মাঝে মাঝে তারা জেদ করতে পারে, বা যেটা করা উচিত নয় এমন কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বাবা মায়ের সাহায্য নিন।
৪. সময় দিন
এখনকার দিনে দেখা যায় অনেক পরিবারে ভাই-বোনদের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব কাজ করে। কাজ শেষ করে সবাই নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত্ থাকে এবং কেউ কারো খোঁজ নেয় না। যার কারণে এই দূরত্ব বাড়তে পারে। পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে আপনার দায়িত্ব হবে সবার আগে আপনার ছোট ভাই-বোন-এর খবর নেয়া। তার সঙ্গে সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন। খেলুন, মুভি দেখুন, বই পড়ুন এবং আনন্দে কিছু সময় কাটান।
৫. ছোটদের কথা শুনুন
নিজের মধ্যে শোনারমতো মনোভাব গড়ে তুলুন। ছোট শিশুরা কথা বলতে খুব ভালোবাসে। আর যে তার কথা শোনে তাকে সে সবচাইতে বেশি পছন্দ করে। তাই পরিবারের বড় মেয়ে বা বড় বোন হিসেবে আপনি যদি আপনার ভাই/বোন-এর সবচাইতে প্রিয় মানুষ হতে চান তাহলে ধৈর্য্য ধরে তার কথাগুলো শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সে যাই বলুক, মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তাকে আরো বলতে উৎসাহ দিন। এতে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং আরো কথা বলতে চাইবে।
৬. দেখাশোনা করুন
বাবা মা কে সাহায্য করুন। ভাই বোন বেশি ছোট হলে তার উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা লাগে। একসময় আপনার বাবা মা ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে আপনি আপনার ছোট ভাই-বোনদের কিছুক্ষণের জন্য দেখাশোনা করতে পারেন। এতে পরিবারে আপনার প্রতি নির্ভরতা বাড়বে। আপনিও আপনার ভাইবোনের কাছে পছন্দের হয়ে উঠবেন।
৭. দায়িত্ব বুঝে নিন
ছোট ভাই-বোনের প্রতি দায়িত্বগুলো আলাদা করে বুঝে নিন। মাঝে মাঝে তাদের পড়ালেখায় সাহায্য করুন। আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার ভাইবোনের প্রতি আপনার দায়িত্ব কতটুকু বা কী রকম তাহলে সেই অনুসারে আপনি কাজ করলে সহজেই তাদের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন।
৮. উপহার দিন
শুধুমাত্র আপনিই তাদের জন্য না করে বরং তাদেরকেও আপনার জন্য কিছু করতে দিন। শিশুরা বড় কাউকে কিছু উপহার দিতে, বা কোন কাজে নিজের ইচ্ছায় সাহায্য করতে পছন্দ করে। তাই সে যদি আপনার জন্য কিছু করতে চায়, সেটা তার জন্য ক্ষতিকারক না হলে তাকে করতে দিন। এতে বন্ধন দৃঢ় হবে।
উপরের এই সাধারণ ব্যাপারগুলো মেনে চললে আপনি আপনার ভাই বোনের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো পালন করতে শিখে যাবেন। এতে পরিবারে আপনার গুরুত্ব যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি আপনার ভাইবোনের কাছেও আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