ফুটবল
মেসি ছাড়াই বার্সেলোনার সহজ জয়
স্প্যানিশ লা লিগায় গতবারের রানার্সআপরা এখন পর্যন্ত নিজেদের মেলে ধরতে না পারলেও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরের দুর্দান্ত গতিতে ছুটছে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব বার্সেলোনা। হোম কিংবা অ্যাওয়ে সবধরনের ম্যাচেই একের পর এক জয় তুলে নিচ্ছে কাতালানরা। সবশেষ তারা গতরাতে হাঙ্গেরির ক্লাব ফেরেঙ্কভারোসের মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে লিওনেল মেসিকে ছাড়াই।
টানা ম্যাচের সূচির কারণে তুলনামূলক দুর্বল দল ফেরেঙ্কভারোসের বিপক্ষে লিওনেল মেসি, ফিলিপ কুতিনহো, মার্ক টের স্টেগানসহ নিয়মিত একাদশের বেশ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেন বার্সা কোচ রোনাল্ড কোম্যান। তবু সহজ জয়ই পেয়েছে তার দল। প্রথম দেখায় ফেরেঙ্কভারোসকে ৫-১ গোলে হারানোর পর এবার মেসিদের ছাড়াও জয়ের ব্যবধান ৩-০।
অবশ্য বার্সেলোনার জয়ের ব্যবধান খুব সহজেই হতে পারত দ্বিগুণ অর্থাৎ ৬-০। কিন্তু বেশ কিছু সহজ সুযোগ হাতছাড়া করায় বড় জয় পাওয়া হয়নি কাতালান ক্লাবটির। অঁতোয়ান গ্রিজম্যান, মার্টিন ব্রাথওয়েট ও ওসমানে দেম্বেলেরা স্কোরশিটে নাম তুললে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
হাঙ্গেরির লিগে ৫৯ ম্যাচ ধরে অপরাজিত থাকলেও চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার বিপক্ষে পরাজয় ঠেকাতে পারেনি ফেরেঙ্কভারোস। ম্যাচের ১৪ মিনিটের সময় তারা হজম করে প্রথম গোল। আলবার ক্রসে বল পান গ্রিজম্যান। ঠাণ্ডা মাথায় বাকি কাজ সারেন বিশ্বজয়ী এ ফরোয়ার্ড।
এর মিনিট দশেক আগেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা। ব্রাথওয়েটের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়। তবে ম্যাচের ২০ মিনিটের সময় আর ভুল করেননি ব্রাথওয়েট। বাম পাশ থেকে আসা দেম্বেলের ক্রসে পা ছুঁইয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন দলের মূল স্ট্রাইকার হয়ে খেলতে নামা ব্রাথওয়েট। সবশেষ তিন ম্যাচে এটি তার চতুর্থ গোল।
ম্যাচের বয়স ৩০ মিনিট হওয়ার আগেই তৃতীয় গোলটিও পেয়ে যায় বার্সেলোনা। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন দেম্বেলে। ব্রাথওয়েটকে ডি-বক্সের মধ্যে ফাউল করা হলে পেনাল্টি পায় কাতালানরা। সেখান থেকে স্পটকিকে গোলের ঠিকানা খুঁজে নেন তরুণ ফ্রেঞ্চ ফরোয়ার্ড দেম্বেলে। পুরো ম্যাচেই দুর্দান্ত ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ
প্রথম আধঘণ্টায় তিন গোল করে উড়তে থাকলেও, পরের এক ঘণ্টায় আর তেমন কোনো জোরালো আক্রমণ করতে পারেনি বার্সা। এর সঙ্গে আবার যোগ হয় গোল মিসের মহড়া।
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় ফেরেঙ্কভারোস, বারবার উঠে যায় আক্রমণে। কিন্তু বার্সার রক্ষণে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে তারা। একই চিত্র দেখা যায় বার্সার খেলায়ও। দ্বিতীয়ার্ধে ফিনিশিং ব্যর্থতায় ভুগতে হয় তাদের। যার ফলে প্রথমার্ধের তিন গোলের পর উৎসবের উপলক্ষ্য পায়নি কোম্যানের শিষ্যরা।
এস
ফুটবল
ফুটবলকে বিদায় জানালেন পেপে
সব ধরনের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন পর্তুগালের ডিফেন্ডার পেপে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
সর্বশেষ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে পর্তুগালের ম্যাচটাই হয়ে রইল ৪১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।
সে ম্যাচে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল পর্তুগাল। ইউরোর মূলপর্বে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামার রেকর্ডও গড়েন তিনি।
পর্তুগালের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন পেপে। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো।
ফুটবল
বাফুফে থেকে পদত্যাগ করলেন সালাম মুর্শেদী
পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি ২০০৮ সাল থেকে পদটিতে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এছাড়াও সালাম মুর্শেদী বাফুফের অর্থ কমিটি ও রেফারিজ কমিটির প্রধানও ছিলেন। এই দুটি পদ থেকেও তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সালাম মুর্শেদীর পদত্যাগের কথা জানায় বাফুফে। সালাম মুর্শেদী খুলনা–৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন।
ফুটবল
চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সংগঠক সাইদুর রহমান প্যাটেল
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অন্যতম সংগঠক ও উদ্যেক্তা সাইদুর রহমান প্যাটেল মারা গেছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন সেসব ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতেন তিনি। অবশেষে ৭৩ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের এই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন সাইদুর রহমান। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) শোক জানিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাইদুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন স্থানে তহবিল তুলতেন সাইদুর রহমানরা। তারা ভারতে ঘুরে ঘুরে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে প্রীতি ম্যাচ খেলতেন। সেখান থেকেও তহবিল সংগ্রহ করতো এই দলটি।
একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা রাখার লক্ষ্য নিয়েই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল গঠন করার উদ্যেগ নিয়েছিলেন সাইদুর রহমান প্যাটেলরা। এখানে খেলে যে অর্থ উত্তোলন হবে, তা মুক্তিযুদ্ধের জন্য গঠিত তহবিলে প্রদান করা হবে; এমনই ছিল স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সেসময়ের ভাবনা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল সাইদুর রহমানের। সবশেষ সাধারণ নির্বাচনের আগেই অবশ্য চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমাতে হয় তাকে। সেখানে লম্বা সময় ধরে চিকিৎসা নেওয়ার পর আর দেশে ফিরতে পারলেন না তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেই নিজের জীবনের শেষ সময়টুকু কাটালেন।
সাইদুর রহমানের জন্ম ১৯৫১ সালের ৭ অক্টোবর। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। পরে অবশ্য গেন্ডারিয়ায় চলে যায় তার পরিবার। গেন্ডারিয়াতেই বেড়ে উঠেছেন, স্থানীয় পর্যায়ে ফুটবল খেলতে খেলতে শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজের জায়গা করে নেন। তিনি ঢাকার ইস্টএন্ডের হয়ে ফুটবল খেলেছেন। দ্বিতীয় বিভাগে ফরাশগঞ্জের হয়ে, প্রথম বিভাগে পিডব্লুডি’র হয়ে খেলেছেন সাইদুর রহমান প্যাটেল।
এম এইচ//