Connect with us

লাইফস্টাইল

চোখের ফোলাভাব দূর করার উপায়

Avatar of author

Published

on

ফোলা

ফোলা চোখ একটি সাধারণ ত্বকের সমস্যা যা মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দেয়। এর পিছনে ব্যাখ্যা হলো যে বার্ধক্য চোখের চারপাশের টিস্যুকে প্রভাবিত করে এবং দুর্বল করে দেয়, যার ফলে চোখে ফোলাভাব দেখা দেয়। কিন্তু ফোলা চোখের পেছনে এটাই একমাত্র কারণ নয়। কেউ কেউ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর চোখের নিচে ফোলাভাব লক্ষ্য করতে পারে, যা ঘুমের অভাবের লক্ষণ হতে পারে।

ফোলা চোখের কারণ কী?

আমেরিকান একাডেমি অফ অফথালমোলজি (এএও) ব্যাখ্যা করে যে, চোখের ফোলাভাব বিকাশ হয় প্রাথমিকভাবে বার্ধক্য প্রক্রিয়ার কারণে। স্বাস্থ্য সংস্থা পরামর্শ দেয় যে, চোখের চারপাশের ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারায়, ফ্যাটি টিস্যু যা সাধারণত চোখের সামনের দিকে সরে যেতে এবং নিচের চোখের পাতার নিচে জমা হতে সাহায্য করে।

চোখের ফোলাভাবের সম্ভাব্য কিছু কারণ

  • অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ
  • তরল ধারণ (কিডনি ব্যাধি)
  • ট্রমা
  • ঘুমের অভাব।

তরল ধারণ বা ঘুমের অভাব: কীভাবে পার্থক্য করা যায়?

উচ্চ লবণযুক্ত খাবারসহ বিভিন্ন কারণে শরীরে তরল ধারণ হতে পারে। অত্যধিক লবণ খাওয়ার কারণে আপনার শরীর পানি ধরে রাখতে পারে, যা ফুলে যায়।

Advertisement

অপর্যাপ্ত ঘুমের কারণে ফোলাভাব এবং চোখের কালো বৃত্ত উভয়ই হতে পারে। স্লিপ জার্নালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, কারো মুখ দেখে ঘুমের অভাব সঠিকভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। গবেষকরা তাদের একদল পর্যবেক্ষককে এমন লোকদের ছবি দেখিয়েছেন যারা ভালোভাবে বিশ্রামে ছিলেন এবং যারা মারাত্মকভাবে ঘুম থেকে বঞ্চিত ছিলেন। পর্যবেক্ষকরা ধারাবাহিকভাবে ঘুম-বঞ্চিত ব্যক্তিদের আরও ক্লান্ত চেহারার বৈশিষ্ট্য যেমন ফোলা চোখ, কালো বৃত্ত, ফ্যাকাশে ত্বক এবং চোখের পাতা ঝুলেছে বলে দেখতে পান।

ঘুমের অভাব এবং তরল ধরে রাখার কারণে ফোলা ভাবের মধ্যে পার্থক্য পর্যাপ্ত বিশ্রামের পরে ফোলাভাব চলে যায় কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে নির্ধারণ করা যেতে পারে। যদি এটি অব্যাহত থাকে, এটি একটি অন্তর্নিহিত অবস্থার কারণে হতে পারে যেমন একটি কিডনি ব্যাধি, যার জন্য সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।

চোখের ফোলাভাব দূর করার উপায়

  • চোখের ওপর একটি ঠান্ডা কম্প্রেস ব্যবহার করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম; বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দেন।
  • একটু মাথা উঁচু করে ঘুমান।
  • শোবার আগে তরল পান করা এড়িয়ে চলুন।
  • আপনার খাদ্যতালিকায় লবণ সীমিত করুন।
  • ধূমপান ত্যাগ করুন।
  • আপনার অ্যালার্জির উপসর্গ কমাতে চেষ্টা করুন।
  • অতিরিক্ত চোখের পাতা ঘষা এড়িয়ে চলুন।

