ফুটবল
লিভারপুলকে উড়িয়ে সেমির পথে রিয়াল
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটের প্রথম লেগে দারুন জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের ঘরের মাঠে লিভারপুলকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে জিনেদিন জিদানের শিষ্যরা। এই জয়ে শেষ চারের পথে এক পা এগিয়ে রাখলো লস ব্ল্যাংকসরা।
রিয়াল ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মার্কো অ্যাসেনসিও ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। সালাহর গোলে লিভারপুল ম্যাচে ফেরার আভাস দিলেও আবার ব্যবধান বাড়িয়ে নেন ব্রাজিলিয়ান তরুণ ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
রিয়াল রক্ষণভাগের সেরা দুই তারকা সার্জিও রামোস ও রাফায়েল ভারানেকে ছাড়াই খেলতে নামলেও প্রথমার্ধে লিভারপুল রিয়ালের রক্ষণভাগের কোনো পরীক্ষাই নিতে পারেনি। উল্টো অলরেডসদের ভঙ্গুর রক্ষণে শুরু থেকেই চাপ বাড়ায় স্বাগতিকরা।
প্রথম ১৫ মিনিটে দুটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করলেও গোলের দেখা পায়নি রিয়াল। তবে গোলের অপেক্ষা অবশ্য দীর্ঘ হয়নি রিয়ালের। ২৭তম মিনিটে দুর্দান্ত প্রতি-আক্রমণে দলকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়াস। নিজেদের ডি-বক্সের কাছাকাছি জায়গা থেকে উঁচু করে বল বাড়ান টনি ক্রুস। দুই ডিফেন্ডারের মাঝে বুক দিয়ে বল নামিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
সেই রক্ষণের ভুলেই ৩৬তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে লিভারপুল। জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুসের লম্বা উঁচু করে বাড়ানো বল হেডে ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের ডি-বক্সে ফেলেন ট্রেন্ট-অ্যালেকজ্যান্ডার আর্নল্ড। সুযোগ বুঝে ছুটে গিয়ে প্রথম টোকায় গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে সামনে বাড়িয়ে দ্বিতীয় টোকায় বল জালে পাঠান অ্যাসেনসিও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে বেশ গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে লিভারপুল। এরই ধারাবাহিকতায় ৫১তম মিনিটে গোল পায় দলটি। দিয়োগো জটার শট মদ্রিচের পায়ে লেগে গতি হারিয়ে সালাহর কাছে গেলে সেই বল থেকে গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করে জালে জড়ান মিশরীয় ফরোয়ার্ড।
৬৫তম মিনিটে আবারও নিজের সামর্থ্য জানান দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ডান দিক থেকে মদ্রিচের পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় প্লেসিং শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তরুণ এই ফরোয়ার্ড।
শেষ ১৫ মিনিটে রক্ষণাত্মক কৌশলে যায় জিনেদিন জিদানের দল। সেই সুযোগে চাপ বাড়ায় লিভারপুল। তবে নিশ্চিত কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা। তাই শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে ৩-১ গোলের পরাজয় নিয়ে ফিরতে হয়। অপেক্ষা এখন ফিরতি পর্বে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা কাজে লাগিয়ে আগামী ১৪ এপ্রিল অ্যানফিল্ডে ঘুরে দাঁড়ানোর।
এএ
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//