চট্টগ্রাম
ধর্মকে ব্যবহার করে নৈরাজ্য সৃষ্টি সফল হবে না: তথ্যমন্ত্রী
ধর্মকে ব্যবহার করে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীরা কখনো সফল হবে না। বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি'র নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত মন্ত্রীর ঐচ্ছিক তহবিল হতে অনুদান প্রদান, উপজেলা পরিষদ থেকে প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের মাঝে হুইল চেয়ার ও মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় মৎস্যচাষীদের মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসকল কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, ধর্মের নামে বিএনপি-জামায়াতসহ একটি মহল গন্ডগোল লাগিয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে দেশকে পিছিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।দেশবাসীকে এদের বিরুদ্ধে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
ইসলামের নামে নৈরাজ্য করে মানুষের ঘরবাড়ি ও গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা হাটহাজারী ভূমি অফিসে অগ্নি হামলা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে, ফায়ার সার্ভিসে হামলা করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, এই বিষয়গুলো কখনো ইসলাম সমর্থন করে না।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেছে, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, সেই বিএনপি- জামাতচক্র এখনো দেশের বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আর তাদের সহযোগিতায় সুযোগ সন্ধানের অপেক্ষায় থাকা একটি মহল ইসলামের নামে গন্ডগোল সৃষ্টি করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়।
আর তারা যে এসব করে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত, দেশের সাধারণ জনগণ তা বোঝে এবং জনগণই এসব নৈরাজ্য প্রতিহত করবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সুতরাং ধর্মকে ব্যবহার করে যারা ব্যক্তিগত ও দলের স্বার্থ হাসিল করতে চায়, তাদের এই সমস্ত অপচেষ্টা কখনোই সফল হবে না।
রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদারের সঞ্চালনায়, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আয়শা আকতার, রাঙ্গুনিয়া- রাউজান সার্কেল অফিসার আনোয়ার ইসলাম শামীম, রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মাহাবুব মিল্কী, যুবলীগের সভাপতি মোঃ শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু প্রমুখ এসময় বক্তব্য রাখেন। পরে মন্ত্রী প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার এবং নগদ অনুদানসহ বাইসাইকেল বিতরণ করেন।
এস
চট্টগ্রাম
কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দুই সাইকেল আরোহী
কর্ণফুলীতে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বেলা একটার দিকে চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর বাংলাবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার নন্দনালী গ্রামের কামাল মণ্ডলের ছেলে চঞ্চল মণ্ডল (১৮) ও রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার ছোট পাগলা গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল জলিলের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (১৬)। তারা কর্ণফুলী উপজেলার ইছানগর গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
চরপাথরঘাটার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুরে তারা তিনজন সাইকেল চালিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। অপরজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়েছে।
এএম/
চট্টগ্রাম
রাতেও ট্রাফিক সামলাচ্ছেন ছাত্রীরা
সরকার পতনের পরে চট্রগ্রামে নগরীর থানাগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় নগরীর রাস্তায় নেই কোন ট্রাফিক পুলিশ। দিনভর রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেন সরকার পতনের আন্দোলন করা শিক্ষার্থীরা। তবে দিন পেরিয়ে রাত হলেও, রাস্তায় ছাত্রদের পাশপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা যায় ছাত্রীদেরও।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার অলী খা মসজিদ মোড় এলাকায় এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
নগরীর অলী খা মসজিদ মোড়ে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইজা তাবাসসুম বলেন, দেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এখন দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে এখানে আসা। সকালে শুনেছি সড়কে ট্রাফিক পুলিশ নেই। তাই তারা কাজ করতে এসেছেন।
আসিফুর রহমান নামে আরেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী জানান, শিফট সিস্টেম করে ছাত্ররা কাজ করছে। এখন তিনি দায়িত্ব পালন করছেন। নিজেদের ইচ্ছায় তারা এখানে এসেছেন।
আই/এ
চট্টগ্রাম
‘বালুখেকো’ চেয়ারম্যান সেলিম ও তার ছেলে গণপিটুনিতে নিহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের আলোচিত ‘বালুখেকো’ খ্যাত চেয়ারম্যান সেলিম খান ও তার ছেলে নায়ক শান্ত খান গনপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর নিজ এলাকা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদ বাজারে এসে জনগণের তোপের মুখে পড়েন তারা। এরপর সেখানে নিজের পিস্তল থেকে গুলি করে উদ্ধার হয়ে আসতে পারলেও পার্শ্ববর্তী বাগাড়া বাজারে এসে জনতার মুখোমুখি হয়। তারপর সেখানে জনগণের পিটুনিতে নিহত হোন সেলিম খান ও তার ছেলে শান্ত খান।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ মুহসীন আলম গণমাধ্যমে বলেন, তাদের মৃত্যুর বিষয় জেনেছি। তবে কেউ খবর দেয়নি। আর জানমালের নিরাপত্তার কারণে সেখানে কাউকে পাঠানো হয়নি।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সেলিম খান চাঁদপুর নৌ-সীমানায় পদ্মা-মেঘনা নদীতে শত শত ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব ঘটনায় সে কারাভোগ করেন এবং দুদকে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে। সেলিম খান একজন আলোচিত প্রযোজকও। তিনি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার।
এছাড়া সেলিম খানকে পদ্মা-মেঘনার চর থেকে বিভিন্ন সময় বালু তোলাসহ নানা কারণে চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদ থেকে আজীবন বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
এএম/