খাবারের দিকে খেয়াল করুন

উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার খেলে তা লবণের প্রভাব মোকাবিলা করতে এবং ফোলা চোখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের কিছু উদাহরণের মধ্যে রয়েছে কলা, দই, নারিকেলের পানি, শুকনো ফল, আলু এবং শুকনো এপ্রিকট। তবে, এই খাবারগুলো পরিমিতভাবে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ, কারণ অতিরিক্ত কিছু ক্ষতিকারক হতে পারে। সেইসঙ্গে লবণ খাওয়া কমিয়ে দিলে তা ফোলা চোখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করতে পারে।

কেএস/

Advertisement
Advertisement

পরামর্শ

মুখে ঘা দূর করতে মেনে চলুন ৫ উপায়

Published

on

খাওয়া দাওয়ার সময় বা কথা বলার সময়ে মুখে ঘা হলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন সহ্য না করাই উত্তম। এই সমস্যা কিন্তু একসময় মুখে আলসারেরও লক্ষণ হতে পারে। মুখের আলসারকে সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদে পড়বেন। কোষ্ঠকাঠিন্য, হরমোন জনিত সমস্যার কারণে মুখের ভিতরে আলসার হতে পারে। অনেকে আবার ব্রেসেস পড়েন, তাঁদেরও মাঝেমাঝে এই সমস্যা হয়। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখের ঘা থেকে আলসার হতে পারে।

মুখে ঘা হলে কিছুদিনের জন্য ঝাল, টক জাতীয় খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। না হলে মুখে জ্বালা অনুভূত হবে। মুখে ঘা হলে মুক্তি পেতে পারেন ৫ উপায়ে ।

১) মুখের ঘা কমাতে হালকা গরম পানিতে সামান্য লবন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে আরাম পাবেন। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুটোই কমে আসবে।

২) ঘায়ের জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখতে পারেন, ভালো উপকার পাবেন। কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালে সুফল পাবেন।

৩) ঘায়ের জায়গায় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল লাগিয়ে রাখলেও বেশ আরাম পাবেন।

Advertisement

৪) যে কোনও ঘায়ের জন্য ভালো প্রাকৃতিক ঔষধ হতে পারে হলুদ। মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে হলুদ বাটা লাগিয়ে রাখতে পারেন। কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের তীব্র জ্বালা-যন্ত্রণা কমে আসবে।

৫) বেকিং সোডা ঘা সারাতে দারুণ উপকারী একটি জিনিস। এক কাপ পানিতে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করলে ঘা কমে যাবে। এছাড়া বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য পানি মিশিয়ে একটা ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে পারেন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পেতে পারেন।

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

লাইফস্টাইল

জুতো-মোজার দুর্গন্ধ দূর হবে যেভাবে

Published

on

এসে গেছে বৃষ্টির দিন। দিনভর ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টিতে বাড়ি থেকে বের হওয়াই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।  বাড়ি থেকে বেরিয়েই কাকভেজাহয়ে অফিসে যাচ্ছে মানুষ। জুতো থেকে মোজা, সব ভিজে একেবারে চুপচুপে। সেই জুতো-মোজা পরেই সারাদিন কাটিয়ে দেয়া।

সবশেষে ঘরে পৌছে জুতো খুলতেই বিকট গন্ধ! এই পরিস্থিতির সম্মুখীন অনেকেই হচ্ছেন নিশ্চয়ই?  এই সমস্যা দূর করতে ঘরোয়া কিছু টিপসে খুব সহজেই দূর করতে পারবেন জুতো, মোজার এই বাজে গন্ধ।

আসুন জেনে নেই তাহলে –

১. ছোট্ট একটি কাপড়ে অল্প পরিমাণ বেকিং সোডা নিয়ে ছোট পুটলি বানিয়ে মোজার মধ্যে রেখে দিন। দেখবেন মোজা থেকে দুর্গন্ধ দূর হবে।

২. ন্যাপথোলিন গুঁড়ো করে নিয়ে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে তা মিশিয়ে জুতোর মধ্যে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন জুতোয় আর দুর্গন্ধ হচ্ছে না।

