ফুটবল
নেইমারের গোলেই কষ্টের জয় পিএসজির
নেইমারের গোলেই লাইপজিগের বিপক্ষে কষ্টের জয় পেল পিএসজি। নিল প্রথম লেগে হারের মধুর প্রতিশোধ। জমে ওঠা শঙ্কার মেঘ সরিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় খেলার আশাও বাঁচিল রাখল।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) ঘরের মাঠে ‘এইচ’ গ্রুপে রাতের ম্যাচে লাইপজিগকে ১-০ গোলে হারায় পিএসজি। প্রথম লেগে জার্মানির দলটির মাঠে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল টমাস টুখেলের দল।
চার ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পিএসজি। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে তিনে লাইপজিগ। অন্য ম্যাচে ইস্তানবুল বাসাকসেহিরকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
সফল স্পট কিকে একাদশ মিনিটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন নেইমার। ডি-বক্সে এঞ্জেল ডি মারিয়া ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়েছিল লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগের পাঁচ ম্যাচে গোল না পাওয়ার ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এলেন নেইমার।
সমতায় ফিরতে পিএসজিকে চেপে ধরে লাইপজিগ। দ্বাদশ মিনিটে মার্সেল সাবিৎজারের শট, এরপর উপামেকানোর হেড ও ইউসুফ পোলসেনের শট খুঁজে পায়নি ঠিকানা।
পঞ্চদশ মিনিটে নেইমারের বাড়ানো বল ধরে কিলিয়ান এমবাপের শট পোস্টের অনেক বাইরে দিয়ে যায়। সাত মিনিট পর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের তৈরি করে দেওয়া আরেকটি সুযোগ বাইরে মেরে নষ্ট করেন দি মারিয়া। ৩১তম মিনিটে এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিকও ছিল না লক্ষ্যে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পিএসজির রক্ষণে চাপ দিলেও গোল আদায় করে নিতে পারেনি লাইপজিগ। ৪৯তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে এমিল ফোর্সবার্গ এবং দুই মিনিট পর বক্সের একটু ওপর থেকে সাবিৎজারের নেওয়া শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
নেইমার-এমবাপে পারছিলেন না গোলরক্ষককে তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে। ৬৪তম মিনিটে দি মারিয়াকে তুলে রাফিনিয়াকে নামান পিএসজি কোচ। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে সমতায় ফেরা গোল পায়নি লাইপজিগ। ৮৯তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে সাবিৎজারের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি জার্মানির দলটির।
৯০তম মিনিটে এমবাপে ও নেইমারকে তুলে মোইজে কিন ও পাবলো সারাবিয়াকে নামান টুখেল। যোগ করা সময়ে সারাবিয়ার বাড়ানো বল থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেননি রাফিনিয়া। এরপর কিনের পাস ধরে সারাবিয়ার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে ছোট হয়ে আসা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত আসরে এক লেগের সেমি-ফাইনালে লাইপজিগকে ৩-০ গোলে উড়িয়েই ফাইনালে উঠেছিল পিএসজি। কিন্তু এ ম্যাচে লিগ ওয়ানের দলটিকে স্বরূপে দেখা যায়নি।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//