Connect with us

অন্যান্য

দুর্নীতি আর অনিয়মে সয়লাভ গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল

Published

on

অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের মধ্য দিয়েই যেনো চলছে গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতাল। রোগীদের কাছ থেকে চিকিৎসা সেবার নামে নেয়া হচ্ছে টাকা। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে নিতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। হাসপাতালের ভিতরে ও বাহিরে যেন দূর্গন্ধের শেষ নেই, বারবার অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠলেও নেই কোন প্রতিকার, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অজুহাত জনবল সংকট।

শহরের প্রতিটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে এক থেকে তিনজন করে নারী ও পুরুষ দালাল থাকেন। পরিক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রোগীদের বেসরকারী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাচ্ছেন দালালেরা। এ চক্রের অনন্ত ২৫জন দালাল গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের চত্বরে সক্রিয়। তাদের বেশী ভাগই নারী। অপর দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, হাসপাতালে দালাল চক্র আছে সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। সরকারী হাসপাতালে সেবার বিনিময়ে কোন টাকা নেয়ার নিয়ম নেই যদি কেউ এই ধরণের কাজ করে থাকে তা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

সেবা নিতে আসা মোশারফ হোসেনের বাবার পা ভেঙ্গে যাওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শ আনুযায়ী পা প্লাস্টার করার নির্দেশ দিলে হাসপাতালের ৬৮ নাম্বার রুমে গেলে এক পা প্লাস্টারের বিনিময়ে এক হাজার টাকা দাবি করে অফিস সহকারী একরামুল ও তার সহযোগী এতে রোগীর স্বজনরা আটশত টাকা দিতে চাইলেও এক হাজার টাকার কমে হবে না বলে জানায় অফিস সহকারী ও তার সহযোগী। গাইবান্ধা জেলা হাসপালের অফিস সহকারী একরামুল ও তার সহযোগী ডেসিং ও প্লাস্টারের  বিনিময়ে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের কাছে থেকে নিচ্ছে মন মত টাকা। 

গাইবান্ধা জেলায় ২৫০ শয্যার হাসপাতালে একশো জনের অবকাঠামো রোগী ভর্তি আছে ২৮০ জন। বাধ্য হয়ে হাসপাতালের মেঝে, বারান্দা ও একই বেডে দুইজন করে চিকিৎসা নিচ্ছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা। হাসপাতালের ভিতরে, বাহিরে এমনকি ওর্য়াড গুলোতেও ময়লার আবর্জানায় ভরা দুর্গন্ধে থাকার মত কোন পরিবেশ নেই।

রোগী ও স্বজনরা জানায়, ওষুধ নাই, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, এক বেডে দুইজন করে রোগী গাদাগদি করে থাকতে হচ্ছে। ওষুধ সংকট, বাহিরে থেকে ওষুধ কিনে এনে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে, ডাক্তার নাই ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই এই হাসপাতালে।

Advertisement

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শিহাব মো. রেজওয়ানুর রহমান জানায়, একশো জনের অবকাঠামোতে প্রায় দিনেই ২৮০ জন রোগী ভর্তি থাকলে কীভাবে সম্ভব? যেখানে একজন রোগীর সাথে লোক আসার কথা একজন সেখানে প্রতিদিন চার-পাঁচ জন লোক আসে, এত লোকের সেবা দেয়ার মতো জনবল এই হাসপাতালে নেই। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে রোগীদের চাপ বেশি হলেও স্বাস্থ্যসেবায় ঘাটতি নেই। 

Advertisement

অন্যান্য

পেটের মেদ কমাবে সকালের ৭টি অভ্যাস

Published

on

পেটের মেদ নিয়ে চিন্তিত নয়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না। শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে পেটে সবার আগে মেদ জমে। এর ফলে পছন্দের পোশাকগুলো পরতে গিয়ে বাঁধে বিপত্তি। শুধু তাই নয়, হৃদরোগ থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে পেটের অতিরিক্ত মেদের কারণে। পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ কমাতে ডায়েট ও লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আজকের ফিচারে জানাবো সকালের ৭টি অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো মেনে চললে পেটের অতিরিক্ত মেদ দূর করা কিছুটা হলেও সহজ হয়ে যাবে।

পেটে মেদ জমে যাওয়ার পেছনে বিভিন্ন কারণ আছে। যেমন-

অপর্যাপ্ত ব্যায়াম

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস

স্ট্রেস

Advertisement

অতিরিক্ত মদ্যপান

কম ঘুম

বংশগত কারণ

পেটের মেদ কমাবে যে ৭টি অভ্যাস

বেলি ফ্যাট কমানোর জন্য এই ৭টি কাজ প্রতিদিন সকালে করুন, দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে পেটের মেদ কমতে শুরু করছে।

Advertisement

১. এক গ্লাস পানির সাথে হোক দিনের শুরু

ওজন কমানোর অন্যতম সহজ উপায় হলো দিনভর হাইড্রেটেড থাকা। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য দিন শুরু করুন এক গ্লাস পানি পান করে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস পানি পান করা হলে তা আপনাকে সারাদিন এনার্জেটিক রাখতে সাহায্য করবে। আপনারা চিয়া সিড সারারাত ভিজিয়ে সকালে পান করতে পারেন অথবা আজওয়া ভিজিয়ে রেখে সেটাও পান করতে পারেন। এছাড়াও হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে সেটিও পেটের মেদ কমাতে উপকারে আসবে। তবে আপনার অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকলে খালি পেটে লেবু পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।

