লাইফস্টাইল
সুন্দর ত্বক পেতে নাস্তায় যা খাবেন
প্রতিদিন হেলদি ব্রেকফাস্টের অভ্যাস আপনার ত্বকের সৌন্দর্যকে অনেকটাই বাড়িয়ে তুলতে পারে? সুন্দর আর তারুণ্যদীপ্ত ত্বক পেতে বাইরে থেকে আপনি যতটা যত্ন করেন, ঠিক ততটাই দরকার ভিতর থেকে পুষ্টি। ডায়েটেশিয়ান, বিউটি এক্সপার্ট এবং ডাক্তার সকলেই কিন্তু সুষম খাদ্য তালিকার উপর জোর দেন। বিশেষ করে হেলদি ও পরিপূর্ণ ব্রেকফাস্ট এর ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা বেশি জোর দেন। আপনি ত্বকের যেকোনো সমস্যা নিয়ে স্কিন ডাক্তারের কাছে যান কিংবা বিউটি এক্সপার্টের টিপস ফলো করতে যান, সবাই কিন্তু হেলদি ডায়েট চার্ট ফলো করার কথা বলে। আর দিনের প্রথম মিল পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়া চাই, যেটা আপনাকে ফিট থাকতে হেল্প করবে, দিনভর কাজের জন্য শক্তি যোগাবে আর ভেতর থেকে ত্বককে হেলদি করতেও ভূমিকা রাখবে। কী কী খাবার দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার দিন চলুন এবার তাই জেনে নেয়া যাক!
ব্রেকফাস্ট বাদ দেয়ার অজুহাত বন্ধ করুন
অনেকেই মুটিয়ে যাওয়ার ভয়ে সকালের নাস্তা স্কিপ করেন বা যারা ডায়েট করে স্লিম ফিগারের অধিকারিণী হতে চান তাদের মধ্যে অনেককেই সকালের নাস্তার প্রতি অনীহা করতে দেখা যায়। কিন্তু ব্রেকফাস্ট বাদ দিয়ে, কিংবা একদমই হালকা-পাতলা ব্রেকফাস্ট করে যারা ডায়েটের মিশনে নামেন, তারা রীতিমত শরীর ও ত্বকের প্রতি অবিচার করছেন। অনেকে দেরি করে ঘুম থেকে উঠে এবং স্কুল, কলেজ কিংবা অফিসে যেতে দেরি হয়ে যাচ্ছে এই অজুহাতে ঠিকমতো সকালের নাস্তা করে না! বা কোনোমতে কিছু একটা মুখে নিয়েই ছুটে যায় নিজ গন্তব্যে। আবার একই আইটেম দিয়ে দিনের পর দিন নাস্তা সেরে নিচ্ছেন এমন মানুষও কিন্তু অনেক আছে। জানেন কি এই বদভ্যাসগুলো শরীরের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে? সবগুলো আচরণই কিন্তু ভুল এবং দিনের পর দিন এটা আমাদের শরীরের মেটাবলিজম, স্কিন, ডাইজেসটিভ সিস্টেম সবকিছুকেই ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
কী খাবার দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার দিন?