Advertisement

৩. বাড়িতে ফিরেই ভিজে জুতো ভালো করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিন। তারপর জুতোর মধ্যে কিছু পরিমাণ বেকিং সোডা ছিটিয়ে দিন।

পরের দিন জুতোর ভিতর ভালো করে মুছে ফেলুন। দেখবেন গন্ধ দূর হয়েছে।

৪. জুতোর মধ্যে এক টুকরো ফেব্রিক সফটনার সিট রেখে দিন রাতে। পরদিন সেটি বের করে জুতো পরুন। বাজে গন্ধ একেবারে দূর হয়ে যাবে।

৫. বাড়িতে ফিরে জুতো ধুয়ে হেয়ার ড্রায়ার চালিয়ে হালকা শুকিয়ে নিন। এবার এক টুকরো কাপড় বা তুলো লবঙ্গ তেলে ভিজিয়ে জুতোর মধ্যে রেখে দিন সারারাত। জুতোর দুর্গন্ধ দূর হবে।

৬. ফুটন্ত জলে টি ব্যাগ ফেলে রাখুন ২ মিনিট। টি ব্যাগ ঠাণ্ডা হলে জুতোর মধ্যে রেখে দিন। এক ঘণ্টা পর তা সরিয়ে জুতোর ভেতরের অংশ ভাল করে মুছে নিন। দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূর হবে তাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও।

Advertisement

জেডএস//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রেসিপি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির রেসিপি

Published

on

প্রতিকী ছবি

আমের সিজনে অনেকেই আমের পাল্প ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করেন। সেই ম্যাংগো পাল্প দিয়েই ম্যাংগো পুডিং বানানো যাবে। আর আমের সিজনে তো ফ্রেশ আমই ব্যবহার করতে পারবেন। ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশ হেলদি একটি ডেজার্ট আইটেম। মাত্র ৪টি উপাদান দিয়েই ইয়াম্মি ইয়াম্মি ম্যাংগো পুডিং বানিয়ে নেয়া যায়। চলুন দেরি না করে রেসিপিটি জেনে নেই এখনই।

উপকরণ

ঘন দুধ- ১ কাপ

চিনি- স্বাদ অনুযায়ী ( আমি হাফ কাপ দেই )

আম- ২টি

Advertisement

ডিম- ২টি

ম্যাংগো পুডিং তৈরির পুরো প্রণালী

১. প্রথমে আম ছোট ছোট করে কেটে নিন। দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন এবং ঠাণ্ডা করে নিন।

২. এবার ব্লেন্ডার জগে আম, চিনি, দুধ ও ডিম সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন।

৩) মিশ্রণটি মোটামুটি ঘন ও থকথকে হবে। যদি বেশি ঘন হয়ে যায়, লিকুইড দুধ মিশিয়ে নিতে হবে।

Advertisement

৪. এবার একটি স্টিলের টিফিন বক্সে পুডিংয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিতে হবে।

৫. বড় সসপ্যানে পানি ফুটতে দিন। এবার একটি স্ট্যান্ড প্যানে সেট করে তার উপর স্টিলের টিফিন বক্সটি রাখুন।

৬. বাটির ঢাকনা ভালোভাবে আটকাবেন এবং পানি যেন ভেতরে না যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

৭. চুলার আঁচ মিডিয়াম রাখুন, ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে চেক করুন পুডিং জমেছে কি না।

৮. পুডিং জমে গেলে চুলা নিভিয়ে দিন। এরপর রুম টেম্পারেচারে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে।

Advertisement

ব্যস, আমের পুডিং বানানো হয় গেলো! চাইলে ফ্রিজে রেখে ম্যাংগো পুডিং ভালোভাবে সেট করে নিতে পারেন। সেট হয়ে গেলে টিফিন বক্স থেকে পুডিংটি একটি প্লেটে সাবধানে উল্টিয়ে ঢেলে নিন। এবার ছুরি দিয়ে পিস পিস করে কেটে সার্ভ করুন। আর এটি ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা খেতে কিন্তু বেশি মজা লাগে। সব উপকরণগুলো বাসাতে থাকলে আজই বানিয়ে নিন দারুন মজাদার ডেজার্টটি।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it