২. মেডিটেশন করুন

দিনের শুরুতে ১০ মিনিট রাখুন মেডিটেশনের জন্য। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে মেডিটেশন বেশ কার্যকর। স্ট্রেস ওজন বিশেষ করে পেটের চর্বি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। পেটের মেদ কমাতে চাইলে প্রতিদিন সকালে ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন স্ট্রেস হ্রাস কমাবে এবং হরমোন ব্যালেন্স করতে সাহায্য করবে।

৩. প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা করুন

Advertisement

কথিত আছে, সকালের নাস্তা রাজার মত করতে হয়। সত্যিই তাই। আমাদের দিনভর এনার্জেটিক রাখতে সকালে একটু ভালো নাস্তা তো করতেই হবে। সকালের নাস্তার তালিকায় রাখুন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এতে করে রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল থাকবে এবং দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকবে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার ক্রেভিং হবে না, আবার বেশি ক্ষুধাও লাগবে না। তাই ডিম, দই বা প্রোটিন খাবার সকালের নাস্তার তালিকা রাখতে পারেন।

৪. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

ওজন কমাতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। পেটের মেদ কমানোর জন্য করতে পারেন সহজ কিছু ব্যায়াম। ব্যায়াম করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো সকালবেলা। মর্নিং ওয়াক, জগিং, ইয়োগা অথবা এইচআইআইটি ওয়ার্কআউট করুন। দিনের শুরুতে আগে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করে শরীরকে অ্যাকটিভ করে তারপর ব্যায়াম করুন। এটি দ্রুত ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন সকালে কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করার জন্য রাখুন।

৫. মিল প্ল্যানিং করুন আগেই

সারাদিন কী কী খাবেন তার একটা প্ল্যান সকালেই করে ফেলুন। সকালের এই প্ল্যানিং আপনার সারাদিনের জাংক ফুড বা আনহেলদি খাবার খাওয়াকে কন্ট্রোল করবে।

Advertisement

৬. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান

সকালের নাস্তাটা প্রোটিন ও ফাইবারযুক্ত খাবার দিয়ে করুন। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে পেটের মেদ কমাতে ভূমিকা পালন করে। তাই ফাইবার আছে এমন শস্য, ফলমূল, শাকসবজি বেছে নিন।

৭. পর্যাপ্ত ঘুম যেন হয় তা নিশ্চিত করুন

শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও ঘুম বেলি ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত ঘুম হরমোনের ইমব্যালেন্স করে দেয়, খাবারের রুচি বাড়ায় এবং পেটে মেদ জমতে ভূমিকা রাখে। কম ঘুম স্ট্রেসও বাড়িয়ে দেয় এবং সেখান থেকেও পেটে মেদ জমে। এজন্য বিশেষজ্ঞরা সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ভালো ঘুম সারাদিন কাজের শক্তি যোগানোর পাশাপাশি পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করবে।

জেএইচ

Advertisement

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

হিরো আলমের ফেসবুক পেজ উগান্ডা সাইবার টিমের দখলে

Published

on

আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি হ্যাক হয়েছে। আর এই মুহূর্তে এই পেজটি এখন উগান্ডা সাইবার টিমের হাতে। শনিবার গভীর রাতে পেজটি হ্যাক করার পর সেখানে অশ্লীল ছবি পোস্ট ও বিভিন্ন কথা শেয়ার দেওয়া হয়। লেখা হয়েছে- উগান্ডা সাইবার টিম পেজটি হ্যাক করেছে।

হিরো আলম রোববার (৩১ মার্চ) বিকালে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জারে জানান, তিনি দুটি ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন। ঢাকায় ফিরে ডিবিতে অভিযোগ দেবেন।

তিনি বলেন, শনিবার রাত আড়াইটার পর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজটি (Hero Alom) হ্যাক করা হয়েছে। উগান্ডা সাইবার টিম পেজটি হ্যাক করে। এরপর প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করে সেখানে কাশ্মীরের সাবেক স্বাধীনতাকামী নেতা বুরহান ওয়ানীর ছবি দেওয়া হয়েছে। কভার পেজে অশ্লীল ছবি দিয়েছে। যদিও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ওই সব ছবি সরিয়ে নিয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

মাতৃগর্ভের সন্তানের পরিচয় প্রকাশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন নীতিমালা জমা

Published

on

মাতৃগর্ভের সন্তানের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ নিয়ে নতুন নীতিমালা করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বলা হয়েছে,মাতৃগর্ভের সন্তানের পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ নীতিমালা দাখিল করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।  হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডাক্তারসহ সবাইকে এই নীতিমালা মানতে হবে।

আদালত এ নীতিমালার ওপর শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

এরআগে, ২০২০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি মাতৃগর্ভে থাকাকালীন অবস্থায় শিশুর লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৬ জানুয়ারি এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।

Advertisement

রুল জারির পর রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেছিলেন, ভারতে আইন করে গর্ভজাত সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গর্ভের শিশুর লিঙ্গ নির্ধারণ করা হলে প্রসূতি মায়ের মানসিক চাপ তৈরি হয়। অনেক ক্ষেত্রে পারিবারিক চাপে গর্ভপাত করার ঘটনাও ঘটে। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি গর্ভের শিশুদের লিঙ্গ পরিচয় জানার উদ্দেশ্যে পরীক্ষা ও লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে রিট করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it