জাতীয়
ট্রাইব্যুনাল করে হেফাজতের বিচার দাবি সংসদে
‘বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত ইসলামবিরোধী। নামে হেফাজতে ইসলাম হলেও তারা ইসলামবিরোধী, জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী। এরা দেশের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু। এদের কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। দরকার হলে ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ করে অবিলম্বে তাদের বিচার করতে হবে বলে জাতীয় সংসদে এ দাবি করেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
‘বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত ইসলামবিরোধী। নামে হেফাজতে ইসলাম হলেও তারা ইসলামবিরোধী, জঙ্গি, স্বাধীনতাবিরোধী। এরা দেশের শত্রু, রাষ্ট্রের শত্রু। এদের কোনো ছাড় দেয়া যাবে না। এদের বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। দরকার হলে ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ করে অবিলম্বে তাদের বিচার করতে হবে বলে জাতীয় সংসদে এ দাবি করেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
আজ শনিবার (৩ এপ্রিল) অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য এ দাবি তোলেন।
এসময় তিনি বলেন, ‘কোনো বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করতে না পারে আল্লাহর কাছে সেই দোয়া করি। জন্মশতবার্ষিকী আর সুবর্ণজয়ন্তীর জন্য অনেক কিছু আমরা সহ্য করে গেছি। আর কোনো কিছু সহ্য করা হবে না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে আরও কঠোর হতে হবে। আপনার পেছনে ১৪ কোটি মানুষ আছে। এই অপশক্তিকে ছাড় দেয়া যাবে না।’
তিনি আও বলেন, ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম, মানবতার ধর্ম। ইসলাম ধ্বংস করে না। ইসলাম সৃষ্টি করে। হেফাজতের নামে যারা জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। বিএনপি-জামায়াত যাদের সহযোগী হিসেবে.. যারা ইসলাম ধর্মকে ব্যবহার করে। ইসলামের হেফাজত কোনো সন্ত্রাসী-জঙ্গিরা করতে পারে না। ইসলাম হেফাজত করবে আল্লাহ।’
শেখ সেলিম বলেন, ‘যারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে না তাদের বাংলাদেশে থাকার কোনো অধিকার নেই। যারা বিশ্ববাসীর কাছে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। দেশের অর্জন ও স্বাধীনতার গৌরবকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দরকার হলে ট্রাইব্যুনাল করে অবিলম্বে তাদের বিচার করতে হবে। হেফাজতের জঙ্গিরা যেসব মাদরাসা থেকে রাস্তায় বের হয়ে মানুষ হত্যা করে। মানুষের বাড়িঘর ও স্থাপনায় আক্রমণ করে ও পুড়িয়ে দেয়। সেইসব মাদরাসাও বন্ধ করে দিতে হবে। ইসলাম কখনও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিতে পারে না।’
শেখ সেলিম আরও বলেন, ‘সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১০ দিনের যে অনুষ্ঠান করেছে, তাতে ২৭টি দেশের প্রধান ও ১২টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান ভিডিওবার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই অনুষ্ঠান ও ভিতিরবার্তায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।’
একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি; সেই শক্তি আমাদের সুন্দর অনুষ্ঠানকে কলঙ্কিত করতে চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতা ঘটিয়েছে অভিযোগ তুলে শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতাবিরোধী হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারীতে তাণ্ডব চালায়। তারা থানা আক্রমণ করে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। তারা ১০ জন পুলিশকে বোমা মেরে আহত করে। পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ভূমি অফিস ও বিভিন্ন স্থাপনাও পুড়িয়ে দেয়।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রতি যাদের বিন্দুমাত্র বিশ্বাস রয়েছে, তারা কোনোদিন এই জঘণ্য কাজ করতে পারে না। তাদের এই বাংলাদেশে থাকারও কোনো অধিকার নেই। তারা ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ও রেললাইনে আগুন দেয়। ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীত একাডেমি, এসপি অফিস ও থানায় আগুন দেয়। বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল পর্যন্ত তারা ভাঙচুর করে এবং আগুন দেয়ার চেষ্টা করে। তারা জেলার প্রেস ক্লাবে আগুন দেয়। প্রেস ক্লাব সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিলসহ ১১ জন সাংবাদিককে কুপিয়ে মারত্মকভাবে আহত করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন শোভনের বাড়িতে আগুন দেয় এবং পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়ে ফেলেছে।’
এছাড়া সিলেট, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, বায়তুল মোকাররম, বসুন্ধরা এবং ৩০০ ফিট রাস্তার বিভিন্ন স্থানের স্থাপনায় আগুন দেয় ও গাড়ি ভাঙচুর করে বলে উল্লেখ করেন শেখ সেলিম।
