Connect with us

খুলনা

বাগেরহাটে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ

Published

on

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খান নজরুল ইসলামের সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

শুক্রবার দিনগত রাতে তেলিগাতি ইউনিয়নের মধ্যম তেলিগাতি গ্রামের এতিমুল্লাহ মোড়ে খান নজরুল ইসলামের নির্বাচনী কার্যালয়ের কাছে এঘটনা ঘটে। 

মুক্তিযোদ্ধা খান নজরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তিনি যুদ্ধাপরাধ মামলার বাদী ও দীর্ঘদিন ধরে তেলিগতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এবার তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাননি।

বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদা আক্তারের অনিয়ম দুর্নীতিতে ইউনিয়নবাসী জর্জরিত। তাই শান্তিপ্রিয় ইউনিয়নবাসীর অনুরোধে তিনি সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে। প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেয়া, মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে কটুক্তি করা, হুমকি, হামলার ঘটনা অব্যহত রেখেছেন। এমনকি তার সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, গতরাতে তিনি তার সমর্থকদের নিয়ে সভা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ১০/১৫টি মটরসাইকেল যোগে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা করে। অতর্কিত হামলায় সবাই ছোটাছুটি শুরু করে। তিনি পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েন। এসময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার ১৫/১৬ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। এদের মধ্যে আশংঙ্কাজনক অবস্থায় ৫ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনও এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

Advertisement

তেলিগাতি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খান মুজিবুর রহমান জানান, তালিকাভুক্ত রাজাকার পরিবারের সদস্য বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদা আক্তারের বিপক্ষে যারা কাজ করবে, তাদের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে। গতরাতের হামলার পর তারা সবাই ভয়ে আছেন।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান হাওলাদার জানান, আমি ১৯৮৬ সাল থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছি। বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদা আক্তারের শশুর আ. সত্তার খান মোরেলগঞ্জ উপজেলার ৪৭নং তালিকাভুক্ত রাজাকার। আমরা ৯ জন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। আমরা সবাই মিলে মুক্তিযোদ্ধা খান নজরুল ইসলামকে সমর্থন দিয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান মোরশেদা আক্তারের দূর্ব্যবহারে ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ। তার কোন ভোট নাই। নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে তিনি খান নজরুল ইসলামকে মাঠ থেকে বিদায় করার চেষ্টা করছেন। গতরাতে অস্ত্রসহ হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশকে খবর দেই। এলাকাবাসি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদা আক্তার হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার লোকজন পোস্টার লিফলেট নিয়ে যাওয়ার সময় মধ্যম তেলিগাতি এতিমউল্লাহ মোড়ে পৌছালে খান নজরুল ইসলামের লোকজন তাদের মারপিট করে। এতে আমার ৮জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়। যারা এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম দুপুরে এই প্রতিবেদককে জানান, রাতে তেলিগাতি ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়েছে। এঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। এবিষয়ে থানায় এখনও কোন মামলা হয়নি। মামলা হলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে

এস

Advertisement
Advertisement

খুলনা

কুষ্টিয়া কারাগার থেকে পালাল অর্ধশতাধিক আসামি

Published

on

কুষ্টিয়া জেলা কারাগার থেকে অন্তত অর্ধশতাধিক আসামি পালিয়েছে গেছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়েন কারারক্ষীরা। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছেন।

বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনার পর সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।

তবে জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা গণমাধ্যমে বলছেন, ১২-১৩ জনের মতো আসামি পালিয়েছেন। পলাতকদের তালিকা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।

কারা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী জামিন পান। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার কথা ছিল। তাদের সঙ্গে বের হতে হট্টগোল শুরু করেন কারাবন্দীরা। এ সময় কারারক্ষীরাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালান। তবে এর আগেই অর্ধশত আসামি পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কুষ্টিয়া কারাগারের জেলার আবু মুসা গণমাধ্যমে জানান, কারাগার থেকে ঠিক কত জন কয়েদি পালিয়ে গেছে তা সঠিক হিসাব জানা যায়নি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

মাগুরায় ছাত্রদল নেতা নিহত, আহত ১০

Published

on

কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিনে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় জেলা শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী নিহত হয়েছেন। এছাড়াও আহত হয়েছেন পুলিশের তিন সদস্যসহ ১০ জন।

রোববার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষে ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সকাল ১১টার দিকে পারনান্দুয়ালী এলাকা থেকে বিএনপি একটি মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখিন হয়। ঘটনাস্থলে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইট পাটকেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও গুলি করলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মেহেদেী হাসান রাব্বী নিহত হন।

জেলা শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুর রহিম গণমাধ্যমকে জানান, ‘রাব্বি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। তার বুকে গুলি লেগেছে।’

মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আমর প্রশাদ বিশ্বাস জানান, আহত তিন পুলিশ সদস্যসহ ১০ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

জেডএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

 কনস্টেবল সুমন হত্যায় মামলা, অজ্ঞাত পরিচয়ে আসামি ১২০০

Published

on

খুলনায়-কনস্টেবল-সুমন-হত্যায়-মামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় খুলনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামী হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

লবণচরা থানার এসআই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই বলে জানান লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক।

এছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শুক্রবার বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে।

নিহত সুমন ঘরামীর বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিটুনিতে নিহত হন তিনি। সমুনের স্ত্রী মিতু বিশ্বাস। তাদের ৬ বছর বয়সি স্নিগ্ধা নামে এক মেয়ে রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত্তি দিয় পুলিশ জানায়, বিকেলে খুলনায় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যার পরে আবার সোনাডাঙ্গা এলাকায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

Advertisement

সংঘর্ষের এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল সুমন গুরুতর আহত হন। পরে রাতে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। জানা গেছে, এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পুলিশের আরও ৩০ সদস্য।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ আশিক রহমান

সম্পাদকীয় ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: বেঙ্গল টেলিভিশন লিমিটেড , ৪৩৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২১৫
ফোন : 01878-184154, ই-মেইল : contact.bayannotv@gmail.com
© 2023 bayanno.tv

কারিগরি সহায়তায় Build it