ব্রেকফাস্টের প্লেটে কী কী থাকলে সেটা আমাদের ত্বকের জন্যও উপকারি হবে জানেন কি? আমাদের একটা ধারণা আছে যে, হেলদি খাবার কখনো টেস্টি হয় না। একদমই কিন্তু তা নয়। আপনাদের জন্য থাকলো কিছু সাজেশন যেখান থেকে অনায়াসেই আপনি ব্রেকফাস্ট মেন্যু ঠিক করে নিতে পারবেন বা ব্রেকফাস্ট টেবিলে বৈচিত্র্য আনতে পারবেন।
১) ডিম এবং ডিম দিয়ে তৈরি নাস্তা
ডিম দিয়ে নাস্তা করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। জেনে খুশি হবেন যে ডিম ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে বিশেষ সহায়ক, এর ফলে ত্বক কোমল ও টানটান থাকে। প্রোটিনের সবচাইতে ভালো উৎস হচ্ছে ডিম, এটা আমরা সবাই জানি। এছাড়াও ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস আছে। সকালের নাস্তাতে বিভিন্নভাবে ডিম খেতে পারেন। যেমন বয়েল্ড এগ, সুগার ফ্রী এগ পুডিং, এগ স্যান্ডউইচ, সুইটলেস কাপ কেক, ডিম পোঁচ আরও কত কী! তবে যারা একটু বেশি স্বাস্থ্যবান এবং হাই প্রেসারে ভুগছেন, তাদের ডিমের কুসুম এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
২) সবজি খিচুড়ি
একটু ভারী ও পরিপূর্ণ নাস্তা হিসাবে সিজনাল সবজি মিলিয়ে চাল-ডালে তৈরি করতে পারেন সবজি খিচুড়ি। সুন্দর ত্বক পেতে ব্রেকফাস্ট প্লেটে দৈনিক শাক-সবজি রাখাটা মাস্ট। পালং শাক, মিষ্টি কুমড়া, গাজর, কাঁচা পেঁপে, মিষ্টি আলু এগুলো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের খুব ভালো সোর্স। স্কিন সেল ডেভেলপমেন্ট এবং ভেতর থেকে হেলদি রেডিয়েন্ট পেতে এই সবজিগুলো মেন্যুতে রাখতে হবে। সাধারণত সকালের নাস্তা গ্রহণের পর প্রায় সবাইকেই কোনো না কোনো কাজে যেতে হয় আর অতিরিক্ত ক্যালরি সারাদিনের কাজের মাধ্যমে পুড়িয়ে ফেলাটাও সহজ হয়। তাই একটু ভারী নাস্তা করতেই পারেন। আর ভাত প্রিয় বাঙ্গালীর গরম গরম খিচুড়ি পেলে তো কোনো কথাই নেয়!
৩) ফ্রেশ ফ্রুট সালাদ
সব ধরণের ফলই পুষ্টি গুণে ভরপুর, শুধু আপনাকে বেছে নিতে হবে ব্রেকফাস্ট টেবিলে কোনটা আপনার জন্য ভালো হবে। টক জাতীয় ফল যেমন- লেবু, মালটা খালি পেটে খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। গ্রিন আপেল, কালো আঙ্গুর, পাকা পেঁপে, কিউয়ি, বেরিজাতীয় ফল, কলা, বেদানা এগুলো খুব ভালো অপশন হতে পারে আপনার জন্য। যেমন পাকা পেঁপে আপনার হজমশক্তি ভালো রাখবে, ত্বকও হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। আপেল, বেদানা, স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বককে ফ্রি র্যাডিকেলসের হাত থেকে বাঁচায়, স্কিনকে ইয়াংগার লুকিং রাখতে হেল্প করে। একটু মধু, টকদই আর ফল মিলিয়ে সালাদের বোল রেডি করে নিন। হেলদি ব্রেকফাস্টের জন্য বেশি কষ্টও কিন্তু করতে হলনা! যারা রুটি, সবজি সকালের মেন্যুতে প্রিফার করেন না বা বানানোর টাইম হয় না, তাদের জন্য এটা বেশ সুইটেবল।
৪) কর্ণফ্লেক্স বা ওটমিল
কাজুবাদাম, কিসমিস, পেস্তা, আখরোট, ফ্যাট ফ্রি দুধ আর মধু দিয়ে একবাটি কর্ণফ্লেস্ক কিংবা ওটস- যুগোপযোগী নাস্তা! এক বাটিতে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফলিক এসিড আর নিউট্রিয়েন্টস কিন্তু একসাথে পেয়ে যাচ্ছেন। আমেরিকান একাডেমী অফ ডার্মাটোলোজীর এক গবেষণায় উঠে এসেছে ওটস খেলে স্কিনের পিএইচ ব্যাল্যান্স ঠিক থাকে, ত্বক ভেতর থেকে ময়েশচারাইজড আর স্মুদ করতেও হেল্প করে। কর্ণফ্লেস্কের তুলনায় ওটসে ফাইবার বেশী থাকে। আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম যদি ঠিক না থাকে তাহলে স্কিনে পিম্পল, র্যাশসহ অন্যান্য স্কিন প্রবলেম দেখা দেয়। তাই ফাইবারযুক্ত খাবার আপনার সকালের মিল-এ রাখুন।
৫) পাস্তা
পাস্তা আপনার হেলদি ডায়েটের জন্য গুড চয়েস হতে পারে কেননা হোল গ্রেইন পাস্তাতে ক্যালরি মোটামুটি এমাউন্টে থাকে, সাথে নিউট্রিয়েন্ট ও ফাইবার পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এতে ডিম, সবজি, প্রন অথবা চিকেন মিলিয়ে ব্যালান্সড মিল তৈরি করতে পারেন। ব্রকলি, টোম্যাটো এগুলো স্কিনের জন্য খুবই ভালো। পাস্তাতে এই ধরণের ভেজিটেবল মিলিয়ে নিন। পেটও ভরবে, সাথে স্কিনের জন্য উপকারীও হবে।