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের সমাবেশের প্রসঙ্গে টেনে শেখ সেলিম বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে বিভিন্ন স্থানে বিনাকারণে কী তাণ্ডব তারা করেছিল। সেদিন খালেদা জিয়া বিএনপিকে হেফাজতের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারা বায়তুল মোকাররমে মসজিদে আক্রমণ করে। কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আওয়ামী লীগ অফিসে আক্রমণ করে। এদের কোনো ছাড় দেয়া যেতে পারে না।’
সংসদে সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার একটি ছবি দেখিয়ে শেখ সেলিম বলেন, ‘এই জঙ্গিরা তলোয়ার নিয়ে ঘোড়ার ওপর উঠে পেছনে শত শত জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা এবং সরকারি স্থাপনা ধ্বংস করার জন্য তাণ্ডব চালিয়েছে। ছবি দেখে মনে হচ্ছে প্রাচীনকালের মতো কোনো যুদ্ধে যাচ্ছে।’
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এমপি সেলিম বলেন, ‘তাদের (হেফাজত নেতাকর্মী) মনে রাখতে হবে- বাংলাদেশ তালেবান রাষ্ট্র নয়। এটা পাকিস্তান নয়। সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের বাংলার মাটিতে কোনো স্থান নেই। সরকারকে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। স্বাধীন দেশে এভাবে চলতে পারে না।’
বিএনপির স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কর্মসূচি বন্ধ করার প্রসঙ্গে সেলিম বলেন, ‘কারা এ ধরনের কর্মসূচি বন্ধ করে? যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে, তারা স্বাধীনতার কর্মসূচি বন্ধ করতে পারে না। বিএনপি-জামাত-হেফাজত এরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। বিএনপি ২৬ মার্চ স্মৃতিসৌধেও যাইনি। কারণ তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।’
বিএনপির সংসদ সদস্যদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতারা এখানে আছেন। তাদের বাপ-দাদার হিসাব নেয়া হোক। একাত্তরে তারা কোন দলে ছিল। শান্তিবাহিনীতে কারা ছিল। এর অনেক হিসাব আছে। এখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আছেন, উনাকে বলব- এগুলো বের করে জনসম্মুখে প্রকাশ করার ব্যবস্থ করেন।’
শেখ সেলিম আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে জিয়াউর রহমান। একাত্তরের পরাজিত জিয়া মোশতাক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমাদের ৫০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে বঙ্গব্ন্ধু কন্যা যখন একটি পর্যায়ে নিয়ে আসছে, সেই অপশক্তি এই জঘণ্য কাজ শুরু করেছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি সরকার পতনের নামে এখন বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তারা সহ্য করতে পারে না। বিএনপির নেতা মিজানুর রহমান মিনু প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি দিয়েছে।’
নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন মসুলিম দেশের সফরের প্রসঙ্গ টেনে সরকার দলের সিনিয়র এই সংসদ সদস্য বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন মুসলিম দেশে সফর করেছেন। সেই সব দেশের সরকার ও জনগণ তাকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছেন। সেখানে কেউ কোনো টু শব্দ করেনি। আর বাংলাদেশে মোদি এলে মুসলমানদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। তার আসা নিয়ে এ ধরনের জঘণ্য রাজনীতি। এখানে বাধা দেয়া হয়। এরা পাকিস্তানের নিয়াজী, রাও ফরমান আলী ও তালেবানের অনুসারী। এরা স্লোগান দেয় আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।’
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা স্মরণ করে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ সেলিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার ও দেশটির সব রাজনৈতিক দল সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন দিয়েছে। অস্ত্র দিয়ে তারা সাহায্য করেছে। ভারত আমাদের দুর্দিনের বন্ধু। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসতে পারবে না, এটা কোন ধরনের তামাশা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী কোনো ব্যক্তি নয়, একটি প্রতিষ্ঠান। যারা মোদিকে আসার বিরোধীতা করে তারা দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারিনি। তারা ইয়াহিয়া, টিক্কা, নিয়াজীর বংশধর। বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী। এখনও পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখে।’
হেফাজতের সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে বক্তৃতা করায় বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদে প্রতিবাদ শুরু করলে শেখ সেলিম বলেন, ‘ব্যস্ত হয়েন না। আমি শেষ করি। একটাও উত্তর দিতে পারবেন না। আমি কোন অসত্য কথা বলিনি।’
