ঢালিউড
এফডিসির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার বণিক
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব দিলীপ কুমার বণিক। দীর্ঘদিন ধরে সংস্থাটির এমডির দায়িত্বে থাকা নুজহাত ইয়াসমিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পনির্দেশক ও বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া।
সাবেক এমডির বিরুদ্ধে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ ছিল। তাকে দায়িত্ব থেকে সরাতে নানা সময় বিএফডিসির কর্মচারীরা ও সংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠন আন্দোলনও করেছিল। তবে কোনো কারণেই সরানো যাচ্ছিল না তাকে। এবার সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্ব থেকে তাকে বিদায় করা হলো।
দিলীপ কুমার বণিক ৭ আগস্ট বিএফডিসি কার্যালয়ে যোগদান করেছেন বলেও জানান বিএফডিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা হিমাদ্রি বড়ুয়া।
এসআই/
ঢালিউড
পুলিশকে ফুল-চকলেট দিয়ে বরণ করে নিন: ফারুকী
গেল ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ঢাকার থানাগুলো পুলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা হুমকি দেখা দিয়েছে। হামলা, অপরাধ, সহিংসতার পরিমাণও বেড়েছে। এমন অবস্থায় সকল পুলিশ সদস্যদের বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ নিজ ইউনিটে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের নবনিযুক্ত আইজিপি মো. ময়নুল ইসলাম।
পুলিশ সদস্যরা যেন নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে সুন্দর পরিবেশে আবারও কাজে ফিরতে পারেন, সেজন্য সাধারণ মানুষের প্রতি কিছু আহ্বান জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এই নির্মাতা লিখেছেন, ‘আশা করি আজ-কালকের মধ্যে পুলিশ ভাই-বোনেরা কাজে যোগ দিবে। নতুন দিনের নতুন পুলিশ হবে তারা এই আশা আমাদের।’
এরপর সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য ফারুকী লেখেন, ‘আমরা কি একটা কাজ করতে পারি? রাস্তায় কর্মরত পুলিশ দেখলে তাদের সাথে একটু হাসি বিনিময় করতে পারি? পারলে একটু মোলাকাত? একটা ফুল? অথবা চকলেট? ’ কিছু অসৎ পুলিশ কর্মকর্তার জন্য গোটা পুলিশ ইউনিট দোষী হয়েছে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এমনটা উল্লেখ করে ফারুকী লেখেন, ‘আমি সাধারন কিছু পুলিশের ইন্টারভিউ দেখছিলাম। তারা নিজেরাই ফ্যাসিস্টদের ক্ষমতালিপ্সার কাছে অসহায় ছিলো, কিছু খারাপ অফিসার কিভাবে তাদের ব্যবহার করেছে, তাদের পরিবার পরিজন কতটা অনিরাপদ এবং বিব্রত- এইসব বলতে বলতে কেঁদে দিচ্ছিলো কয়েকজন পুলিশ সদস্য! ‘
এই নির্মাতা আরও উল্লেখ করেন, ‘তারা শুধু একটা দাবিই জানাচ্ছিলো- আর কখনো দলীয় পুলিশ হতে চায় না। তারা মর্যাদার সাথে রাষ্ট্রের কর্মচারী হতে চায়!’
সবশেষ পুলিশ বাহিনীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে এই নির্মাতা লেখেন, ‘ক্যান উই গিভ দেম সাম কমফোর্ট? জাস্ট সো দে ফিল দে আর ওয়ান অফ আস?’
সরকার পতনের পর সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল থেকে দেশের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে থাকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর রাজধানীসহ সারাদেশে পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।
এসআই/
ঢালিউড
হঠাৎ অসুস্থ পরীমনি, নিজেই গেলেন হাসপাতালে!
হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। চিকিৎসার জন্য রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালেও যান। জানা গেছে, ভার্টিগোর সমস্যায় ভুগছেন অভিনেত্রী। ফেসবুকে হাসপাতালের সামনে নিজের একটি ছবি পোস্ট করে এই তথ্য জানিয়েছেন পরী নিজেই।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, চোখে রোদচশমা, মাস্কে মুখ ঢেকে হাসপাতালের সামনে সেলফি তুলছেন পরীমনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘পৃথিবীর কত কিছু আমাকে ছেড়ে চলে যায়। শুধু রয়ে গেল আমার এই ভার্টিগো আর এই হাসপাতাল!’ লেখার সঙ্গে শান্ত মুখের একটি ইমোজিও জুড়েছেন। পরীমনির ক্যাপশন থেকেই স্পষ্ট বহুদিন ধরেই ভার্টিগো সমস্যায় ভুগছেন তিনি।
তবে ক্যাপশনের শেষে ইঙ্গিত কাদের দিকে বা কার দিকে সেটা স্পর্শ করেননি তিনি। এদিকে ছাত্র আন্দোলন নিয়ে বেশ সরব ছিলেন এই চিত্রনায়িকা। পোস্ট দিয়েছেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে পরীমনি অভিনীত টলিউড ছবি ‘ফেলুবকশি’। যেখানে তার বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে।
এসআই/
ঢালিউড
ফেরদৌস ও রিয়াজ দেশত্যাগ করেছেন?
একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও রিয়াজ। সহকর্মীরি পাশাপাশি তাদের বন্ধুত্বও বেশ পুরনো। দুজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন একাধিবার। পরে সিনেমা কমে এলে তারা যোগ দেন রাজনীতিতে।
এরমধ্যে সর্বশেষ নির্বাচনে ফেরদৌস নির্বাচন করেছেন ঢাকা-১০ আসন থেকে। নির্বাচিতও হয়েছিলেন। কিন্তু চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায় ঢাকা-১০ আসনের এই সংসদ সদস্যকে। এমন কি শিল্পীদের সরকারের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান ফেরদৌস-রিয়াজ। তবে হাসিনার পদত্যাগের খবরের পর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না এই দুই নায়ককে। দুজনের মুঠোফোনও বন্ধ। ফেসবুক থেকেও বিছিন্ন তারা।
অনেকেই বলছে, শেখ হাসিনা ও অন্য মন্ত্রীদের মতো নায়ক-নেতা ফেরদৌস ও রিয়াজ দেশত্যাগ করেছেন! সম্প্রতি এয়ারপোর্টে রিয়াজের আটকের খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে জানা যায় খবরটি গুজব।
এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে বিটিভিতে গিয়ে ফেরদৌস বলেছিলেন, ‘আমি দেখেছি, ছাত্ররা যে কোটার আন্দোলনে নেমেছিল সে কোটার পক্ষে আমরা সবাই ছিলাম, কিন্তু আন্দোলনে এই ছাত্রদের ঢাল করে একদল মানুষরূপী পশু জালিয়ে-পুড়িয়ে ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ছারখার করে দিয়েছে আমাদের এ দেশটিকে। দেশটি হয়তো আবার আমরা কষ্ট করে ঠিক করে ফেলব কিন্তু যে প্রাণগুলো ঝরে গেল সেগুলো আর আমরা আর কোনো দিন ফিরে পাব না। আজকে আমরা বিটিভিতে এসেছি। আমাদের সংস্কৃতির অস্তিত্বের একটি জায়গা এটি। সে বিটিভিতে আগুন কেন? এ অগ্নিসন্ত্রাসী কারা? তাদের খুঁজে বের করতে হবে, চিহ্নিত করতে হবে।’
গেল ৪ আগস্ট রাত পর্যন্ত ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন ফেরদৌস। এর দুই দিন আগে বিটিভিতে হাজির হয়ে টেলিভিশন চ্যানেলটির ওপর হামলা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন তিনি। শনিবার (৩ আগস্ট) এফডিসিতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ভাঙচুর, মেট্রো রেল স্টেশন, এলিভেটর এক্সপ্রেস টোল প্লাজাসহ দেশের বিভিন্ন জনসেবামূলক স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ধ্বংসাত্মক হামলা প্রতিবাদে মানববন্ধনে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই মানববন্ধনে উপস্থিত হননি তিনি।
তবে কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, দেশেই আছেন ফেরদৌস। দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ফোন অফ করে নীরব আছেন তিনি। তার বাসা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় হওয়ায় তিনি খুব একটা ঝামেলায় পড়েননি।
এসআই/