৬) আটার রুটি
সকালের নাস্তায় রুটি খাওয়ার প্রচলন বাঙ্গালীদের মধ্যে অনেক আগের থেকেই। গবেষণায় দেখা গেছে হোল গ্রেইন আটা খেলে স্কিনের কমপ্লেকশন ভালো হয় এবং ফাইবার কনটেন্টের জন্য পরিপাকক্রিয়া স্বাভাবিক থাকে। রুটির সাথে সবজি, ডিম দিয়ে নাস্তা সারতে পারেন।
৭) গ্রিন টি অথবা ব্ল্যাক কফি
রেগুলার গ্রিন টি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন অথবা চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফিও নাস্তার পর চলতেই পারে। এটা শরীরকে চাঙ্গা করে তুলবে আর স্কিন বেনিফিটতো আছেই। গ্রিন টি স্কিনের জন্য খুবই উপকারী কেননা এতে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি এজিং প্রোপারটিজ থাকে যা আপনার স্কিনকে হেলদি, রেডিয়েন্ট, ইয়াংগার লুকিং রাখতে হেল্প করবে। রিসেন্ট এক গবেষণাতে দেখা গেছে ব্ল্যাক কফির ক্যাফেইন ডিএনএ রিপেয়ারিং-এ ভুমিকা রাখে, তাই এটা স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ ইফেক্টিভ। পরিমিত মাত্রার ক্যাফেইন স্কিন কমপ্লেকশন ব্রাইট করতেও হেল্প করে। তাই নাস্তার টেবিলে গ্রিন টি অথবা ব্ল্যাক কফি রাখুন। আর চা কফি পছন্দ না করলে সিজোনাল ফলের জুস দিয়ে নাস্তা শেষ করতে পারেন।
ব্যস, জেনে নিলেন আপনার হেলদি ডায়েটের কিছু অপশন। মনে রাখবেন, সবার বডি মেটাবলিজম এক না, তাই দুধজাতীয় খাবার বা কোন ফলে যদি গ্যাস্ট্রিক হবার হিস্ট্রি থাকে তাহলে এভয়েড করবেন আর নাস্তা করার আগে অবশ্যই পানি দিয়ে শুরু করবেন। শরীরের পূর্ণ সুস্থতার জন্য দরকার পর্যাপ্ত পুষ্টি আর দিনের শুরুটাই হোক হেলদি ফুড দিয়ে। সুস্থ থাকুন, সুস্থ রাখুন।
কেএস/
পরামর্শ
মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়
খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।
মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।
১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।
২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।
৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।
৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।
৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।
জেডএস/
লাইফস্টাইল
জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে
এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।
সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই? এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।
আসুন জেনে নেই তাহলে –
১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।
২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।
৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।
পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।
৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।
৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।
৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।
জেডএস//
রেসিপি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি
আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।
উপকরণ
ঘন দুধ- ১ কাপ
চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )
আম- ২টি
ডিম- ২টি
ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী
১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।
২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।
৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।
৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।
৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।
৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।
৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।
ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।
জেএইচ