চট্টগ্রাম
কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আহত ৩০
কিশোরগঞ্জে বিএনপির মিছিলে পুলিশের বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির ৩০ জনের বেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে জেলা শহরের পুরান থানা ও একরামপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বেশির ভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে এবং রাস্তাঘাটে যানবাহন চালাচলও কম ছিল। এছাড়া সংঘর্ষের কারণে পুরো শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিশোরগঞ্জের একরামপুর ও শোলাকিয়া থেকে বিএনপির দুটি মিছিল পুরান থানা এলাকায় পৌঁছার আগেই পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীরাও পুলিশের দিকে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। তখন পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছুঁড়তে থাকলে সংঘর্ষ ব্যাপক আকার ধারণ করে। এভাবে প্রায় দুই ঘণ্টা থেমে থেমে চলে দুপক্ষের সংঘর্ষ।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বিএনপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুর ১২টায় জেলা শহরের রথখলা ময়দান থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করার কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচির অংশ হিসেবে শহরের বয়লা এলাকা থেকে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইসরাইল মিয়ার নেতৃত্বে একটি মিছিল ও শোলাকিয়া এলাকা থেকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম আশফাকের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল পুরানথানা যাচ্ছিল। সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেয়া বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মিছিলে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক জানান, বিএনপির মিছিল থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছোড়ে পুলিশ। এ সময় মডেল থানার ওসি (ইন্সপেক্টর ) জয়নাল আবেদীনসহ ৩ পুলিশ সদস্য বিএনপির কর্মীদের নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে আহত হন। পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি শরিফুল আলম বলেন, পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে তাদের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পুলিশ বিনা উসকানিতে আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে।
এস
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/