শেখ সোহান
জাতীয়
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা
শপথ নেয়ার পরের দিন ভাষা শহীদদের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ১৩ জন উপদেষ্টা নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও অন্য উপদেষ্টারা।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
আই/এ
জাতীয়
উপদেষ্টা পরিষদকে অভিনন্দন জানালেন জাসদ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল—জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং অন্য উপদেষ্টাদেরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন
বৃহস্পতিবার ( ৮ আগস্ট ) রাতে দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিনন্দন জানান তারা।
বিবৃতিতে জানানো হয়, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর দেশে আর একটিও প্রাণহানি, হামলা ও সম্পদ ধ্বংসের ঘটনা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত হবে।”
বিবৃতিতে আরও বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিসহ সংবিধানকে সমুন্নত রেখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তির সাথে আলোচনা করে সরকারের কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা দ্রুত প্রকাশ করে বিদ্যমান অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা প্রশমিত করবেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও প্রধান কাজ হিসেবে অনতিবিলম্বে দেশে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে জনজীবনে স্বাভাবিকতা ও শান্তি ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
জাসদ নেতৃবৃন্দ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
জাসদ জোর দাবি জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ববর্তী সরকারের পদত্যাগের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যসহ পেশাজীবী ও হিন্দু ও আহমদীয়াসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও হত্যা করা, মন্দিরসহ ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে ও নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে হামলা-হত্যা-নির্যাতন, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও গণভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন-বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে হামলা, লুটপাট, জ্বালিয়ে ছারখার, দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য, সাত বীরশ্রেষ্ঠর ভাস্কর্যসহ ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভেঙে ফেলা এবং কুমিল্লার বীরচন্দ্র পাঠাগার, সুনামগঞ্জের ঐতিহ্য জাদুঘর, কুড়িগ্রামের উত্তরবঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, ময়মনসিংহের ঐতিহাসিক শশীলজের ভেনাস ভাস্কর্য ভেঙে ফেলাসহ অগনিত শিল্পকর্ম ভেঙে ফেলার সব অপরাধ কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার।
জেডএস/
জাতীয়
তদবির থেকে বিরত থাকুন, দেশগঠনে পরামর্শ দিন : আসিফ মাহমুদ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ১৭ সদস্যের অন্তবর্তীকালীন সরকার। এ উপদেষ্টা পরিষদে স্থান পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন প্রতিনিধি। এদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ। তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেয়ার পর ঘনিষ্ঠজনদের নিজেদের সুবিধার জন্য কোনো আবদার কিংবা তদবির করতে বারণ করেছেন। বরং দেশগঠনে কোনো পরামর্শ থাকলে দেয়ার অনুরোধ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট করে এ অনুরোধ করেন।
পোস্টে এই তরুণ উপদেষ্টা লিখেছেন, ব্যক্তিগত লাভের আশায় আবদার, তদবির করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমার সাথে আপনার সম্পর্ক নষ্ট হতে পারে। দেশগঠনে পরামর্শ থাকলে জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ জনকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা ও অন্য উপদেষ্টাদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ঢাকার বাইরে থাকায় তিন উপদেষ্টা ফারুক-ই-আযম, বিধান রঞ্জন রায় এবং সুপ্রদীপ চাকমা শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।
সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া অন্যান্য উপদেষ্টারা হলেন- ১. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ২. ড. আসিফ নজরুল ৩. আদিলুর রহমান খান ৪. হাসান আরিফ ৫. তৌহিদ হোসেন ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান ৭. মো. নাহিদ ইসলাম ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ১০. সুপ্রদীপ চাকমা ১১. ফরিদা আখতার ১২. বিধান রঞ্জন রায় ১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান ১৪. নুরজাহান বেগম ১৫. শারমিন মুরশিদ ১৬. ফারুক-ই-আযম।
জেএইচ